আ.লীগের সারা দেশের নেতাকর্মীরা গোপালগঞ্জে ক্যান্টনমেন্ট বানিয়েছে: নাসিরউদ্দিন পাটোয়ারী

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সমন্বয়ক নাসির উদ্দিন পাটোয়ারী বলেছেন, দেশে আওয়ামী লীগের সব নেতাকর্মী গোপালগঞ্জে অবস্থান নিয়েছে এবং এখানে নিজেদের একটা ক্যান্টনমেন্ট বানিয়েছে।
আজ বুধবার (১৬ জুলঅই) বিকালে এনসিপির পদযাত্রা থেকে ফেরার পথে নেতাকর্মীদের গাড়িবহরে হামলার পর সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
নাসিরউদ্দিন পাটোয়ারী বলেন, ‘নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা এখানে অবস্থান নিয়েছে। সকাল থেকে তারা আমাদের ওপর মুহুর্মুহু হামলা করেছে। তাদের সব বাধা অতিক্রম করে আমরা এখানে উপস্থিত হয়েছি। কিন্তু এখন দেখতে পাচ্ছি গ্রাম থেকে লাঠিসোটা, ইট-পাটকেল নিয়ে এখানে এসেছে।’
নাসির বলেন, ‘আমরা এখন অবরুদ্ধ আছি। দেশবাসীকে আহ্বান জানাচ্ছি, প্রশাসনকে আহ্বান জানাচ্ছি আপনারা গোপালগঞ্জের আস্তানা ভেঙে দিন। গোপালগঞ্জবাসীকে এই সন্ত্রাসীদের আস্তানা থেকে আপনারা মুক্ত করেন। যদি আপনারা কিছু না করতে পারেন আমরা লড়াই সংগ্রাম শুরু করব। গোপালগঞ্জ থেকে আমরা আমাদের যুদ্ধ ঘোষণা করব।’
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) পদযাত্রা কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে বুধবার সকাল থেকেই উত্তপ্ত গোপালগঞ্জ। পুলিশের গাড়িতে হামলার পর অগ্নিসংযোগ, ইউএনওর গাড়িতে হামলা, এনসিপির সমাবেশ মঞ্চে ভাঙচুর এবং পরে পদযাত্রায় নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা চালায় আওয়ামী লীগ, নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ ও অন্য সহযোগী সংগঠনের কর্মীরা।
এদিন এনসিপির সমাবেশ শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা এনসিপির নেতাকর্মীদের ঘিরে ধরে হামলার চেষ্টা করে। চারদিক থেকে এনসিপির নেতা-কর্মী ও পুলিশের গাড়ি আটকে দেয়।
এ সময় পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা সাউন্ড গ্রেনেড ও ফাঁকা গুলি ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে। এনসিপির নেতা-কর্মীরা অন্য দিক দিয়ে গাড়ি ঘুরিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।
আজ বেলা পৌনে তিনটার দিকে শহরের পৌর পার্কে এনসিপি নেতা-কর্মীদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। পরে এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক নাসিরুদ্দীন পাটোয়ারী সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করেন, আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা এই হামলা চালিয়েছে। এ সময় পুলিশ-সেনাবাহিনী নিষ্ক্রিয় ভূমিকা পালন করেছেন। বলা হয়েছিল, সবকিছু ঠিক আছে। কিন্তু তারা সমাবেশস্থলে এসে দেখেন পরিস্থিতি ঠিক নেই।
এর আগে বেলা পৌনে দুইটার দিকে ২০০ থেকে ৩০০ লোক লাঠিসোঁটা নিয়ে এনসিপির সমাবেশস্থলে যায়। সে সময় মঞ্চের আশপাশে থাকা পুলিশ সদস্যরা সেখান থেকে দ্রুত আদালত চত্বরে ঢুকে পড়ে। একই সময়ে মঞ্চে ও মঞ্চের সামনে থাকা এনসিপির নেতা-কর্মীরাও দৌড়ে সরে যান। যারা হামলা চালান, তারা সবাই আওয়ামী লীগের সমর্থক বলে এনসিপির নেতা-কর্মীরা অভিযোগ করেন।
হামলাকারীরা মঞ্চের চেয়ার ভাঙচুর করেন, ব্যানার ছিঁড়ে ফেলেন। ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনাও ঘটে। একপর্যায়ে জেলা পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান ঘটনাস্থলে যান। এনসিপির নেতা-কর্মী ও পুলিশ এক হয়ে ধাওয়া দিলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। পরে এনসিপি সেখানে সমাবেশ শুরু করে।
(ঢাকাটাইমস/১৬জুলাই/এলএম/মোআ)

মন্তব্য করুন