কুমিল্লায় যুবদল নেতার মৃত্যুর ঘটনা দ্রুত তদন্তের নির্দেশ সরকারের

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা টাইমস
  প্রকাশিত : ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১৬:২১| আপডেট : ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২০:৩৬
অ- অ+

যৌথবাহিনীর হেফাজতে কুমিল্লায় যুবদল নেতা মো. তৌহিদুল ইসলামের মৃত্যুর ঘটনার দ্রুত তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে সরকার।

শনিবার প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইংয়ের এক বিবৃতিতে সরকারের এই নির্দেশনার কথা জানানো হয়েছে।

বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার নিরাপত্তা বাহিনীর হেফাজতে যে কোনো ধরনের নির্যাতন ও হত্যার কঠোর নিন্দা জানায়। জাতীয় জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে মানবাধিকারের সুরক্ষা নিশ্চিত করাই এই সরকারের অন্যতম প্রধান লক্ষ্য, যেখানে দেশের শীর্ষ মানবাধিকার কর্মীরা সরকারের উপদেষ্টা পরিষদে রয়েছেন।

এতে বলা হয়, নিরাপত্তা বাহিনীর হেফাজতে নির্যাতনের অভিযোগের প্রেক্ষিতে কুমিল্লায় গতকাল গভীর রাতে আহত অবস্থায় তরুণ তৌহিদুল ইসলামকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। অভিযোগ অনুযায়ী, শুক্রবার ভোরে তার বাড়ি থেকে আটক করার পর তিনি নিরাপত্তা বাহিনীর নির্যাতনের শিকার হন।

প্রেস উইংয়ের ওই বিবৃতিতে আরও বলা হয়, তৌহিদুলের মৃত্যুর বিষয়ে অন্তর্বর্তী সরকার দ্রুত তদন্তের নির্দেশ প্রদান করেছে। দেশে এ ধরনের অপরাধের বিচারিক প্রক্রিয়া সংস্কারের লক্ষ্যে সরকার ইতোমধ্যে একাধিক কমিশন গঠন করেছে। এসব কমিশনের বেশিরভাগই তাদের প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদ, অপরাধ ব্যবস্থাপনা এবং বিচারিক প্রক্রিয়ায় মানবাধিকার লঙ্ঘনের সমস্ত সুযোগ নির্মূল করতে সরকার রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে গঠনমূলক সংলাপ করবে বলে প্রেস উইং জানায়।

অন্তর্বর্তী সরকার এই সংস্কার কর্মসূচি কার্যকর করতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়।

এদিকে শনিবার বেলা সাড়ে বারোটার দিকে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) পক্ষ থেকে সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানানো হয়, যুবদল নেতা তৌহিদুল ইসলামের মৃত্যুর অনাকাঙ্ক্ষিত ও দুঃখজনক ঘটনায় কুমিল্লা সদর সেনা ক্যাম্পের ক্যাম্প কমান্ডারকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। মৃত্যুর সঠিক কারণ উদঘাটনের জন্য একটি উচ্চপদস্থ তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্তে দোষী সাব্যস্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে সেনা আইন অনুযায়ী যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বৃহস্পতিবার গভীর রাতে কুমিল্লা সদর উপজেলার পাঁচথুবি ইউনিয়ন যুবদলের আহবায়ক ও ইটাল্লা গ্রামের মো. তৌহিদুল ইসলামকে তার বসতঘর থেকে তুলে নিয়ে যায় যৌথ বাহিনী। তারপর শুক্রবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে কোতোয়ালি মডেল থানার এসআই মোরশেদ মোবাইল ফোনে তৌহিদের ভাই আবুল কালাম আজাদ টিপুকে জানান, শহরতলীর গোমতী নদীর পাড়ের গোমতী বিলাশ নামক স্থানে আহত অবস্থায় তৌহিদ পড়ে রয়েছেন। তাকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হচ্ছে। তখন তৌহিদের পরিবারের লোকজন হাসপাতালে গিয়ে তৌহিদের লাশ দেখতে পান।

শুক্রবার রাতে নিহত যুবদল নেতা তৌহিদের পরিবার থেকে অভিযোগ করা হয়, যৌথ বাহিনীর হাতে আটকের পর ওই যুবদল নেতার মৃত্যু হয়। অমানবিক নির্যাতনের কারণে তার মৃত্যু হয় বলেও গণমাধ্যমে অভিযোগ করেন। তিনি জানান তার ভাইয়ের শরীরে আঘাতের চিহ্ন ছিল।

(ঢাকাটাইমস/০১ফেব্রুয়ারি/এমআর)

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
জাতীয় ঈদগাহে ঈদুল আজহার প্রধান জামাত সকাল সাড়ে ৭টায়
নির্বাচনের রোডম্যাপ এল, এবার নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন হোক: নাহিদ ইসলাম
জাতি আশ্বস্ত, জামায়াত সন্তুষ্ট: ডা.শফিকুর রহমান
জাতির আকাঙ্ক্ষা পূরণ হয়নি, ডিসেম্বর-জানুয়ারিতে হলে মেনে নেওয়া যেত: সালাহউদ্দিন
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা