চুয়াডাঙ্গা ও কক্সবাজারে সড়কে ঝরল পাঁচ প্রাণ

চট্গ্রাম-কক্সবাজার সড়কের চকোরিয়ায় চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়েচেন পাঁচজন। এর মধ্যে চুয়াডাঙ্গায় তিনজন এবং কক্সবাজারে দুজন প্রাণ হারান।
চুয়াডাঙ্গার দুর্ঘটনাটি ঘটে বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) রাতে আলমডাঙ্গা-কুষ্টিয়া আঞ্চলিক সড়কের নওদাপাড়া এলাকায়। সেখানে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় দুজন মারা যান। পরে গভীর রাতে থানার সামনে পাখিভ্যান থেকে পড়ে আরেকজনের মৃত্যু হয়।
নিহতরা হলেন, বেলগাছি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাহমুদুল হাসান চঞ্চলের ছেলে রিয়াদ (১৩), চেয়ারম্যানের মুরগি খামারের কর্মী পলাশ (৩৫) ও কালিদাসপুর গ্রামের হান্নান হোসেন।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বৃহস্পতিবার রাতে কুষ্টিয়া থেকে শপিং শেষে মোটরসাইকেলযোগে বাড়ি ফিরছিলেন রিয়াদ ও পলাশ। তারা নওদাপাড়া এলাকায় পৌঁছালে একটি পিকআপভ্যান তাদের বহন করা মোটরসাইকেলটিকে ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যান রিয়াদ। গুরুতর আহত হন পলাশ। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়ার পথে তিনিও মারা যান।
এদিকে, গভীর রাতে আলমডাঙ্গা থানা ভবনের সামনে ব্যাটারিচালিত পাখিভ্যান থেকে পড়ে হান্নান হোসেন মারা যান। প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, হান্নান নেশাজাতীয় দ্রব্য সেবনের পর মাইক্রো স্ট্যান্ড থেকে পাখিভ্যানে করে উপজেলা পরিষদের দিকে যাচ্ছিলেন। থানার সামনে গতিরোধকের ওপর দিয়ে ভ্যানটি যাওয়ার সময় তিনি ছিটকে রাস্তায় পড়ে গুরুতর আহত হন। পরে স্থানীয়রা তাকে হাসপাতালে নেওয়ার পথে মৃত্যু হয়।
আলমডাঙ্গা থানার ওসি মাসুদুর রহমান এসব তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, সুরতহাল শেষে রিয়াদ ও পলাশের লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। আর হান্নান মাদকাসক্ত ছিলেন। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, তিনি নেশাগ্রস্ত অবস্থায় পড়ে গিয়ে মারা যান। ময়নাতদন্তের পর বিস্তারিত জানা যাবে।
কক্সবাজার
বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) রাত ১২টার দিকে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের চকরিয়ায় যাত্রীবাহী বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে গেলে দুজন নিহত হন। আহত হন আরও ৬ জন।
চকরিয়ার উপজেলার হারবাংয়ের গয়ালমারা এলাকায় সংঘটিত এ দুর্ঘটনায় হতাহতদের নাম-পরিচয় জানা যায়নি।
চিরিঙ্গা হাইওয়ে পুলিশের ইনচার্জ মুহাম্মদ আরিফুল আমিন জানান, চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজারমুখী হানিফ পরিবহনের একটি বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে সড়কের পশ্চিমে খাদে পড়ে যায়। পরে ফায়ার সার্ভিসের টিম ও স্থানীয় লোকজন উদ্ধার তৎপরতা চালিয়ে দুজনকে বাসের নিচ থেকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করে। এছাড়া ছয়জন যাত্রীকে জীবিত উদ্ধার করে চকরিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠাযনো হয়।
(ঢাকাটাইমস/৪জুলাই/মোআ)

মন্তব্য করুন