কিশোরগঞ্জে একসঙ্গে তিন সন্তানের জন্ম

কিশোরগঞ্জের ভৈরবে একসঙ্গে তিন ছেলে সন্তানের জন্ম দিলেন প্রসূতি নারী হাছেনা বেগম (৩২)। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাছিরনগর উপজেলার বোড়ালনগর গ্রামের মো. ওয়ালিল্লাহর স্ত্রী।
রবিবার রাতে ভৈরব শহরের হলিটার্চ মেডিকেল কেয়ার এন্ড হসপিটালে নামে একটি বেসরকারি হাসপাতালে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে তিনটি ছেলে সন্তানের জন্ম হয়।
হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, প্রসব ব্যথা নিয়ে ওই প্রসূতি রবিবার বিকাল সাড়ে ৩টায় হলিটাস মেডিকেল কেয়ার এন্ড হাসপাতালে ভর্তি হন। পরে তাকে চিকিৎসকরা পরীক্ষা নিরীক্ষা করে জানতে পারেন প্রসূতির গর্ভে তিনটি বাচ্চা রয়েছে। পরবর্তীতে রাত ১২টায় হাসপাতালের গাইনী বিভাগের চিকিৎসক সফিকুল ইসলাম ও হাসপাতালের কনসালটেন্ট (এনেস্থেসিয়া) চিকিৎসক জালাল উদ্দিন সিজারিয়ান অপারেশন করেন। চিকিৎসকরা সফল অপারেশনের মাধ্যমে তার নারী গর্ভ থেকে তিনটি জমজ সন্তান প্রসব হয়। জন্ম নেয়া তিন নবজাতক ও তাদের মা সুস্থ আছেন।
হাছেনা বেগমের স্বামী ওয়ালিল্লাহ মিয়া জানান, একসঙ্গে ৩ জমজ ছেলে সন্তান পেয়ে আমরা খুবই খুশি। কিন্তু আমি অন্য মানুষের এখানে দিনমজুর হিসেবে কৃষি কাজ করে কোনো রকম সংসার চালাই। আমার আরো ৩ ছেলে সন্তান রয়েছে। কীভাবে সন্তানদের দুধসহ আনুষঙ্গিক খরচ মিটাবো এ চিন্তায় আছি।
হাছেনা বেগমের শ্বাশুরি বলেন, আল্লাহর অশেষ রহমতে আমার মেয়ে একসঙ্গে তিনটি সন্তানের মা হয়েছে। এটা আমাদের জন্য অনেক আনন্দের! চিকিৎসকদের প্রতি আমরা কৃতজ্ঞ। এ বিষয়ে হাসপাতালের গাইনী বিভাগের কনসালটেন্ট ডা.সফিকুল ইসলাম জানান, রবিবার বিকালে হাসপাতালে হাছেনা বেগম নামের একজন প্রসূতি নারী আসেন। তখন আমরা তাকে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে জানতে পারি তার গর্ভে তিনটি বাচ্চা রয়েছে। পরবর্তীতে রাত ১২টার দিকে প্রসূতি নারীকে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে তিন ফুটফুটে ছেলে সন্তান জন্ম নেন। নবজাতক তিনটি সন্তানই ছেলে। ভূমিষ্ঠ তিন শিশু ও মা ভালো আছেন। ওই দম্পতির ঘরে এর আগে তিনটি ছেলে সন্তান রয়েছে।
হাসপাতালে ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফয়জুল আলম বলেন, হাছেনা বেগম প্রসব ব্যথা নিয়ে আমাদের হাসপাতালে আসেন। পরে আমরা পরীক্ষা নিরীক্ষা করে রাত সাড়ে ৮টার দিকে অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে সিজার করিয়ে একে একে ৩টি বাচ্চা সুস্থ ভাবে বের করি। এতে করো অভিভাবক, ডাক্তার, নাস ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সকলে খুশি। ভালো ও সফল ভাবে অপারেশনরি সফল হওয়ায়। বর্তমানে মা ও তিন বাচ্চা সুস্থ আছে। কিন্তু পরিবারটি অস্বচ্ছ তাই আমরা হাসপাতালে পক্ষ থেকে যতটুকু পারি তাদের সাহায্য করার চেষ্টা করবো।
(ঢাকা টাইমস/৩০জুন/এসএ)

মন্তব্য করুন