গোপালগঞ্জে পরিস্থিতি ভয়াবহ, ১৪৪ ধারা জারি

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা টাইমস
  প্রকাশিত : ১৬ জুলাই ২০২৫, ১৬:৪১| আপডেট : ১৬ জুলাই ২০২৫, ১৬:৪৮
অ- অ+

সকাল থেকে গোপালগঞ্জ শহরসহ বিভিন্ন স্থানে চলছে সংঘর্ষ। আওয়ামী লীগ ও নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে যুজে যাচ্ছে। দুই পক্ষেই আহত হতে দেখা রগেছে। এ পরিস্থিতিতে গোপালগঞ্জ জেলায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে।

বুধবার বিকালে জেলা প্রশাসনের একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাংবাদিকদের ১৪৪ ধারার জারির তথ্য জানান।

এদিকে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেনাবাহিনী পুলিশের সঙ্গে যোগ দিয়েছে চার প্লাটুন বিজিবি। বিজিবির জনসংযোগ কর্মকর্তা শরিফুল ইসলাম তথ্য নিশ্চিত করেন।

গোপালগঞ্জে আটকা পড়া এনসিপির উত্তরাঞ্চলীয় মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে দেওয়ার এক পোস্টে সবাইকে গোপালগঞ্জে যাওয়ার ডাক দিয়েছেন। পোস্টে সারজিস লিখেন, ‘গোপালগঞ্জে খুনি হাসিনার দালালরা আমাদের ওপর আক্রমণ করেছে। পুলিশ পিছু হটছে। আমরা যদি এখান থেকে বেঁচে ফিরি তাহলে মুজিববাদের কবর রচনা করেই ফিরব, না হয় ফিরব না।’

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) পদযাত্রা কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে বুধবার সকাল থেকেই উত্তপ্ত গোপালগঞ্জ। পুলিশের গাড়িতে হামলার পর অগ্নিসংযোগ, ইউএনওর গাড়িতে হামলা, এনসিপির সমাবেশ মঞ্চে ভাঙচুর এবং পরে পদযাত্রায় নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা চালায় আওয়ামী লীগ, নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ ও অন্য সহযোগী সংগঠনের কর্মীরা।

এদিন এনসিপির সমাবেশ শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা এনসিপির নেতাকর্মীদের ঘিরে ধরে হামলার চেষ্টা করে। চারদিক থেকে এনসিপির নেতা-কর্মী ও পুলিশের গাড়ি আটকে দেয়।

এ সময় পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা সাউন্ড গ্রেনেড ও ফাঁকা গুলি ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে। এনসিপির নেতা-কর্মীরা অন্য দিক দিয়ে গাড়ি ঘুরিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।

আজ বেলা পৌনে তিনটার দিকে শহরের পৌর পার্কে এনসিপি নেতা-কর্মীদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। পরে এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক নাসিরুদ্দীন পাটোয়ারী সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করেন, আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা এই হামলা চালিয়েছে। এ সময় পুলিশ-সেনাবাহিনী নিষ্ক্রিয় ভূমিকা পালন করেছেন। বলা হয়েছিল, সবকিছু ঠিক আছে। কিন্তু তারা সমাবেশস্থলে এসে দেখেন পরিস্থিতি ঠিক নেই।

এর আগে বেলা পৌনে দুইটার দিকে ২০০ থেকে ৩০০ লোক লাঠিসোঁটা নিয়ে এনসিপির সমাবেশস্থলে যায়। সে সময় মঞ্চের আশপাশে থাকা পুলিশ সদস্যরা সেখান থেকে দ্রুত আদালত চত্বরে ঢুকে পড়ে। একই সময়ে মঞ্চে ও মঞ্চের সামনে থাকা এনসিপির নেতা-কর্মীরাও দৌড়ে সরে যান। যারা হামলা চালান, তারা সবাই আওয়ামী লীগের সমর্থক বলে এনসিপির নেতা-কর্মীরা অভিযোগ করেন।

হামলাকারীরা মঞ্চের চেয়ার ভাঙচুর করেন, ব্যানার ছিঁড়ে ফেলেন। ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনাও ঘটে। একপর্যায়ে জেলা পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান ঘটনাস্থলে যান। এনসিপির নেতা-কর্মী ও পুলিশ এক হয়ে ধাওয়া দিলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। পরে এনসিপি সেখানে সমাবেশ শুরু করে।

(ঢাকাটাইমস/১৬জুলাই/এলএম/মোআ)

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
মিরপুরে চুরি-ডাকাতি ও মাদকসহ ২০ মামলার আসামি শাকিল গ্রেপ্তার
জামায়াত-শিবিবের হামলায় গুরুতর আহত ছাত্রদল নেতার পাশে তারেক রহমান
গোপালগঞ্জের সংঘর্ষে নিহত বেড়ে ৪
গোপালগঞ্জে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ যুবক ঢামেকে ভর্তি, অবস্থা আশঙ্কাজনক
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা