অপারেশন ‘ট্রু প্রমিজ থ্রি’ সফল, ইসরায়েলকে সহায়তাকারী দেশেও হামলার হুঁশিয়ারি ইরানের

অপারেশন ‘ট্রু প্রমিজ থ্রি’ শুরু করে ইসরায়েলে বড় ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইরান। শুক্রবার রাতে শতাধিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে ইরান, যা সরাসরি আঘাত হানে তেল আবিব ও আশপাশের গুরুত্বপূর্ণ ঘাঁটি ও স্থাপনায়।
ইরানের অপারেশনটি ছিল ভবন ও গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ইসরায়েলি হামলার পাল্টা জবাব। শুক্রবার গভীর রাতে ইসরায়েল আবাসিক এলাকা ও গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় হামলা চালালে অপারেশন ‘ট্রু প্রমিজ থ্রি’ শুরু করে ইসলামী বিপ্লব গার্ড ও সেনাবাহিনী।
ইরানের অভিযোগ, তাদের হামলা রুখে দিতে কয়েকটি দেশ ইসরায়েলকে সহায়তা করছে। এই অবস্থায় ইসরায়েলকে সহায়তা করা দেশগুলোকেও লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করার হুঁশিয়ারি দিয়েছে ইরান।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন জ্যেষ্ঠ ইরানি কর্মকর্তার উদ্ধৃতি দিয়ে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন জানিয়েছে, যে সব দেশ ইসরায়েলকে রক্ষা করার চেষ্টা করবে সেসব দেশের আঞ্চলিক ঘাঁটিগুলোকে লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করা হবে।
ওই কর্মকর্তা বলেন, নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষায় আন্তর্জাতিক আইনের অধীনে ইরানের চূড়ান্ত প্রতিক্রিয়া জানানোর অধিকার রয়েছে।
তিনি বলেন, যেকোনো দেশ ইরানের অভিযানের বিরুদ্ধে ইসরায়েলকে রক্ষা করার চেষ্টা করবে, তাদের আঞ্চলিক ঘাঁটি এবং অবস্থানগুলো নতুন লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হবে।
এর আগে দুটি ইসরায়েলি সূত্রের বরাত দিয়ে সিএনএন জানিয়েছে, ইসরায়েলি ভূখণ্ডে শুক্রবার সন্ধ্যায় ইরান থেকে উড়ে আসা ক্ষেপণাস্ত্র রুখে দিতে তেল আবিবকে সহায়তা করেছে যুক্তরাষ্ট্র ও কয়েকটি দেশ।
সংশ্লিষ্ট একটি সূত্রের বরাতে প্রতিবেদনে বলা হয়, এর আগেও ইরানি হামলার মুখে ইসরায়েলের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় সহায়তা করেছিল ওই অঞ্চলের কয়েকটি দেশ।
এদিকে মার্কিন নাগরিক, ঘাঁটি কিংবা অবকাঠামোর ওপর হামলা হলে ইরানের জন্য ‘ভয়াবহ পরিণতি’ অপেক্ষা করছে বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন মার্কিন কর্মকর্তা ম্যাককয় পিট।
জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে তিনি বলেন, ‘আমাদের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার হচ্ছে-এই অঞ্চলে মার্কিন নাগরিক ও বাহিনীগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। যদি ইরান যুক্তরাষ্ট্রকে লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করে, তবে পরিণতি হবে চরম।’
শুক্রবার (১৩ জুন) ভোররাতে ২০০ যুদ্ধবিমান দিয়ে ইরানের প্রায় ১০০ স্থানে হামলা করেছে ইসরায়েল। এতে ইরানের সেনাপ্রধান, রেভ্যলুশনারি গার্ডের প্রধানসহ ছয়জন পরমাণু বিজ্ঞানী ও অর্ধশতাধিকের বেশি বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন।
ইসরায়েলের হামলার লক্ষ্যবস্তু ছিল ইরানের পরমাণু স্থাপনা, ব্যালিস্টিক মিসাইল স্থাপনাগুলো, সামরিক ঘাঁটি ও আকাশ প্রতিরক্ষা সিস্টেম। পরবর্তীতে শুক্রবার বিভিন্ন সময় নতুন করে আরও বেশ কিছু হামলা চালায় ইসরায়েল।
ইরান এর জবাবে ‘অপারেশন ট্রু প্রমিজ থ্রি’ নামে ইসরায়েলে প্রায় ১০০ ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়। এতে বহু স্থাপনার পাশাপাশি ইসরায়েলের বহু বেসামরিক নাগরিক হতাহত হয়েছেন।
(ঢাকাটাইমস/১৪ জুন/আরজেড)

মন্তব্য করুন