ইমন-হৃদয়ের অর্ধশতকে লড়াকু পুঁজি বাংলাদেশের

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে সবক’টি উইকেট হারিয়ে ২৪৮ রান করেছে সফরকারি বাংলাদেশ দল।
জিততে হলে শ্রীলঙ্কাকে করতে হবে ২৪৯ রান। আজ শ্রীলঙ্কা জিতলে সিরিজ হাতছাড়া হয়ে যাবে বাংলাদেশের। পারভেজ হোসেন ইমন আর তাওহিদ হৃদয়ের ফিফটির পরও প্রত্যাশিত পুঁজি পায়নি টাইগাররা।
প্রথম ওয়ানেডেতে ৬২ রান করা তানজিদ হাসান তামিম আজ করেছেন ১১ বলে ৭ রান। শুরুতেই তৃতীয় ওভারে আসিথা ফার্নান্দোর বলে ব্যাটের কানায় লেগে বল ঝাঁপিয়ে পড়ে গ্লাভসবন্দি করেন মেন্ডিস। দলীয় ১০ রানে প্রথম উইকেট হারায় বাংলাদেশ।
প্রথম উইকেট হারানোর পর শান্ত–পারভেজের জুটিতে আশা দেখছিল বাংলাদেশ। তাও খুব বেশিদূর এগোতে পারেনি। চারিত আসালাঙ্কার বলে পুল করতে গিয়ে ক্যাচ দিয়ে আউট হয়ে গেছেন ১৯ বলে ১৪ রান করা শান্ত।
নিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে খেলতে নামা ওপেনার পারভেজ হোসেন ইমন চমৎকার ব্যাটিংয়ে ৪৬ বলেই হাফসেঞ্চুরি তুলে নেন। কিন্তু লঙ্কান স্পিনার ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গার গুগলি বুঝতে পারেননি, ডিফেন্ড করেও স্টাম্প হারান এই ওপেনার। ৬৯ বলে ৬৭ রানের ইনিংসে ৬ চার ও ৩ ছক্কা হাঁকান ইমন।
অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজ আজও দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিতে পারেননি। প্রথম ওয়ানডেতে ২ বলে ০ রানে আউট হয়েছিলেন। এবার করলেন ১০ বলে ৯ রান।
২৩তম ওভারে দুশমন্থ চামিরার বলে স্কয়ার লেগ অঞ্চলে পাথুম নিশাঙ্কার হাতে ক্যাচ হন মিরাজ। দলীয় ১২৬ রানে চতুর্থ উইকেট হারায় বাংলাদেশ।
এরপর শামীম পাটোয়ারী উইকেটে সেট হয়েও আসিথা ফার্নান্দোর লেগ সাইড দিয়ে বের হতে যাওয়া শর্ট ডেলিভারি ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে ফাইন লেগে ধরা পড়লেন। ২৩ বলে ২ বাউন্ডারি আর ১ ছক্কায় তার ব্যাট থেকে আসে ২২ রান।
১৫৯ রানে ৫ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। সেখান থেকে দলকে অনেকটা এগিয়ে নিয়েছেন জাকের আলী আর তাওহিদ হৃদয়। ৬১ বলে ৪৫ রান যোগ করেন এই জুটি। জাকের এলবিডব্লিউ হয়ে ফিরে যাবার আগে ৪০ বলে ২ বাউন্ডারিতে ২৪ রান করেন।
তাওহিদ হৃদয় তার ক্যারিয়ারের অষ্টম ফিফটি করেন ৬৮ বলে। কিন্তু দুর্ভগ্যজনকভাবে রানআউট হয়ে ফিরতে হয় তাকে। তানজিম সাকিবের সঙ্গে দুই রান নিতে চাইলে ভুল বোঝাবুঝি হয়, ননস্ট্রাইক এন্ড থেকে অনেকটা পথ এগিয়ে গিয়েছিলেন হৃদয়। ৬৯ বলে ২ বাউন্ডারিতে তার ইনিংসটি ছিল ৫১ রানের।
এর পর বলতে গেলে আর কোনো আশা ছিল না। হাসান মাহমুদ (০) আর তানভীর ইসলাম (৪) দ্রুতই আউট হলে লড়াকু পুঁজি গড়ার সম্ভাবনা ক্ষীণ হয়ে যায়। তবে তানজিম সাকিব শেষের দিকে ঝলক দেখিয়েছেন। ব্যাটারদের মতোই দায়িত্ব নিয়ে দলকে নিয়ে গেছেন সম্মানজক অবস্থানে।
শ্রীলঙ্কার পেসার আসিথা ফার্নান্দো ৩৫ রানে শিকার করেন ৪টি উইকেট। স্পিনার ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা নিয়েছেন ৩ উইকেট, বাকি দুটি উইকেট ভাগাভাগি করেছেন দুশমন্ত চামিরা ও চারিথ আসালাঙ্কা।
(ঢাকাটাইমস/৫জুলাই/আরকে)

মন্তব্য করুন