রাষ্ট্রপতির ক্ষমা কমাতে একমত বিএনপি-জামায়াত-এনসিপিসহ সব দল

ঢাকা টাইমস ডেস্ক
  প্রকাশিত : ০৪ জুলাই ২০২৫, ১১:৩৭| আপডেট : ০৪ জুলাই ২০২৫, ১১:৩৯
অ- অ+

রাষ্ট্রপতির ক্ষমা প্রদর্শনের ক্ষমতা কমাতে একমত হয়েছে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, এনসিপিসহ সব রাজনৈতিক দল। এ জন্য সংশোধন করা হবে সংবিধানের ৪৯ অনুচ্ছেদ।

রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের নবম দিনের সংলাপে এ বিষয়ে একমত হয় রাজনৈতিক দলগুলো।

রাষ্ট্রপতি দণ্ডিত অপরাধীকে ক্ষমা করার আগে ভুক্তভোগীর মতামত নেওয়া এবং ক্ষতিপূরণের বিধান রাখার বিষয়েও একমত হয় দলগুলো।

সংবিধানের ৪৯ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, যেকোনো দণ্ডিত ব্যক্তির সাজা মওকুফ, স্থগিত করতে পারেন রাষ্ট্রপতি। তবে ৪৮(৩) অনুচ্ছেদের কারণে আদতে তা প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শেই হয়। এ ক্ষমতায় লাগাম টানতে দণ্ডিত ব্যক্তি ক্ষমার যোগ্য কি না, তা নির্ধারণে সুপারিশ কমিটি বা বোর্ড গঠনের প্রস্তাবে ঐকমত্য হয় সংলাপে।

ব্যক্তিগত অপরাধের ক্ষেত্রে ভুক্তভোগী বা তার পরিবারের অনুমতি ছাড়া অপরাধীকে ক্ষমা করা যাবে না- এমন প্রস্তাব করে জামায়াত। ভুক্তভোগীকে ন্যায্য ক্ষতিপূরণ দেওয়ার প্রস্তাব করে দলটি। বিএনপি, এনসিপিসহ অধিকাংশ দল এ প্রস্তাবে একমত হয়।

রাষ্ট্রপতির ক্ষমার অপপ্রয়োগ হয়েছে উল্লেখ করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ফাঁসির আসামিকে ছেড়ে দিয়ে হত্যাযজ্ঞের উৎসাহ দেওয়া হয়েছে। তাই আইন প্রণয়নের মাধ্যমে এর নিয়ন্ত্রণে বিএনপি একমত।

এবি পার্টির সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ আওয়ামী লীগ শাসনামলে রাষ্ট্রপতির ক্ষমার পরিসংখ্যান তুলে ধরেন। ওই সময় হত্যায় মামলায় দণ্ডিত ২৭ ফাঁসির আসামিকে ২৮ বার রাষ্ট্রপতি ক্ষমা করেন। এক আসামি দুবারও ক্ষমা পেয়েছেন। সব আসামি ছিল আওয়ামী লীগের।

এনসিপির আখতার হোসেন বলেন, অতীতে রাষ্ট্রপতির ক্ষমার নামে শীর্ষ সন্ত্রাসীদেরও ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। ভুক্তভোগী পরিবারকে ন্যায্য ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।

রাষ্ট্রপতির ক্ষমা কমাতে যে রাজনৈতিক ঐকমত্য তৈরি হয়েছে, তা ভবিষ্যতে সংবিধানে অন্তর্ভুক্তির মাধ্যমে বাস্তবায়িত হবে বলে জানান আলী রীয়াজ জানান।

গতকালের সংলাপে বিভাগীয় পর্যায়ে হাইকোর্টের স্থায়ী বেঞ্চ প্রতিষ্ঠায় ঐকমত্য হয়েছে বলে জানান কমিশনের অধ্যাপক আলী রীয়াজ। ১০০ অনুচ্ছেদ সংশোধন করে যোগ করা হবে, রাজধানীর বাইরে প্রতিটি বিভাগে প্রধান বিচারপতি কর্তৃক নির্ধারিত হাইকোর্ট বিভাগের এক বা একাধিক স্থায়ী বেঞ্চ থাকবে

এ সংক্রান্ত আলোচনায় বিএনপি বিভাগীয় শহরে হাইকোর্টের সার্কিট বেঞ্চ স্থাপনের প্রস্তাব করে। অন্য দলগুলো স্থায়ী বেঞ্চ গঠনের প্রস্তাব করে। বিএনপি তা মেনে নেয়।

আলী রীয়াজ জানান, দ্বিতীয় ধাপের ৯ দিনের সংলাপে ১৩টি প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা হয়েছে। পাঁচটিতে ঐকমত্য হয়েছে। আগামী সোমবার আবার ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর বৈঠক বসবে।

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
কুমিল্লায় ব্র্যান্ডের চালের বস্তায় লোকাল চাল, ৬০ হাজার টাকা জরিমানা
নাহিদ আবার বললেন, দেশ সংস্কার না করে কোনো নির্বাচন হবে না
সালথায় গরু চুরির হিড়িক, সর্বস্বান্ত হচ্ছেন কৃষক ও খামারিরা
সেনাপ্রধানের সঙ্গে তুরস্কের প্রতিরক্ষাশিল্প সচিবের সাক্ষাৎ
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা