আদালত এখনো ফ্যাসিবাদের দোসরমুক্ত নয়: আবু হানিফ

দেশের আদালত এখনও ফ্যাসিবাদের দোসরমুক্ত হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন গণঅধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদ সদস্য ও গণমাধ্যম সমন্বয়ক আবু হানিফ। তিনি বলেছেন, আগে শেখ হাসিনার নির্দেশে রায় হতো, এখন কার নির্দেশে আদালত চলছে সেটা খুঁজে বের করতে হবে।
বরিশালে আদালত কর্তৃক গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর, সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খানসহ নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে জাতীয় পার্টির মামলা নেওয়ার প্রতিবাদে কিশোরগঞ্জে এক সভায় এ কথা বলেন হানিফ।
শুক্রবার (৪ জুলাই) বিকালে কিশোরগঞ্জ জেলা কার্যালয়ের সামনে থেকে মিছিল শুরু করে মুক্ত মঞ্চের সামনে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যের মাধ্যমে শেষ হয়।
সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে গণঅধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদ সদস্য ও গণমাধ্যম সমন্বয়ক আবু হানিফ বলেন, ‘বরিশালে গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর, সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খানসহ ২৫ জন নেতাকর্মীর নামে মামলা নিতে আদালত যে নির্দেশ দিয়েছে, আমরা তার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।’
জাতীয় পার্টির বিচারের আগে তাদের কোনো রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড করতে দেবে না জনগণ- এমন উল্লেখ করে আবু হানিফ বলেন, ‘বরিশালে জাতীয় পার্টির মিছিলে যোগ দেয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা, সেটা প্রতিহত করতে গেলে গণঅধিকার পরিষদের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা করেছিল তারা। এখন আবার সেই জাতীয় পার্টি আদালতে মামলার আবেদন করে। আদালতও সেটা গ্রহণ করে।’
এই আদালতে এখনও ফ্যাসিবাদের দোসরদের নিয়ন্ত্রণে বলে অভিযোগ করে গণঅধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদ সদস্য ও গণমাধ্যম সমন্বয়ক বলেন, ‘আগে হাসিনার নির্দেশে রায় হতো, এখন কার নির্দেশে আদালত চলছে সেটা খুঁজে বের করতে হবে। আদালতকে ফ্যাসিবাদের দোসরমুক্ত করতে হবে।’
হানিফ বলেন, ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান না হলে এই দেশের মানুষ ফ্যাসিবাদ থেকে মুক্তি পেত না। সেই জুলাই গণঅভ্যুত্থানে যারা সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছে, জনগণকে মুক্ত করার জন্য পুলিশের গুলির সামনে বুক পেতে দিয়েছিল, তাদের মধ্যে অন্যতম নুরুল হক নুর। এই জুলাই গণঅভ্যুত্থানের বছরপূর্তিতে নেতাদের নামে আদালত কীভাবে মিথ্যা মামলার নেওয়ার নির্দেশ দেয় সেটা বোধগম্য নয়।’ এই বিপ্লবীদের নামে কাদের ইশারায় মামলা হচ্ছে তা জানতে চান তিনি।
হানিফ বলেন, ‘আওয়ামী লীগ গত ১৫ বছরে বাংলাদেশে ফ্যাসিবাদ কায়েম করেছিল। জুলাইয়ে ছাত্র জনতার আন্দোলনের মুখে দেশ ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয় স্বৈরাচার হাসিনা। হাসিনা পালিয়ে গেলেও তার দোসররা এখনও দেশে রয়ে গেছে। ১৪ দল ও জাতীয় পার্টি আওয়ামী লীগকে ফ্যাসিবাদ হতে সহযোগিতা করেছে। আওয়ামী লীগের বিচারের পাশাপাশি এই দোসরদের বিচার হওয়া উচিত।’
কিশোরগঞ্জ জেলা গণঅধিকারের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সুমন তালুকদারের সঞ্চালনায় আর বক্তব্য দেন কিশোরগঞ্জ জেলার সাধারণ সম্পাদক অভি চৌধুরী, যুব অধিকার পরিষদ কিশোরগঞ্জ জেলার সভাপতি সোহাগ মিয়া, সাধারণ সম্পাদক হাসান আহমেদ রমজান, ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি ইমন খান, সাধারণ সম্পাদক পায়েল চৌধুরী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল, শ্রমিক অধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক, সহ সভাপতি আশরাফ প্রমুখ। (ঢাকাটাইমস/৪জুলাই/জেবি/মোআ)

মন্তব্য করুন