আ.লীগকে পুনর্বাসনের নিরপেক্ষ হওয়ার চেষ্টা করবেন না: আব্দুস সালাম
অন্তর্বর্তী সরকারকে নিরপেক্ষতার বিষয়ে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সালাম। তিনি বলেছেন, নিরপেক্ষতার নামে আওয়ামী লীগ যাতে পুনর্বাসিত না হয় সেদিকে জনগণ খেয়াল রাখছে।
বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে রাজশাহী জেলা ও মহানগর বিএনপি আয়োজিত এক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি। মঙ্গলবার বিকালে রাজশাহী নগরের বাটার মোড়ে সমাবেশটি অনুষ্ঠিত হয়।
আওয়ামী লীগ বিদায় হলেও দেশে গণতন্ত্র ফেরেনি উল্লেখ করে এই বিএনপি নেতা বলেন, শেখ হাসিনা বিদায় নিলেও এখনো আমাদের নেতা তারেক রহমান ফিরে আসেননি। তাই এই সরকারকে বলব- নিরপেক্ষ সরকার হওয়ার চেষ্টা করবেন না। নিরপেক্ষ সরকার না আপনি।’
বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা বলেন, ‘ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শেখ হাসিনাকে বিদায় করে এই অন্তর্বর্তী সরকার আমরা এনেছি। তাই নিরপেক্ষতার নামে আওয়ামী লীগ যাতে পুনর্বাসিত না হয়, সেদিকে কিন্তু জনগণ খেয়াল রাখছে।’
আওয়ামী লীগের নেতারা কীভাবে ভারতে পালাচ্ছেন, সে প্রশ্ন তুলে আব্দুস সালাম বলেন, ‘আজকের প্রশ্ন করতে চাই রাজশাহীতে। রাজশাহীর যে অবৈধ মেয়র ছিল, সেই লিটন কোথায় আছেন?’ আর সীমান্ত পার হয়ে এই আওয়ামী লীগের হোমড়া-চোমড়ারা কীভাবে ভারতে যাচ্ছে, এই সরকারের কাছে আমরা জিজ্ঞাসা করতে চাই।’
দ্রব্যমূল্যের দাম কমিয়ে সরকারকে দ্রুত নির্বাচন দেওয়ার আহ্বান জানান বিএনপির এই নেতা। গণতন্ত্র রক্ষায় নেতাকর্মীদের ধৈর্য ধরার নির্দেশনা দিয়ে আব্দুস সালাম বলেন, ‘আপনারা ১৭ বছর ধৈর্য্য ধরেছেন। আরও কয়েক মাস একটু ধৈর্য্য ধরেন। ধৈর্য্য ধরা মানে রাজপথ ছেড়ে দেওয়া নয়। যে লাঠিটা আওয়ামী লীগকে তাড়িয়েছে, সেটি সযত্নে রাখবেন।‘ গণতন্ত্র রক্ষা করতে বিএনপি, তারেক রহমান ও বেগম খালেদা জিয়ার কোনো বিকল্প নেই বলে মন্তব্য করেন তিনি।
৭ নভেম্বরের সিপাহী-জনতার বিপ্লবের গুরুত্ব সম্পর্কে আব্দুস সালাম বলেন, ‘যদি ৭ নভেম্বর না ঘটত, সেদিনই বাংলাদেশের স্বাধীনতা আমরা হারাতাম। আমাদের শপথ নিতে হবে- গত ১৫ বছর যে ভারতীয় তাঁবেদার সরকার মানুষের ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়েছে, তারা যাতে আর ফিরে আসতে না পারে।’
নগর বিএনপির আহ্বায়ক এরশাদ আলী ঈসার সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব মামুনুর রশিদের সঞ্চালনায় সমাবেশের অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির ত্রাণ ও পুনর্বাসন সম্পাদক শফিকুল হক মিলন, জেলার আহ্বায়ক আবু সাঈদ চাঁদ, কেন্দ্রের সদস্য আবু বকর সিদ্দিক, দেবাশিষ রায় মধু, রাজশাহী নগরের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক নজরুল হুদা, দেলোয়ার হোসেন, ওয়ালিউল হক রানা, জয়নাল আবেদিন শিবলী, জেলার সদস্য তোফাজ্জল হোসেন তপু, গোলাম মোস্তফা মামুন প্রমুখ।
সমাবেশে শেষে বাটার মোড় থেকে একটি শোভাযাত্রা বের করা হয়। শোভাযাত্রাটি আলুপট্টি মোড়ে গিয়ে শেষ হয়। এই শোভাযাত্রায় জেলা ও মহানগর বিএনপি এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা অংশ নেন।
(ঢাকাটাইমস/১১নভেম্বর/মোআ)
মন্তব্য করুন