মিটফোর্ডে ব্যবসায়ী খুন: চাঁদাবাজি নয়, দোকান দখল নিয়েই বিরোধে হত্যা

পুরান ঢাকার মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে ব্যবসায়ী লাল চাঁদ ওরফে সোহাগকে হত্যার ঘটনায় নতুন তথ্য জানিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। চাঁদাবাজির অভিযোগ নয়, বরং একটি দোকানে কারা ব্যবসা করবে—এই নিয়ে চলমান দ্বন্দ্ব থেকেই এ হত্যাকাণ্ড ঘটে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
শনিবার (১২ জুলাই) দুপুরে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে লালবাগ বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন এই তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ‘ভাঙারি ব্যবসা ও দোকানে কারা ব্যবসা করবে, তা নিয়ে বিরোধ চলছিল। নিহত সোহাগ ও অভিযুক্তরা আগে একসঙ্গে ব্যবসা করতেন। লেনদেন ও অংশীদারত্ব নিয়ে মতবিরোধ থেকেই এই সহিংসতার সূত্রপাত ঘটে।’
গত বুধবার (৯ জুলাই) সন্ধ্যা ৬টার দিকে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ৩ নম্বর গেটের সামনে লাল চাঁদ ওরফে সোহাগ নামের ওই ব্যবসায়ীকে একদল সন্ত্রাসী পিটিয়ে ও পাথর নিক্ষেপ করে হত্যা করে। খবর পেয়ে কোতোয়ালি থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়। পরে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
পরদিন নিহতের বড় বোন বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। যেখানে ১৯ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ১৫/২০ জনকে আসামি করা হয়েছে। সোহাগের মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন ও ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
ঘটনার পর পুলিশ ১১ জুলাই ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে এবং বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে এজাহারভুক্ত আসামি মাহমুদুল হাসান মহিন ও তারেক রহমান রবিনকে গ্রেপ্তার করে। এ সময় রবিনের কাছ থেকে একটি বিদেশি পিস্তল উদ্ধার করা হয়।
র্যাবের পৃথক অভিযানে আরও দুজন—আলমগীর ও মনির ওরফে ছোট মনির—কে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এছাড়া শুক্রবার রাতে টিটন গাজী নামের আরও এক আসামিকে আটক করে কোতোয়ালি থানা পুলিশ।
ডিসি জসীম উদ্দিন বলেন, ‘ঘটনার পেছনের মূল কারণ উদঘাটন এবং সকল জড়িতদের গ্রেফতারে একটি চৌকস তদন্ত টিম কাজ করছে। পুলিশ এই ঘটনায় অত্যন্ত তৎপর। দ্রুতই সব অপরাধীদের আইনের আওতায় আনা হবে।’

মন্তব্য করুন