নবাবগঞ্জে শিক্ষার মানোন্নয়নে সভা
আওয়ামী লীগ সরকার শিক্ষকদের দিয়ে সিল মেরেছে: আবু আশফাক

ঢাকা জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান খন্দকার আবু আশফাক বলেছেন, গত দেড়যুগ আওয়ামী লীগ সরকার শিক্ষকদের রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করেছে। তাদের স্বাধীনতা কেড়ে নেওয়ার পাশাপাশি তাদের দিয়ে সিল মেরেছে। ভবিষ্যতে কোনো শিক্ষককে যাতে ভোট চুরির যন্ত্রে পরিণত করা না হয়, সেই বিষয়ে সচেতন থাকতে হবে।
বুধবার দুপুরে নবাবগঞ্জে শিক্ষকদের নিয়ে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
এদিন শিক্ষার মানোন্নয়ন বিষয়ক সভায় দোহার-নবাবগঞ্জ সরকারি কলেজ মিলনায়তনে উপজেলার আটটি কলেজের প্রায় দেড় শতাধিক শিক্ষক এতে অংশ নেন। সভায় সভাপতিত্ব করেন দোহার-নবাবগঞ্জ সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ সদানন্দ মধু।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে খন্দকার আশফাক বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকার আমলে প্রিজাইডিং অফিসারদের হুমকি দিয়ে ভোট কেন্দ্রে সিল মারা হয়েছে। এসব অনৈতিক কাজ থেকে শিক্ষকদের রক্ষা করতে হবে। পেশাদারিত্ব বজায় রেখে শিক্ষকদের শিক্ষার মানোন্নয়নে মনোনিবেশ করতে হবে।’
‘বিগত দেড় যুগে শিক্ষকদের রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে। তাদের স্বাধীনতা কেড়ে নেওয়া হয়েছিল। এবার সেই বিশৃঙ্খলা ভাঙতে হবে। ভবিষ্যতে আর যেন কোনো শিক্ষককে ভোট চুরির যন্ত্রে পরিণত করা না হয়, সেই বিষয়ে আমরা সচেতন থাকবো।’
এসময় আগামী কোনো নির্বাচনে ভোট কেন্দ্র দখলের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহৃত হতে চান না শিক্ষকরা—এমন বার্তা দেন তারা। বলেন, এখন থেকে শিক্ষকরা শুধুমাত্র শিক্ষার পরিবেশ উন্নয়নে কাজ করবে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থী নিয়ন্ত্রণে কার্যকর ব্যবস্থা এবং শিক্ষকদের নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবি জানান তারা।
নবাবগঞ্জ পাইলট উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ সাইদুর রহমান বলেন, ‘আমাদের অতীতের অভিজ্ঞতা সুখকর নয়। এখন সময় এসেছে দায়িত্বশীল হওয়ার। না হলে শিক্ষকরা আবারও লাঞ্ছনার শিকার হবেন।’
সভায় আরও বক্তব্য রাখেন পিকেবি স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ শাহ আজিজুল ইসলাম, শিকারীপাড়া তোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আমজাদ হোসেন, শোল্লা স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ হেলাল উদ্দিন আহমেদ।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন নবাবগঞ্জ উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আব্দুস সালাম, সাধারণ সম্পাদক খন্দকার আবুল কালাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এরশাদ আল মামুন, ঢাকা জেলা দক্ষিণ ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম নিরব, থানা ছাত্রদলের সভাপতি ইসতিয়াক চৌধুরী প্রমুখ।

মন্তব্য করুন