ঢাকা-চাঁদপুর-বরিশাল নৌ রুটে যাত্রীবাহী ও বাণিজ্যিক জাহাজের নিরাপত্তায় কোস্টগার্ড

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা টাইমস
  প্রকাশিত : ১০ মার্চ ২০২৫, ২২:৩৬| আপডেট : ১০ মার্চ ২০২৫, ২৩:২৯
অ- অ+

ঢাকা-চাঁদপুর-বরিশাল নৌ রুটে চলাচলকারী বাণিজ্যিক ও যাত্রীবাহী জাহাজের নিরাপত্তার অতন্দ্র প্রহরীর দায়িত্ব পালন করছে কোস্টগার্ড। কোস্টগার্ডের তৎপরতায় এই রুটে চলাচলকারী বাণিজ্যিক জাহাজগুলোতে চুরি, ডাকাতিসহ অপরাধমূলক কার্যক্রম শূন্যের কোঠায় নেমে এসেছে। এছাড়া নিরাপদে যাত্রীরাও তাদের গন্তব্যে পৌঁছাতে পারছে।

এদিকে পবিত্র রমজানকে কেন্দ্র করে বাজার অস্থিতিশীলকারী অসাধু ব্যবসায়ীরা যাতে করে বাল্কহেড এবং লাইটার জাহাজে ভাসমান গুদামে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য, খাদ্যদ্রব্য এবং ভোজ্যতেল মজুদ না করতে পারে সেজন্য এই সব পণ্যবাহী জাহাজগুলোতে বিশেষ করে ঢাকা-চাঁদপুর রুটের পয়েন্টে নজরদারি শুরু করেছে কোস্টগার্ড।

সোমবার সকালে চাঁদপুর স্টেশন পরিদর্শনকালে কোস্টগার্ড ঢাকা জোনের স্টাফ অফিসার (অপারেশন্স) লেফটেন্যান্ট কমান্ডার তকিউল আহসান জানান, বাজারে অস্থিতিশীলতা তৈরির জন্য কেউ যাতে ভাসমান গুদামে খাদ্য মজুদ না করে তা নিশ্চিত করার জন্য আমরা লাইটার জাহাজগুলিতে ক্রমাগত নজরদারি এবং টহল দিচ্ছি।

তিনি আরও জানান, কোস্টগার্ড ঢাকা-চাঁদপুর-বরিশাল রুটে নজরদারি বাড়িয়েছে। লাইটার এবং বাল্কহেড জাহাজ পরিদর্শনের পাশাপাশি, তারা ঈদের আগে যাত্রীবাহী লঞ্চের নিরাপত্তাও নিশ্চিত করছে। নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করার জন্য রমজান ও ঈদের সময় একটি বিশেষ টহল ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে। কোস্টগার্ড এই জাহাজগুলিকে অপ্রয়োজনীয় বিলম্ব ছাড়াই তাদের গন্তব্যে পৌঁছাতে সার্বক্ষণিক নজরদারি বজায় রাখছে।

কোস্টগার্ড জানায়, অভ্যন্তরীণ নৌ রুটে চলাচলরত নৌযান সমূহের নিরাপত্তা নিশ্চিতের পাশাপাশি নিয়মিত রেজিস্ট্রেশন, ফিটনেস ইত্যাদি যাচাই বাছাই করার মাধ্যমে বিআইডব্লিউটিএ এবং নৌ পরিবহণ মন্ত্রণালয়কে সহায়তা প্রদান করছে বাহিনীটি। বর্তমানে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ লাইটার/ট্যাংকারসহ অন্যান্য খাদ্যসামগ্রী ও ভোজ্য তেলবাহী জাহাজ সমূহকে নোঙর এলাকায় ৭২ ঘণ্টার বেশি অবস্থানের নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। এসকল জাহাজ যাতে দ্রুত সময়ের মধ্যে গন্তব্যস্থলে পৌঁছাতে পারে তা নিশ্চিতকরণে কোস্টগার্ড সার্বক্ষণিক নজরদারি অব্যাহত রেখেছে।

'গত ১১ ফেব্রুয়ারি থেকে ১ হাজার ৮৫টি বাণিজ্যিক ও লাইটার জাহাজে যৌথ অভিযান পরিচালনা করেছে কোস্টগার্ড। এ ধরনের অভিযান পরিচালনার মাধ্যমে পবিত্র রমজান মাসে অন্যান্য খাদ্যদ্রব্যের ন্যায় ভোজ্য তেলের সংকট ও বাজার মূল্য হ্রাস পাবে বলেও প্রত্যাশা তাদের।

এছাড়া বহিঃনোঙ্গরে ছিঁচকে চুরি, ডাকাতি, চাঁদাবাজি, মাদক পাচার এবং বাণিজ্যিক জাহাজে অবৈধভাবে ক্রয়-বিক্রয় বন্ধের জন্য বছরব্যাপী সাঁড়াশি অভিযান পরিচালনা করছে বাহিনীটি। বহিঃনোঙর এবং বাণিজ্যিক জাহাজসমূহ হতে চোরাইকৃত মালামাল বিক্রয়ের স্থানে নিয়মিত যৌথ অভিযান ও মোবাইল কোর্ট পরিচালনার মাধ্যমে এসকল অপরাধমূলক কার্যক্রম শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে।

পাশাপাশি কোস্টগার্ড সুন্দরবন পর্যটক-বাহী জাহাজের নিরাপত্তায় কাজ করে যাচ্ছে। গহীন সুন্দরবনে টুরিস্টদের জরুরি সেবা এবং অসুস্থ টুরিস্টদের দ্রুত হাসপাতালে পাঠানোর মাধ্যমে সুচিকিৎসা নিশ্চিত করছে।

সুনীল অর্থনীতিকে সমৃদ্ধশীল করার লক্ষ্যে সমুদ্র, উপকূলীয় ও নদী তীরবর্তী অঞ্চলে সার্বক্ষণিক নজরদারি করছে কোস্টগার্ড। তবে সীমিত জনবল নিয়ে দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে তারা সমস্যায় পড়ছে। এ কারণে দ্রুত তাদের জনবল অন্তত ১০ হাজারে উন্নীত করা প্রয়োজন বলে মনে করেন তারা।

(ঢাকাটাইমস/১০মাচ/এলএম/এমআর)

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
টিউলিপের কোনো চিঠি পাননি প্রধান উপদেষ্টা: প্রেস সচিব
ড. ইউনূসের সাক্ষাৎ চেয়ে চিঠি দিয়েছেন টিউলিপ সিদ্দিক
খুলনায় শীর্ষ সন্ত্রাসী গ্রেনেড বাবুর বাড়িতে যৌথ বাহিনীর অভিযান, গ্রেপ্তার ৩
বিক্ষোভ ও সংঘর্ষে উত্তাল লস অ্যাঞ্জেলেস, ২ হাজার ন্যাশনাল গার্ড সদস্য মোতায়েন
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা