শেখ হাসিনা পালানোর আগে স্বজনদেরকে খুদে বার্তা পাঠিয়েছিল: আলাল

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা টাইমস
  প্রকাশিত : ০৬ জুলাই ২০২৫, ১৪:৩৭
অ- অ+

শেখ হাসিনা পালানোর আগে তার আত্মীয়-স্বজনদেরকে খুদে বার্তা পাঠিয়েছিল বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল।

তিনি বলেন, শেখ হাসিনা তার আত্মীয়-স্বজনদেরকে আগে জানিয়ে দিয়েছিল বলেই তারা কেউ গ্রেপ্তার হয়নি।

রবিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের মিলনায়তনে বাংলাদেশ গণজাগরণ দলের উদ্যোগে ২০১১ সালের ৬ জুলাই তৎকালীন সংসদের বিরোধীদলীয় চিফ হুইফ জয়নুল আবদিন ফারুকের উপর নৃশংস ঘৃণিত হামলার সাথে জড়িত হারুন, বিপ্লবদের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবিতে প্রতিবাদী সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।

শেখ হাসিনা পালানোর আগে তার আত্মীয়-স্বজনদেরকে খুদে বার্তা পাঠিয়েছিল মন্তব্য করে আলাল বলেন, কোন গণমাধ্যমে এ তথ্য আসে নাই। অথচ এই তথ্যটা আরো বেশি বেশি প্রচার হওয়া দরকার ছিল। যে শেখ হাসিনা ২ আগস্ট তার আত্মীয়-স্বজনদেরকে খুদে বার্তা পাঠিয়েছিল যে তোমরা যে যেভাবে পারো দেশ ছেড়ে চলে যাও। দেশ থেকে বিদেশে পালাও। যে কারণে তার কোন আত্মীয়-স্বজন গ্রেপ্তার হয়নি। সবাই নিরাপদে দেশ থেকে পালিয়ে গেছে।

তিনি বলেন, দেশে নতুন করে রাজনৈতিক জোট পাকানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। তাই যারা আন্দোলনের সাথে ছিল এবং যে যুবকরা নতুন দল গঠন করেছে তাদেরকে সংশোধন হওয়ার জন্য বলি এটা শুধু ছাত্রদের আন্দোলন ছিল না। এ আন্দোলনের সাথে ছাত্রীরাও জড়িত ছিলেন, তাদের মা রাও জড়িত ছিলেন। এটা হবে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন। শুধু ছাত্রদের আন্দোলন না এবং এর পেছনে প্রেরণা ও শক্তি দিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের নেতৃত্বে যে জোট, সেই জোট ছিল এর পেছনের শক্তিদাতা।

যুবদলের সাবেক এই সভাপতি বলেন, সবচেয়ে বেশি শহীদের সংখ্যা বিএনপিতে, সবচেয়ে বেশি আহত সংখ্যা বিএনপিতে, সবচেয়ে বেশি গুমের সংখ্যা বিএনপিতে কিন্তু আমরা এই কৃতিত্বের দাবি করি না। আমরা মনে করি বিএনপির এটা করা উচিত ছিল, করেছে।

নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া বছরের পর বছর জেল খেটেছেন একটি মিথ্যা মামলায়। নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। তারপরও শেখ হাসিনা যখন পালিয়ে যায় দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া বলেছিলেন আজ শান্তির দিন। কেউ প্রতিহিংসায় মেতে উঠবেন না। কেউ অন্যায় করবেন না। দিস ইজ খালেদা জিয়া। সেই বেগম খালেদা জিয়ার সৈনিক জয়নুল আবদিন ফারুক, দেখুন জিয়ার সৈনিক আমরা তাই আমাদেরকে সেই লক্ষ্য সামনে রেখে এগিয়ে যেতে হবে।

তিনি আরো বলেন, দেশে নতুন আরেকটা রঙ্গিলা বাক্স নিয়ে হাজির হয়েছে। এই রঙ্গিলা বাক্সটা হচ্ছে পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন। পিআর পদ্ধতি যেসব দেশে আছে সেই সব দেশগুলোতে কোন একটি দেশেও স্থিতিশীল সরকার নাই। স্বাভাবিক গতির সরকার নাই। বেলজিয়াম ও ইসরাইলেও আছে। ইসরাইলের নাম বললে আর কোন দেশের কথা বলা লাগে না। এই পিআর পদ্ধতি নির্বাচনের আরো অনেক ব্যাখ্যা রয়েছে। তবে একটা জিনিস সবাইকে পরিষ্কারভাবে বুঝতে হবে তা হল একটি পুরাতন বিল্ডিং ভেঙে ফেলতে হলে তার আগে ওই জায়গায় কি করবেন সেটার পরিকল্পনা নিতে হবে। এখন বিল্ডিং ভেঙে ফেললেন কোন পরিকল্পনা নাই তাহলে ওই জায়গাটা ফাঁকা হয়ে যাবে। আর ফাঁকা জায়গায় ঝড়-বৃষ্টি টর্নেডো হয়। সে টর্নেডো ঝড়ের প্রত্যাশা নিয়ে পিয়ার এর পক্ষে কারা কারা আছেন সেটা নিয়ে আমাদেরকে গভীরভাবে চিন্তা করতে হবে।

প্রতিবাদ সমাবেশে আর বক্তব্য দেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, সাবেক এমপি লায়ন মোহাম্মদ হারুনুর রশিদ, সংগঠনটির সভাপতি হাবিব আহমেদ আশিক, সহ-সভাপতি সিরাজুল ইসলাম মনির, ইসমাইল হোসেন সিরাজী প্রমুখ।

(ঢাকা টাইমস/০৬জুলাই/জেবি/এসএ)

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
হাসপাতালের গার্ডকে চড় মেরে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় হারান মুরাদ হাসান! কোথায় এখন!
ভারতের ইন্ধনে সরকার উৎখাত ষড়যন্ত্রে লিপ্ত এনবিআর- রাশেদ প্রধান
নির্বাচন পিছিয়ে দেয়ার ষড়যন্ত্রকারীদের বিচার হবে : আমিনুল হক 
গাজীপুরে চুরি যাওয়া মোটরসাইকেল উদ্ধার, গ্রেপ্তার ৪  
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা