ভারতীয় প্রভাবমুক্ত জাতীয় নির্বাচন চায় জাগপা

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা টাইমস
  প্রকাশিত : ৩০ জুন ২০২৫, ১৪:৪৯
অ- অ+

জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি জাগপার সহ-সভাপতি ও দলীয় মুখপাত্র রাশেদ প্রধান বলেছেন, সকলের মতো আমরাও সংস্কার চাই। অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ, গ্রহণযোগ্য এবং ভারতীয় প্রভাবমুক্ত নির্বাচন চাই। একই সাথে বিচার এবং ভিনদেশি প্রভুর হাত থেকে মুক্তি চাই, নাজাত চাই।

সোমবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। এ সময় তারা জুলাই গণঅভ্যুত্থান পালনে দলীয় কর্মসূচি ঘোষণা করেন।

সংবাদ সম্মেলনে রাশেদ প্রধান বলেন, ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনে আমাদের লড়াইটা শুধুমাত্র শেখ হাসিনা আর আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে ছিল না। আমাদের সংগ্রাম এবং লড়াই শেখ হাসিনা, আওয়ামী লীগের সাথে সাথে আগ্রাসী ভারতের আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধেও ছিল। শেখ হাসিনা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী নয় বরং বাংলাদেশকে ভারতের করদ রাজ্য বানিয়ে ভারতের মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করতেন। গণহত্যাকারী ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনাকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দিল্লি সরকার আশ্রয় দিয়ে তাই প্রমাণ করেছে। নির্বাচন এবং সংস্কারকে সামনে রেখে আমরা ভারত কর্তৃক অতীতে সীমান্তে হত্যা, ভূমি দখল, পানির ন্যায্য হিস্যা না দেওয়া, দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় ও নির্বাচনে হস্তক্ষেপ ভুলে গেছি। ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার পতনের পরেও সীমান্ত হত্যা এবং ক্রমাগত অবৈধ পুশইন দেখেও না দেখার ভান করছি।

জুলাই গণঅভ্যুত্থানের কথা স্মরণ করে তিনি বলেন, বছর ঘুরে আমরা ঐতিহাসিক জুলাই মাসের দ্বারপ্রান্তে। যেই জুলাই গণঅভ্যুত্থান আমাদের পরাধীনতার শিকল ভেঙে স্বাধীনতার স্বাদ দিয়েছিল। যেই জুলাই গণঅভ্যুত্থান আমাদের ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা এবং আওয়ামী দুঃশাসন থেকে মুক্ত করেছিল। আগত জুলাই মাসের দ্বারপ্রান্তে আমরা জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সকল শহীদদের শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি।

গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়তে জাতীয় নির্বাচনের বিকল্প নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, বাংলাদেশের সকল গণতন্ত্রকামী রাজনৈতিক দলের মতো আমরাও আসন্ন ফেব্রুয়ারি মাসে জাতীয় নির্বাচনের অপেক্ষায় রয়েছি। একই সাথে জাতীয় নির্বাচনের পূর্বে প্রয়োজনীয় সংস্কার প্রক্রিয়া দেখার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছি। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্যি নির্বাচন এবং সংস্কার নিয়ে আমরা যতটা আগ্রহী, বিচার নিয়ে ততটাই উদাসীন। আমাদের দেশের বড় বড় রাজনৈতিক দল, জাতীয় নেতৃবৃন্দ এমনকি হাজারো শহীদের রক্তের বিনিময়ে ক্ষমতায় বসা অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টাদের বক্তব্যে, নির্বাচন এবং সংস্কার নিয়ে যতো কথা শোনা যায় তার শতভাগের দশ ভাগও বিচারের কথা শোনা যায় না। জুলাই গণঅভ্যুত্থানের এক বছর পূরণ হওয়ার পূর্বেই আমরা জুলাই গণহত্যাকে ভুলতে বসেছি। আমরা ভুলে গেছি পিলখানা গণহত্যা, শাপলা গণহত্যা, মোদিবিরোধী আন্দোলনের গণহত্যা, লগি-বৈঠা গণহত্যা। আমরা ভুলে গেছি গণহত্যাকারী ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা এবং তার দোসরদের।

এ সময় তারা জুলাই গণঅভ্যুত্থান স্মরণে, আগামীর বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে কর্মসূচি ঘোষণা করে।

* জুলাই মাসের প্রথম দিন অর্থাৎ ১ তারিখ জুলাই শহীদদের স্মরণে এবং জুলাই মাসের শেষ দিন অর্থাৎ ৩১ তারিখ জুলাই আহতদের স্মরণে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে।

জুলাই মাসের বাকি ২৯ দিন ভারতীয় আগ্রাসনের বিরুদ্ধে, গণহত্যার দায়ে ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা ও তার দোসরদের বিচার এবং সন্ত্রাসী সংগঠন আওয়ামী লীগের বিচারের দাবিতে ৮টি বিভাগীয় শহর এবং জাগপার ২০টি সাংগঠনিক জেলায় গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণের মাধ্যমে গণসচেতনতা সৃষ্টি করা হবে।

আগস্ট মাসের ৫ তারিখ শেখ হাসিনা ও আওয়ামী দুঃশাসনের হাত থেকে মুক্তি অর্থাৎ বাংলাদেশের নাজাত দিবসে শুকরান নামাজ পড়া হবে।

গণহত্যাকারী ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনাকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় ১ বছর ভারতে আশ্রয় দেওয়ার প্রতিবাদে এবং খুনি হাসিনাকে ফেরত দেওয়ার দাবিতে ৬ আগস্ট ঢাকায় অবস্থিত ভারতীয় দূতাবাস ঘেরাও করা হবে।

(ঢাকা টাইমস/৩০জুন/জেবি/এসএ)

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
বিএনপিতে কেন গুরুত্বহীন লুৎফুজ্জামান বাবর
৩৬ জুলাই গণঅভ্যুত্থানে মাসব্যাপী কর্মসূচির ঘোষণা গণঅধিকার পরিষদের
ডিবির অভিযানে গুলিবর্ষণকারী শীর্ষ সন্ত্রাসী বাপ্পির বাসায় মিলল আরও দুটি বিদেশি পিস্তল
কালকের কর্মসূচিতে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের বার্তা থাকবে: রিজভী
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা