পালসার সিরিজে সবচেয়ে জনপ্রিয় ৫ মডেল, কল্পনাকেও হার মানাবে

সহজ ও দ্রুততম উপায়ে যাতায়াতের জন্য মোটরসাইকেল একটি অতিপরিচিত বাহন। উন্মুক্ত অবস্থানে বসতে হয় বলে মোটরসাইকেল আরোহীদের দুর্ঘটনার সম্ভবনা বেশি থাকে। তারপরও এর উপযোগিতা, ব্যবহারে স্বাচ্ছন্দ্য এবং অন্যান্য গাড়ির তুলনায় কম ব্যয়বহুল হওয়ার কারণে অনেকে মোটরসাইকেলই বেশি পছন্দ করেন। জনপ্রিয়তার শীর্ষে ভারতের মোটরসাইকেল জগতে বাজাজ পালসার বিক্রি হচ্ছে দেদারসে। এর অসাধারণ বিল্ড কোয়ালিটি, শক্তিশালী ইঞ্জিন এবং ভালো মাইলেজের জন্য পালসার সব বয়সীদের পছন্দ। এই বাইকে সবাইকেই মানায়।অনেকেই মনে করেন সেই শুরু থেকে এখন পর্যন্ত পালসারের একই ডিজাইন। কিন্তু তারপরও পালসার কেন এত জনপ্রিয়? এর মূল কারণ হচ্ছে বিল্ট কোয়ালিটি। পালসারের বিল্ট কোয়ালিটি অন্যান্য বাইকের তুলনায় ভালো।যদিও শুরুতে বাজাজ ছিল মূলত স্কুটার তৈরিতে পারদর্শী। ইটালিয়ান ভেস্পার সঙ্গে মিলে তারা বেশ কিছু জনপ্রিয় স্কুটার উপহার দিয়েছে। এরপর বাজাজ কাওয়াসাকির সঙ্গে জোট বেধে বেশ কিছু মডেল বাজারে আনে। সেগুলো জনপ্রিয়তা পায়। কাওয়াসাকির কাছ থেকে বাজাজ স্পোর্টস বাইক তৈরি কায়দাকানুন রপ্ত করে নেয়। এরপর বাজাজ আলাদা হয়ে যায়। ২০০১ সালে দেশে প্রথম লঞ্চ হয় বাজাজ পালসার।মোটরসাইকেলের বাজারে বাজাজ এখন এক নামে চেনে সবাই। বাজাজ পালসার দেখেননি বা চড়েননি এমন মানুষ খুবই কম।স্পোর্টি ডিজাইনের কমিউটার মোটরবাইকের দুনিয়ায় এক আলাদাই বেঞ্চমার্ক তৈরি করেছে এই বাইক। এ কথা অস্বীকার করা যায়না, লাখ লাখ মানুষের বাইকের স্বপ্ন পূরণ করেছে বাজাজ পালসার।
পালসারের জনপ্রিয়তার উল্লেখ্যযোগ্য আরেকটি কারণ হচ্ছে পালসারের খুচরা যন্ত্রাংশের দাম খুবই কম। আর সব জায়গায়ই পালসারের যন্ত্রাংশ পাওয়া যায়। গত ২২ বছরে বাজাজ পালসারে একাধিক পরিবর্তন করেছে সংস্থা। বিভিন্ন সিসির ইঞ্জিন অনুযায়ী লঞ্চ হয়েছে একাধিক বাজাজ পালসার মডেল এর মধ্যে জনপ্রিয়তার নিরিখে কোন বাইকগুলি সেরা? আজ যে মোটরসাইকেলগুলির কথা বলব তার মধ্যে বেশ কিছু মডেলের দামও সাধ্যের মধ্যে। প্রত্যেকটি বাইকের কয়েক হাজার ইউনিট বিক্রি হয় প্রতি মাসে। স্মার্ট ফিচার্সসহ এই বাইকগুলোতে পাবেন ভালো জ্বালানি দক্ষতা এবং আরামদায়ক রাইডিং। কী কী সেই মডেল চলুন দেখে নেওয়া যাক।
বাজাজ পালসার আরএস২০০
স্পোর্টস লুকের দুর্ধর্ষ বাইক বাজাজ পালসার আরএস২০০ । এতে মিলবে ১৯৯ সিসি ফুয়েল ইনজেকটেড ইঞ্জিন যা সর্বোচ্চ ২৪.৫ পিএস শক্তি তৈরি করতে পারে। বাইকের দু চাকাতেই মজুত ডিস্ক ব্রেক, সঙ্গে সিঙ্গেল চ্যানেল এবিএস। বাজাজ পালসার আরএস২০০-এর ফুয়েল ট্যাংক ক্যাপাসিটি ১৩ লিটার এই বাইকের সর্বোচ্চ গতি ১৪০ কিমি প্রতি ঘণ্টা, বাজারে এই বাইকের দাম ১.৭১ লাখ রুপি।
বাজাজ পালসার এনএস১৬০
এই বাইকে রয়েছে ১৬০ সিসি ইঞ্জিন যা সর্বোচ্চ ১৫.৫ পিএস শক্তি এবং ১৪.৬ এনএম টর্ক তৈরি করে। এছাড়া রয়েছে দারুণ সাসপেনশন এবং ব্রেকিং, দু চাকাতেই উপস্থিত ডিস্ক ব্রেক সঙ্গে অ্যান্টি লক ব্রেকিং সিস্টেম বাইকটির ফুয়েল ট্যাংক ১২ লিটার। বাজাজ পালসার এনএস১৬০ কার্ব ওয়েট ১৪৫ কেজি, প্রায় ৫০ ছুঁইছুঁই মাইলেজ দেয় মোটরসাইকেলটি যার ফলে অনেকের কাছেই ভীষণ পছন্দের মডেল এই বাইক বাজাজ পালসার এনএস১৬০-এর দাম ১.৩৪ লাখ রুপি।
বাজাজ পালসার পি১৫০
সবচেয়ে বেশি বিক্রি হওয়া মডেলগুলির মধ্যে একটি বাজাজ পালসার পি১৫০ কমিউটার মোটরবাইক হিসাবে বেশি জনপ্রিয় বাইকটি।এতে রয়েছে ১৪৯ সিসি ইঞ্জিন যা সর্বোচ্চ ১৪.৫ পিএস শক্তি তৈরি করে, সঙ্গে মজুত ৫ স্পিড গিয়ারবক্স মাইলেজ দেয় ৪৯ কিলোমিটার প্রতি লিটার বাইকের দু চাকাতেই রয়েছে ডিস্ক ব্রেক সঙ্গে সিঙ্গেল চ্যানেল অ্যান্টি লক ব্রেকিং সিস্টেম বাজাজ পালসার পি১৫০-এর দাম ১.১৭ –১.২০ লাখ রুপি।
বাজাজ পালসার এনএস১২৫
১২৫ সিসি সেগমেন্টে সংস্থার বেস্ট সেলিং বাইকগুলির মধ্যে একটি বাজাজ পালসার এনএস১২৫ এতে মিলবে ১২৪ সিসি ইঞ্জিন যা সর্বাধিক ১১.৯ পিএস শক্তি উত্পন্ন করে, সঙ্গে ৫ স্পিড গিয়ার এই বাইকটি মাইলেজ দেয় ৬৪.৭৫ কিলোমিটার, ফুয়েল ক্যাপাসিটি ১২ লিটার।বাইকের সামনের চাকায় ডিস্ক ব্রেক থাকলেও পিছন চাকায় রয়েছে ড্রাম ব্রেক, রয়েছে ডিজিটাল ওডোমিটার, স্পিডো মিটার বাইকের টপ স্পিড ১১২ কিমি প্রতি ঘণ্টা, বাজাজ পালসার এনএস১২৫-এর দাম ১.০৪ লাখ রুপি।
বাজাজ পালসার ১২৫
এই মোটরবাইকেও রয়েছে একই ১২৪ সিসি ইঞ্জিন যা সর্বোচ্চ ১২ পিএস শক্তি তৈরি করে, সঙ্গে ৫ স্পিড গিয়ার এই বাইকটি মাইলেজ দেয় ৫১ কিলোমিটার, ফুয়েল ক্যাপাসিটি ১১.৫ লিটার বাজাজ পালসার১২৫-এর দু চাকাতেই রয়েছে ড্রাম ব্রেক, বাইকের সিটের উচ্চতা ৭৯০ মিলিমিটার এবং কার্ব ওয়েট ১৪০ কেজি বাজাজ পালসার ১২৫-এর দাম ৮৯,২৫৪ রুপি।
(ঢাকাটাইমস/২২ মে/আরজেড)

মন্তব্য করুন