সচিবালয় ঘেরাওয়ে গিয়ে পুলিশের বাধায় সড়কে বসে পড়লেন চাকরিচ্যুত বিডিআর সদস্যরা

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা টাইমস
  প্রকাশিত : ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১৪:৪৫
অ- অ+

সচিবালয় ঘেরাও করতে গিয়ে পুলিশের বাধা পেয়ে সড়কে বসে পড়েছেন চাকরিচ্যুত বিডিআর সদস্যরা।

ছয় দফা দাবিতে বুধবার দুপুরে চাকরিচ্যুত বিডিআর সদস্য ও তাদের পরিবারের সদস্যরা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে মিছিল নিয়ে সচিবালয় অভিমুখে রওনা করেন। শিক্ষা ভবন মোড়ে পৌঁছলে পুলিশের ব্যারিকেডের মুখে পড়েন তারা। ব্যারিকেড ভেঙে সামনে এগিয়ে যেতে চাইলে পুলিশ জলকামান নিক্ষেপ করে তাদের ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করে। তবে বিডিআর সদস্যরা তাদের অবস্থান ধরে রাখেন। একপর্যায়ে সড়কে বসে পড়েন তারা। এর ফলে গুলিস্তান জিরো পয়েন্ট থেকে শিক্ষাভবন মোড় পর্যন্ত সড়কের উভয়পাশের যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

২০০৯ সালে পিলখানায় বিদ্রোহের অভিযোগে চাকরিচ্যুত ও মামলার আসামি হয়ে কারাবন্দি বিডিআর সদস্যদের মুক্তি এবং চাকরি ফেরতের দাবিতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচিন পালন করছেন তারা।

বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে তারা সচিবালয় ঘেরাও কর্মসূচি ঘোষণা করেন।

এদিকে এবার ছয় দফার সঙ্গে আরও ২ দফা যুক্ত করেছেন সাবেক বিডিআর সদস্যরা। বর্তমানে তাদের ৮ দফা দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে

১. পিলখানার ভেতরে ও বাইরে ১৮টি বিশেষ আদালত ও অধিনায়কের সামারি কোর্ট গঠন করে যেসব বিডিআর সদস্যদের চাকরিচ্যুত করা হয়েছে তাদের সবাইকে পুনর্বহাল এবং ক্ষতিপূরণ ও রাষ্ট্রীয় সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা।

২. ইতিমধ্যে হত্যা মামলায় খালাসপ্রাপ্ত এবং সাজা শেষ হওয়া কারাবন্দি বিডিআর সদস্যদের অনতিবিলম্বে মুক্তি এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত প্রহসনের বিস্ফোরক মামলা বাতিল করা।

৩. গঠিত কমিশন স্বাধীন ও নিরপেক্ষভাবে কাজ করার জন্য প্রজ্ঞাপনে উল্লেখিত ‘ব্যতীত’ শব্দ এবং কার্যপরিধি ২-এর (ঙ) নং ধারা বাদ দেওয়া। একইসঙ্গে স্বাধীন তদন্ত রিপোর্ট সাপেক্ষে অন্যায়ভাবে দণ্ডিত সব ধরনের নিরপরাধ বিডিআর সদস্যদের মুক্তি এবং পিলখানা হত্যাকাণ্ডের সঠিক কারণ উদঘাটন, মূল ষড়যন্ত্রকারী, হত্যাকারীদের চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় আনা।

৪. পিলখানা হত্যাকাণ্ডে নিহত হওয়া ৫৭ সেনা কর্মকর্তা, ১০ জন বিডিআর সদস্যসহ সর্বমোট ৭৪ জনের হত্যাকারীর বিচার নিশ্চিত করা। একইসঙ্গে কারাগারের ভেতর মারা যাওয়া প্রত্যেক বিডিআর সদস্যের মৃত্যুর সঠিক কারণ উদঘাটন করা, অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়ে থাকলে দায়ী সবাইকে বিচারের আওতায় আনা।

৫. পিলখানা হত্যাকাণ্ডে অন্যায়ভাবে চাকরিচ্যুত সেনা কর্মকর্তাদের ফিরিয়ে আনা।

৬. সব শহীদ সেনা কর্মকর্তার লাশ পুনরায় তদন্তের মাধ্যমে সঠিকভাবে শনাক্ত করার ব্যবস্থা করা।

৭. স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস ধারণকারী বিডিআর নাম ফিরিয়ে আনা।

৮। পিলখানার হত্যাকাণ্ডে সব শহীদের স্মরণে জাতীয় দিবস ঘোষণা করা এবং শহীদ পরিবারের সব ধরনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।

(ঢাকাটাইমস/১২ফেব্রুয়ারি/এফএ)

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
ঈদে ছয় সিনেমা, কোনটি কত হলে মুক্তি পেল
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার ঈদ শুভেচ্ছা
ঈদের দিন সকালে গোসলে নেমে যুবকের মৃত্যু 
কোরবানির মাংস কাটাকাটি: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আহত শতাধিক, হাসপাতালে ভিড়
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা