সিরাজগঞ্জ-৩ আসনের সাবেক এমপি আব্দুল মান্নান তালুকদার আর নেই

সিরাজগঞ্জ-৩ (রায়গঞ্জ-তাড়াশ) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য এবং জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি আব্দুল মান্নান তালুকদার মারা গেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
শুক্রবার (১৮ জুলাই) বেলা ১১টায় ঢাকায় নিজ বাসভবনে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুর খবর শুনে তার নিজ গ্রাম ও সংসদীয় আসনে শোকের ছায়া নেমে পড়েছে।
সিরাজগঞ্জ জেলা বিএনপির সহদপ্তর সম্পাদক শেখ মো. এনামুল হক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, জানাজার সময় ও স্থান পরে জানানো হবে।
সাবেক এই সংসদ সদস্যের মৃত্যুতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, জেলা বিএনপির সভাপতি রুমানা মাহমুদ এবং সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান বাচ্চু গভীর শোক প্রকাশ করেছেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন।
রায়গঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সাবেক সাধারণ সম্পাদকের সাথে কথা হলে তারা জানান, আমরা আমাদের অভিভাবকে হারালাম। আব্দুল মান্নান তালুকদার ছিলেন দলমত ঊর্ধ্বে সবার নেতা। আমরা এমন একটা নেতাকে হারালাম যার অভাব আমাদের কোন দিন পূরণ হবে না। আমরা রায়গঞ্জ উপজেলা বিএনপি সহ সকল সহযোগী সংগঠনের পক্ষ থেকে শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি।
উল্লেখ্য, কাটার মহল পরগনার সম্ভ্রান্ত জমিদার পরিবারে জন্মগ্রহণ করেছিলেন আব্দুল মান্নান তালুকদার। তিনি ১৯৩৬ সালের ২ মার্চ সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলার ধুবিল ইউনিয়নে জন্ম গ্রহণ করেন। ১৯৫৪ সালে মেট্রিক পাসের পর ভর্তি হন সিরাজগঞ্জ সরকারি কলেজে। সে সময়েই ছাত্ররাজনীতিতে যুক্ত হয়ে কলেজ ছাত্র সংসদে সমাজসেবা সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছিলেন।
শিক্ষাজীবনের পাশাপাশি নিজ নামে ‘সোনালী আঁশ’ নামে একটি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন, যা ১৯৬৬ থেকে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত সুনামের সঙ্গে পরিচালিত হয়। একইসঙ্গে তিনি প্রথম শ্রেণির একজন সফল ঠিকাদার হিসেবেও পরিচিত ছিলেন।
১৯৯১ সালে তিনি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিয়ে সিরাজগঞ্জ-৩ আসন থেকে বিপুল ভোটে জয়লাভ করেন। এরপর ১৯৯১ সালের পঞ্চম, ফেব্রুয়ারি ১৯৯৬ সালের ষষ্ঠ, জুন ১৯৯৬ সালের সপ্তম এবং ২০০১ সালের অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পরপর চারবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।আব্দুল মান্নান তালুকদার স্হানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের স্হায়ী কমিটির চেয়ারম্যান থাকা অবস্থায় তার নিজ সংসদীয় আসনে স্কুল, কলেজ,মাদ্রাসা,মসজিদ,মুন্দির, রাস্তাঘাট, ব্রিজ,কালভাট সহ নানা উন্নয়নমূলক কাজ করেছেন। এজন্য যুগ যুগ তাকে শ্রদ্ধার সাথে স্বরণ করবে দলমত নির্বিশেষর সর্বস্তরের জনগণ। এছাড়া ২০০৮ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনে তিনি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেও পরাজিত হন।(ঢাকা টাইমস/১৮জুলাই/এসএ)

মন্তব্য করুন