রাজধানীতে পেশাজীবীদের মৌন মিছিল: গণতন্ত্র রক্ষায় সতর্ক থাকার আহ্বান

গণতন্ত্র বিনষ্টের পাঁয়তারা এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে কুৎসা রটনার প্রতিবাদে রাজধানীতে মৌন মিছিল করেছে বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ।
শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাব থেকে শুরু হয়ে কদমফুল ফোয়ারা, তোপখানা রোড ও পুরানা পল্টন এলাকা ঘুরে মিছিলটি আবার প্রেসক্লাবের সামনে এসে শেষ হয়। নেতৃত্ব দেন পরিষদের আহ্বায়ক প্রফেসর ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন এবং সদস্য সচিব সাংবাদিক কাদের গনি চৌধুরী।
মিছিলে অংশ নেন দেশের বিশিষ্ট শিক্ষক, চিকিৎসক, প্রকৌশলী, কৃষিবিদ, আইনজীবী, সাংবাদিকসহ বিভিন্ন পেশার প্রতিনিধিরা।
মিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে ডা. জাহিদ হোসেন বলেন, 'গণতন্ত্রকে ধ্বংসের ষড়যন্ত্র চলছে। যারা এই ষড়যন্ত্রে লিপ্ত, তারা গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার পথে সবচেয়ে বড় বাধা।'
তিনি অভিযোগ করেন, ষড়যন্ত্র করে কেউ কেউ আবারও চোরাই পথে ক্ষমতায় আসতে চায়, কিন্তু জনগণ তা মেনে নেবে না। তারেক রহমানের বিরুদ্ধে কুৎসা রটানো হয়েছে—এটা স্বৈরাচারী আচরণের নমুনা।
সাংবাদিক কাদের গনি চৌধুরী বলেন, '১৮ বছর ধরে দেশের মানুষ ভোটের অধিকার ফেরত পেতে লড়াই করে যাচ্ছে। আজও সেই অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়নি। প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ জায়গাগুলোতে এখনো ফ্যাসিবাদের দালালরা বসে আছে, যাদের সরাতে হবে।'
তিনি সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্টসহ সব ‘কালো আইন’ বাতিল, জাতীয় নেতাদের বিরুদ্ধে ‘চরিত্রহননের রাজনীতি’ বন্ধ এবং আগামী ফেব্রুয়ারির মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের আহ্বান জানান। তা না হলে পেশাজীবীরা ‘অধিকার আদায়ে রাস্তায় নামতে বাধ্য হবেন’ বলেও হুঁশিয়ারি দেন।
মিছিলে আরও উপস্থিত ছিলেন উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. এবিএম ওবায়দুল ইসলাম, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. লুৎফর রহমান, সিনিয়র আইনজীবী সুব্রত চৌধুরী, অধ্যক্ষ সেলিম ভূঁইয়া, ডা. রফিকুল ইসলাম লাবু, ইঞ্জিনিয়ার আসাদুজ্জামান চুন্নু, সাংবাদিক আমিরুল ইসলাম কাগজী, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব রফিকুল ইসলামসহ অসংখ্য পেশাজীবী প্রতিনিধি।
সমাবেশে বক্তারা সব ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর এবং সাংবিধানিক অধিকার প্রতিষ্ঠায় ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানান।
(ঢাকাটাইমস/১৮জুলাই/এসএস)

মন্তব্য করুন