নির্বাচন ভবনে রোপণ করা গাছ থেকে সরানো হলো আউয়াল কমিশনের নামফলক

নির্বাচন কমিশনের (ইসি) প্রাঙ্গণে সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালসহ কমিশনারদের রোপণ করা গাছগুলো থেকে নামফলক (নেমপ্লেট) সরিয়ে ফেলা হয়েছে। বিএনপির করা মামলায় গ্রেপ্তারের পর এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
২০২৪ সালের ১০ জুলাই নির্বাচন ভবনের লেকপাড়ে ফলদ গাছ রোপণ করেন তৎকালীন সিইসি হাবিবুল আউয়াল, চার কমিশনার এবং ইসি সচিব। সফেদা, জলপাই, জামরুল, আমসহ ছয়টি গাছের গোড়ায় খুঁটিতে ঝুলানো ছিল তাদের নামফলক। বর্তমানে সবগুলো নামফলকই সরিয়ে ফেলা হয়েছে।
ইসির জনসংযোগ পরিচালক মো. শরিফুল আলম জানান, তৎকালীন সিইসি সফেদা গাছের চারা রোপণ করেন। কমিশনার মো. আহসান হাবিব খান রোপণ করেন জলপাই, রাশেদা সুলতানা জামরুল, মো. আলমগীর আম এবং আনিছুর রহমান মিষ্টি জলপাই গাছের চারা। ইসি সচিব শফিউল আজিমও একটি সফেদা গাছ রোপণ করেন।
সূত্র জানায়, ২০১৭ সাল থেকেই নির্বাচন ভবন প্রাঙ্গণকে সবুজায়নের উদ্যোগ নেওয়া হয়। তবে সে সময় ফুলগাছ বেশি থাকলেও ফলদ গাছের সংখ্যা ছিল অল্প। আউয়াল কমিশনের সময় সে ঘাটতি পূরণে ছয়টি ফলদ গাছ রোপণ করা হয়েছিল।
তবে বিএনপির করা মামলায় গ্রেপ্তারের পর এবং আদালতে নির্বাচনী অনিয়মের স্বীকারোক্তির প্রেক্ষিতে এসব নামফলক সরিয়ে ফেলার সিদ্ধান্ত হয়।
প্রসঙ্গত, ২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারির দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজন করে আউয়াল কমিশন, যা একতরফা ও 'ডামি নির্বাচন' বলে সমালোচিত হয়। বিএনপি নির্বাচন বাতিলের দাবি জানিয়ে আউয়াল কমিশনসহ গত তিন কমিশনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে। এরই ধারাবাহিকতায় ২৫ জুন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ মগবাজারের বাসা থেকে কাজী হাবিবুল আউয়ালকে গ্রেপ্তার করে। বর্তমানে তিনি রিমান্ড শেষে কারাগারে রয়েছেন।
(ঢাকাটাইমস/৪জুলাই/এলএম)
মন্তব্য করুন