সিলেটে পরিবহন শ্রমিকদের ধর্মঘটে অচল সড়ক, যাত্রী ভোগান্তি

সিলেট জেলার পাথর কোয়ারি খুলে দেওয়াসহ ছয় দফা দাবিতে সিলেট জেলায় পরিবহন শ্রমিকদের লাগাতার 'পরিবহন শ্রমিক কর্মবিরতি' চলছে। আজ মঙ্গলবার (৮ জুলাই) সকাল ছয়টা থেকে শুরু হয়েছে এই কর্মবিরতি।
শ্রমিকদের কর্মবিরতির ফলে রাস্তায় কোনো ইঞ্জিনচালিত গণপরিবহন চলছে না। ফলে কার্যত সড়ক যোগাযোগ অচল হয়ে পড়েছে।
সিলেট বিভাগীয় সড়ক পরিবহন মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদ এই কর্মবিরতির ডাক দেয়।
সড়ক পরিবহন মালিক-শ্রমিকদের দবিগুলো হলো— সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮ এর ৩৬ ধারার বাস-মিনিবাসের ক্ষেত্রে ২০ বছর এবং ট্রাক পিকআপ কাভার্ডভ্যান ২৫ বছর, সিএনজি ও ইমা লেগুনার ক্ষেত্রে ১৫ বছর ইকোনোমিক লাইফ নির্ধারণ করার প্রজ্ঞাপন বাতিল করা, সিলেটের সব পাথর কোয়ারির ইজারা স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার ও সনাতন পদ্ধতিতে বালুমহাল এবং পাথর কোয়ারি খুলে দেওয়া, বিআরটিএ কর্তৃক সব গাড়ির ফিটনেস সার্টিফিকেট প্রদানে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের ছাড়পত্র বাতিল, গণপরিবহন ও পণ্য পরিবহনের ওপর আরোপিত বর্ধিত ট্যাক্স প্রত্যাহার করা।
অন্য দাবির মধ্যে রয়েছে— সিলেটের সব ক্রাশার মিলের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্নকরণ বন্ধ, বিদ্যুৎ মিটার ফেরত ও ভাঙচুরকৃত মিলের ক্ষতিপূরণ এবং গাড়ি থেকে নিয়ে যাওয়া পাথর ও বালুর ক্ষতি পূরণ দেওয়া, সিলেটের পরিবহন মালিক-শ্রমিক ও ব্যবসায়ী এবং সাধারণ মানুষের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়া, জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ শের মাহবুব মুরাদকে অবিলম্বে সিলেট থেকে প্রত্যাহার করা এবং সড়কে বালু ও পাথরবাহী গাড়িসহ সব ধরনের পণ্যবাহী গাড়ির চালকদের হয়রানি বন্ধ করা।
সিলেট জেলা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সভাপতি ও জামায়াত নেতা মাওলানা লোকমান আহমদ শ্রমিক কর্মবিরতিতে রাস্তায় নিজ মালিকানাধীন পরিবহনগুলো চালানোর ঘোষণা দিলেও সকাল সাড়ে নয়টা পর্যন্ত বাস-ট্রাক বা অন্য কোনো পরিবহন রাস্তায় চলাচল করতে দেখা যায়নি। এতে জরুরি প্রয়োজনে যারা ঘর থেকে বের হয়েছেন তাদের পথে আটকে থাকতে দেখা যায়। অনেকে পায়ে হেঁটে রওনা দেন গন্তব্যের উদ্দেশে।
এদিকে সিলেট জেলা সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মইনুল ইসলাম বলেন, ‘লোকমান আহমদ মালিক সমিতির কোনো নেতা নন, তার কোনো গাড়ি নেই, উনি কে কোথা থেকে আসছেন তা আমরা চিনি না। আমাদের দাবি আদায়ে পরিবহন ধর্মঘট চলবে।’
(ঢাকাটাইমস/৮জুলাই/মোআ)

মন্তব্য করুন