কিরগিজস্তানে আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে ১২০০ বাংলাদেশি শিক্ষার্থী

গত সোমবার কিরগিজস্তানের রাজধানী বিশকেকে স্থানীয়দের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বিদেশি শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ হয়। পরে ওই ঘটনার একটি ভিডিও ভাইরাল হলে শুক্রবার মধ্যরাতে ফের উত্তাল হয়ে ওঠে দেশটির রাজধানী শহর।
এ কারণে চরম আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন সেখানকার সরকারি-বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজে পড়া বাংলাদেশের প্রায় ১২শ’র বেশি শিক্ষার্থী।
শুক্রবার দিবাগত রাতে শহরের বিভিন্ন বেসরকারি মেডিকেল কলেজের হোস্টেল কম্পাউন্ডে ঢুকে শিক্ষার্থীদের মারধর শুরু করে স্থানীয়রা শিক্ষার্থীরা। এ ঘটনায় ৩ বিদেশি শিক্ষার্থীসহ ২৮ জন আহত হয়েছেন।
এদিকে শনিবার উজবেকিস্তানে বাংলাদেশের দূতাবাস শিক্ষার্থীদের ঘরে নিরাপদে থাকতে বলেছে। পাকিস্তান ও ভারতীয় কর্তৃপক্ষও নিজ দেশের নাগরিকদের নিরাপদে থাকার নির্দেশনা দিয়েছে।
ফার্স্ট পোস্ট জানিয়েছে, সোমবার সন্ধ্যায় কিরগিজস্তানের রাজধানী বিসকেকে স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে মিশরের শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ হয়। তবে ঠিক কী কারণে এই সংঘর্ষের সূত্রপাত তা এখনো জানা যায়নি।
এ বিষয়ে কিরগিজ প্রশাসনও নিরব ভূমিকা পালন করছে। ফলে, সরকারি মেডিকেলের শিক্ষার্থীরা নিরাপদে থাকলেও বিপদে আছেন বেসকারি মেডিকেলে পড়া প্রায় ৯’শর বেশি শিক্ষার্থী।
কিরগিজ স্টেট মেডিকেল ইউনিভার্সিটির এমবিবিএস দ্বিতীয় বর্ষের বাংলাদেশি শিক্ষার্থী সালমান ফারসী সিয়াম স্থানীয় গণমাধ্যমকে জানান, তারা একরকম গৃহবন্দি রয়েছেন। অনাহারে দিন কাটাতে হচ্ছে তাদের।
তিনি বলেন, ‘কিরগিজস্তানে বাংলাদেশের দূতাবাস না থাকায় প্রতিবেশি উজবেকিস্তানের বাংলাদেশ দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেছেন তারা।’
এ বিষয়ে দূতাবাস কর্তৃপক্ষ সহযোগিতার আশ্বাস দিলেও তা কার্যকর হয়নি। দেশটিতে ভারত, পাকিস্তানসহ বিভিন্ন দেশের ১৫ হাজার শিক্ষার্থী রয়েছে।
ভারত-পাকিস্তানের সরকার তাদের শিক্ষার্থীদের ঘরে থাকার নির্দেশনা দিয়েছে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তিনজন পাকিস্তানি শিক্ষার্থীর মৃত্যুর খবর পাওয়া গেলেও তা নিয়ে সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য কোনো কর্তৃপক্ষ দিতে পারেনি। তবে ১৪ জন পাকিস্তানি শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। ব্যয় কম হওয়ায় কিরগিজস্তানে বিভিন্ন দেশের শিক্ষার্থীরা চিকিৎসাবিদ্যা পড়তে যান।
রেডিও ফ্রি ইউরোপ জানিয়েছে কিরগিজ প্রশাসন চার শিক্ষার্থীকে আটক করেছে। তবে তারা কোন দেশের সে বিষয়ে কিছু জানায়নি।
হিন্দুস্থান টাইমস জানিয়েছে, ওই সংঘর্ষের পর স্থানীয়রা ছাত্রাবাসগুলোতে ব্যাপক ভাংচুর করেছে।
(ঢাকাটাইমস/১৮মে/কেএ/এসআইএস)

মন্তব্য করুন