গণহত্যার দায়ে শেখ হাসিনার সঙ্গে আ.লীগেরও বিচার হওয়া উচিত: মির্জা ফখরুল

গণহত্যার দায়ে শেখ হাসিনার সঙ্গে আওয়ামী লীগেরও বিচার হওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, ‘ফ্যাসিবাদের পক্ষে আওয়ামী লীগ কাজ করেছে, তাদের প্রতিটি ব্যক্তির শাস্তি হওয়া প্রয়োজন। আইনের আওতায় আসা উচিত। বিশেষ করে দলের প্রধান শেখ হাসিনা, তার বিচার কিন্তু শুরু হয়েছে। আমরা আশা করি, যারা এই হত্যাকাণ্ডে, গণহত্যা এবং এই ফ্যাসিবাদের ও আক্রমণের সঙ্গে জড়িত, প্রত্যেকেরই বিচার হবে। সেই হিসেবে দল যদি আইনের আওতায় নিয়ে এসে, দলগত হিসেবে অবশ্যই তাদের বিচার হওয়া উচিত।’
বুধবার আগারগাঁওয়ে নিউরো সাইন্স হাসপাতালে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিল সদস্য ও জিয়া পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. আব্দুল কুদ্দুসকে দেখতে গিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশের গণমাধ্যমের পক্ষ থেকে বিভিন্ন তথ্য উপাত্ত তুলে ধরে রিপোর্ট করেছি বিগত ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে, আজকেই বিবিসি তথ্য উপাত্ত দিয়ে- এক নিউজে ফোনকল পাওয়া গেছে এবং তিনি (শেখ হাসিনা) হত্যার নির্দেশ দিচ্ছে, গুলি চালানোর নির্দেশ দিচ্ছে। এখন এমন একটি দলের বিষয়ে আপনার কী মতামত, তাদের কি নিষিদ্ধ হওয়া দরকার, তারা কি সামনের নির্বাচনে অংশ নিতে পারে, তাদের কি বিচার হওয়া দরকার?-এমন প্রশ্নের জবাবে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আপনারা ভালো করে জানেন, এই আওয়ামী লীগের নির্যাতন, নিপীড়ন, হত্যা, গুম-খুনে সবচেয়ে বড় ভিক্টিম বিএনপি এবং আমি নিজেও ১১২ টা মামলা এবং ১৩ বার জেলে যাওয়ার সুযোগ হয়েছে। আমরা সবসময়ই মনে করি, যে সমস্ত রাজনৈতিক দল ফ্যাসিবাদের পক্ষে থাকবে, যারা ফ্যাসিবাদের পক্ষে কাজ করবে, আওয়ামী লীগ কাজ করেছে, তাদের প্রতিটি ব্যক্তির শাস্তি হওয়া প্রয়োজন। আইনের আওতায় আসা উচিত। বিশেষ করে দলের প্রধান শেখ হাসিনা তিনি এককভাবে ‘রেসপন্সিবল ফর কিলিং, হাউজ অব পিপলস’ । সুতরাং তার বিচার কিন্তু শুরু হয়েছে। আমরা আশা করি, যারা এই হত্যাকাণ্ডে, গণহত্যা এবং এই ফ্যাসিবাদের ও আক্রমণের সাথে জড়িত, প্রত্যেকেরই বিচার হবে। সেই হিসেবে দল যদি আইনের আওতায় নিয়ে এসে, দলগত হিসেবে। তাহলে অবশ্যই তাদের বিচার হওয়া উচিত।
তিনি বলেন, গণতন্ত্রের সবচেয়ে বড় শক্তি যদি কেউ থাকে, সেটা হলো বিএনপি এবং সবচেয়ে বেশি লড়াই যদি কেউ করে, সেটা বিএনপি। বাংলাদেশে এক দলীয় শাসন ব্যবস্থা থেকে বিএনপি নিয়ে এসেছে বহুদলীয় গণতন্ত্রে। দেশটাকে সবাই মিলে বাঁচাতে হবে এবং প্রত্যেকটি রাজনৈতিক দলের দায়িত্ব হচ্ছে, দেশকে সঠিক ট্র্যাকে উঠানো এবং যত দ্রুত সেটা উঠানো যাবে, ততই মঙ্গল। সুতরাং যারা মনে করে, নির্বাচন প্রয়োজন নেই, আমার মনে হয় তারা আবার চিন্তা করবেন। নির্বাচন প্রয়োজন জনগণের জন্য, একটা নির্বাচিত সরকার দরকার। নির্বাচন হলে জনগণের সম্পর্ক থাকবে। সেই কারণেই আমরা বলছি, সংস্কার এবং নির্বাচন এর মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই, একসাথে চলতে থাকবে।
(ঢাকা টাইমস/০৯জুলাই/জেবি/এসএ)

মন্তব্য করুন