চলচ্চিত্রে সরকারি অনুদান প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন তুললেন নায়ক নিরব

আগেই জানা গেছে, চলচ্চিত্র নির্মাণের জন্য ২০২৪-২৫ অর্থবছরে ৩২টি চলচ্চিত্রকে ৯ কোটি টাকা সরকারি অনুদান দেওয়া হবে। এর মধ্যে থাকবে ১২টি পূর্ণদৈর্ঘ্য এবং ২০টি স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র। মঙ্গলবার দিবাগত রাতে প্রকাশিত হয়েছে সরকারি অনুদানের প্রজ্ঞাপন। এবার পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র নির্মাণের জন্য অনুদান দেওয়া হয়েছে ৭৫ লাখ টাকা এবং স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র নির্মাণকারীরা পাবেন ২০ লাখ টাকা।
তবে প্রতিবছরের মতো এবারও অনুদান ঘোষণার পর চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্টদের মধ্যে শুরু হয়েছে আলোচনা-সমালোচনা। চলছে বেশ তর্ক-বিতর্ক। এবারের চলচ্চিত্রে অনুদান বিতরণে স্বচ্ছতা ও কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন নায়ক নিরবও।
নায়ক নিরব জানান, “বিগত সময়ের মতো এবারও মূলধারার সিনেমাকে উপেক্ষা করা হয়েছে। মূলধারার সিনেমায় যদি অনুদান দেয়া হতো, তাহলে সাধারণ দর্শকেরাও সেই সিনেমা উপভোগ করতে পারত। কিন্তু বিকল্প ধারার সিনেমাতে অনুদান দেয়ার ফলে অধিকাংশ সময় সেগুলো ঠিকভাবে মুক্তিই পায় না।”
তিনি আরও বলেন, “বিকল্প ধারার সিনেমাগুলোর টার্গেট থাকে দেশ-বিদেশের পুরস্কার। কিন্তু জনগণের টাকায় নির্মিত সিনেমা যদি তারাই না দেখতে পায়, তাহলে এর কোনো মূল্য থাকে না। অনেকে এই বিষয়টি নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় কথা বলছে। অনুদান দেয়ার পরে নিয়মিত তদারকি করা উচিত, এবং নিশ্চিত করতে হবে যেন সিনেমাগুলো বড় পরিসরে মুক্তি পায়।”
উল্লেখ্য, নিরব নিজেও দুটি অনুদানের সিনেমায় অভিনয় করেছেন— ‘ফিরে দেখা’ (পরিচালক রোজিনা) ও ‘ছায়াবৃক্ষ’ (পরিচালক বন্ধন বিশ্বাস)। একটি মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক, অপরটি চা বাগানের শ্রমিকদের জীবনকে কেন্দ্র করে নির্মিত। দুটি সিনেমাই মুক্তি পেলেও অভিজ্ঞতা খুব ভালো ছিল না বলেও উল্লেখ করেন নিরব।
অনুদান কমিটির গঠন নিয়েও নিরবের অভিযোগ রয়েছে। তার মতে, “কমিটিতে বিকল্প ধারার লোকজন বেশি থাকেন। তাই শুধু বিকল্প ধারা নয়, মূলধারার অভিজ্ঞদেরও সেই কমিটিতে রাখা উচিত।”
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশে সরকারি অনুদানপ্রাপ্ত চলচ্চিত্র প্রকল্পটি তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে ১৯৭৬ সাল থেকে চালু হয়। রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে কিছু সময় বন্ধ থাকলেও ২০০৭-০৮ অর্থবছর থেকে এটি আবার নিয়মিত হয়। প্রথম অনুদানপ্রাপ্ত চলচ্চিত্র ছিল ‘সূর্য দীঘল বাড়ী’।
(ঢাকাটাইমস/৩জুলাই/এলএম)

মন্তব্য করুন