জাতির আকাঙ্ক্ষা পূরণ হয়নি, ডিসেম্বর-জানুয়ারিতে হলে মেনে নেওয়া যেত: সালাহউদ্দিন

আগামী বছরের এপ্রিলে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস যে ঘোষণা দিয়েছৈ তাতে জাতির প্রত্যাশা পূরণ হয়নি বলে মন্তব্য বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ। শুক্রবার (৬ জুন) রাতে তিনি এ প্রতিক্রিয়া জানান।
এর আগে এদিন সন্ধ্যা ৭টায় জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা। বক্তব্যে তিনি ঘোষণা করেন আগামী বছরের এপ্রিলের প্রথমার্ধে অনুষ্ঠিত হবে জাতীয় নির্বাচন।
সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টা জাতির উদ্দেশে দেওয়া দীর্ঘ ভাষণে অনেক কিছু উল্লেখ করেছেন। সরকারের কৃতিত্ব, কর্মকাণ্ড এবং ভবিষ্যতে কী করতে চান ইত্যাদি। এর ফাঁকে তিনি জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট সময় ঘোষণা করেছেন। আগামী বছরের এপ্রিলের প্রথমার্ধের যেকোনো দিন জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে।
সালাহউদ্দিন বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে দেশের পঞ্চাশের বেশি দল ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচনের দাবি জানিয়ে আসছিল। যৌক্তিকভাবে ডিসেম্বরের ভেতরেই নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য আমাদের বক্তব্য সব সময় যুক্তি সহকারে উপস্থাপন করেছি। সে বিষয়টি আমলে না নিয়ে এমন সময়ে নির্বাচনের সময় ঘোষণা করেছেন, যে সময়ে পাবলিক পরীক্ষা থাকে, আবহাওয়া ঠিক থাকে না। এছাড়াও আমাদের জানা মতে ফেব্রুয়ারির ১৬, ১৭ বা ১৮ তারিখের দিকে রমজান মাস শুরু হবে।’
এপ্রিলের প্রথমার্ধে যদি নির্বাচন করতে হয়, তাহলে তফসিল ঘোষণার পর থেকে নির্বাচন পর্যন্ত যে ৪৫ দিন সময়সীমা লাগে, সেটা রমজানের মধ্যেই ক্যাম্পেইন করতে হবে। এটা একটা অযৌক্তিক ধারণা। বলেন সালাহউদ্দিন।
ডিসেম্বর বা জানুয়ারির মধ্যে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করলে সেটি গ্রহণযোগ্য হতে পারতো উল্লেখ করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, ‘ডিসেম্বর বা জানুয়ারির মধ্যে নির্বাচন হলে সেটি মেনে নেওয়ার মতো বিষয় হতো।’ এ বিষয়ে দলের উচ্চ পর্যায়ে আলোচনার পর বিএনপির আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানানো হবে বলে জানান তিনি।
(ঢাকাটাইমস/৬জুন/এসএস/মোআ)

মন্তব্য করুন