জাপানের সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে হত্যা চেষ্টা মামলায় একজনের ১০ বছরের কারাদণ্ড

জাপানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদাকে পাইপ বোমা দিয়ে হত্যার চেষ্টার অভিযোগে এক ব্যক্তিকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে দেশটির একটি আদালত।

২০২৩ সালে এপ্রিলে জাপানের নিম্নকক্ষের উপনির্বাচনে একজন প্রার্থীর পক্ষে ওয়াকাইয়ামা শহরের একটি প্রচারণা অনুষ্ঠানে নিয়েছিলেন কিশিদা। এ সময় তার ওপর বাড়িতে তৈরি ডিভাইস দিয়ে স্মোক বোমা নিক্ষেপ করা হয়েছে। যদিও এ হামলায় কিশিদা অক্ষত ছিলেন। ঘটনাস্থল থেকে ২৫ বছর বয়সী আততায়ী রিউজি কিমুরাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

ঘটনাটি আধুনিক জাপানের সবচেয়ে দীর্ঘ মেয়াদী নেতা সাবেক প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবেকে হত্যার প্রতিধ্বনি করে। যিনি একই বছরের জুলাইয়ে সংসদীয় নির্বাচনের প্রচারণার সময় বাড়িতে তৈরি বন্দুক দিয়ে গুলিবিদ্ধ হন। আবের হত্যা দেশটিকে নাগরিকদের হতবাক করেছে, যেখানে বন্দুকের অপরাধ অত্যন্ত বিরল।

জাপনের পাবলিক ব্রডকাস্টার এনএইচকে জানায়, বুধবার ওয়াকায়ামা জেলা আদালত কিমুরাকে হত্যার চেষ্টার অভিযোগে ১০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে। আদালত বলছে, একজন দায়িত্বরত প্রধানমন্ত্রীকে লক্ষ্যবস্তু করে আসামি জনসাধারণের মাঝে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছিলেন।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ওয়াকাইয়ামা জেলা আদালতে কিমুরার বিরুদ্ধে পাঁচটি অভিযোগের কারণে বিচার শুরু হয়েছিল। এরমধ্যে হত্যার চেষ্টা এবং বিস্ফোরক নিয়ন্ত্রণ আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ এতে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

বুধবারের রায়ে প্রধান বিচারক ফুকুশিমা কেইকো বলেন, বিশেষজ্ঞদের পরীক্ষায় বিস্ফোরকটি প্রাণঘাতী মর্মে প্রমাণিত হয়েছে। তিনি বলেন, তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মারা যেতে পারেন জেনেও কিমুরা বিস্ফোরকটি ছুঁড়ে মারেন এবং একারণে তিনি হত্যার চেষ্টার জন্য দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন।

বিচারক আরও বলেন, একজন দায়িত্বরত প্রধানমন্ত্রীকে লক্ষ্যবস্তু করা সংশ্লিষ্ট এই ঘটনা সমাজের উপর মারাত্মক প্রভাব ফেলেছে এবং উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। তিনি উল্লেখ করেন যে কিমুরা জাপানের নির্বাচন ব্যবস্থা নিয়ে সরকারের বিরুদ্ধে মামলা করেছিল। তিনি সামাজিক মাধ্যমে এই বিষয়টি নিয়ে লিখেছেন কিন্তু খুব কমই মনোযোগ পেয়েছেন। তাই কিমুরা নিজস্ব প্রচারণার জন্য একজন সুপরিচিত ব্যক্তিকে লক্ষ্যবস্তু করেন এবং এই অপরাধ পূর্বপরিকল্পিত ছিল বলে বিচারক উল্লেখ করেন।

এনএইচকে জানিয়েছে, বিচার চলাকালীন শুনানিতে কিমুরার আইনজীবীরা বলেছেন, তার ’উদ্দেশ্য ছিল (জনসাধারণের) দৃষ্টি আকর্ষণ করা। তার অভিযোগ ’আঘাত করা’ হওয়া উচিত কিন্তু হত্যার চেষ্টা নয়।

(ঢাকাটাইমস/১৯ফেব্রুয়ারি/এমআর)