মিটফোর্ড হত্যাকাণ্ডের প্রকৃত অপরাধীদের চিহ্নিত করার দাবি মির্জা ফখরুলের

পুরান ঢাকায় মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে মাথা থেঁতলে হত্যাকাণ্ডসহ কয়েকটি ঘটনার অতিদ্রুত তদন্ত করে প্রকৃত অপরাধীদের চিহ্নিত করার জন্য দাবি জানিয়েছেন বিএনপির মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
শনিবার (১২ জুলাই) বিকালে গুলশানে হোটেল লেকশোরে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের এক অনুষ্ঠানে এই দাবি জানান বিএনপির মহাসচিব।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘একটা কথা পরিষ্কার করে বলতে চাই, যে ঘটনাগুলো ঘটছে, সরকারকে আহ্বান জানাব, অতিদ্রুত তদন্ত করে প্রকৃত যারা অপরাধী, তাদের বের করে শান্তির ব্যবস্থা করুন। অন্যথায় জাতি আপনাদের ক্ষমা করবে না। দেশকে গণতন্ত্রের পথে ফিরিয়ে নেয়ার সময় এসব সমস্যা তৈরি হওয়ার জন্য জাতি আপনাদের দায়ী করবে।’
যারা ত্যাগ স্বীকার করেছে তাদের ধৈর্য ধরার পরামর্শ দিয়ে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘আপনারা অপেক্ষা করুন গণতন্ত্রের জন্যে। কেউ যেন অন্যায় কাজ করতে না পারে।’
বিএনপি কোনোদিন কোনো অন্যায়কে সমর্থন করেনি উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘বিএনপি কখনো অন্যায়কে সমর্থন করবে না। বিএনপি আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা অতীতেও করেছে এবং এবারও করবে।’
‘জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থান, শোক ও বিজয়ের বর্ষপূর্তি’ উপলক্ষে ‘গণঅভ্যুত্থানে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের অমর শহীদদের স্মরণে’ অনুষ্ঠানটি আয়োজন করে জাতীয়তাবাদী ছাত্র দল। এতে লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
‘দ্রুত নির্বাচন চাই’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমরা অত্যন্ত আন্তরিকতার সঙ্গে বাংলাদেশে রাষ্ট্রব্যবস্থা, রাষ্ট্রকাঠামোর পরিবর্তন করে একটা নির্বাচন দ্রুত চাই। কারণ গণতন্ত্রের কোনো বিকল্প নাই। আর গণতন্ত্রের প্রথম পদক্ষেপ হচ্ছে নির্বাচন।’
‘নির্বাচন নেই বলে আজকে দেশে এই ঘটনাগুলো ঘটছে, আইনশৃঙ্খলার ঘটনাগুলো ঘটছে, আইনশৃঙ্খলা অবণতি ঘটছে, মৃত্যু বাড়ছে, দুবৃর্ত্তরা সুযোগ নিচ্ছে কারণ তাদের পেছনে জনগনের সমর্থন নেই। কিন্তু একটা নির্বাচিত সরকার এলে নিঃসন্দেহে সেটা শক্তিশালী সরকার হবে।’ বলেন ফখরুল।
বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘আমি আবারও এই আশার কথা বলতে চাই যে, আমরা নিশ্চয়ই সবাই মিলে ঐক্যবদ্ধ থেকে একটা গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হবো।’
ছাত্র দলের আত্মত্যাগকারীর শহীদদের নিয়ে একটি পুস্তক তৈরি করার পরামর্শ দেন বিএনপি মহাসচিব। তিনি বলেন, বিএনপি রাষ্ট্রক্ষমতায় গেলে শহীদদের যথাযথ সম্মান দেবে।
জুলাই-আগস্টের শহীদ এবং আহতদের যথাযথ ক্ষতিপূরণ এবং পুনর্বাসনের ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য অন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রতি দাবি জানান বিএনপি মহাসচিব।
ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিবের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছিরের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় শহীদ পরিবারের সদস্যরা ছাড়াও বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী ও ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক রকিবুল ইসলাম বকুল বক্তব্য দেন।
(ঢাকাটাইমস/১২জুলাই/মোআ)

মন্তব্য করুন