নোয়াখালীতে ছাত্রঅধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় নেতার বাবা-মাকে মারধর, মামলা তুলে নিতে হুমকি

নোয়াখালী প্রতিনিধি, ঢাকা টাইমস
  প্রকাশিত : ৩০ জুন ২০২৫, ১৩:৩০| আপডেট : ৩০ জুন ২০২৫, ১৪:১৩
অ- অ+

নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার জাহাজমারা ইউনিয়নে ৪ নম্বর ওয়ার্ড বিরবিরি গ্রামের জায়গাজমি নিয়ে বিরোধের জেরে ছাত্র অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির রাজনীতি ও প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক সাহারাজ উদ্দিনের পরিবারের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে।

এসময় হামলাকারীরা সাহারাজের বাবা-মাসহ বেশ কয়েকজনকে পিটিয়ে এবং কুপিয়ে জখম করে। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের পর আসামিরা তাদের প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে, যার ফলে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন সাহারাজের পরিবারের লোকজন।

সোমবার দুপুরে জেলা শহর মাইজদীতে গণঅধিকার পরিষদের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এমন অভিযোগ করেন ছাত্র অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির রাজনীতি ও প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক সাহারাজ উদ্দিন। এসময় গণঅধিকার পরিষদ, ছাত্রঅধিকার পরিষদ ও শ্রমিক অধিকার পরিষদের জেলার নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

লিখিত বক্তব্যে সাহারাজ উদ্দিন বলেন, হাতিয়ার জাহাজমারার গ্রামের বাড়িতে তার ছোট দুই ভাই ও বাবা-মা বসবাস করেন। বাড়ির জায়গাজমি নিয়ে প্রতিপক্ষের সাথে কিছু ঝামেলা ছিল তার পরিবারের। যেটি আইনগতভাবে সমাধান করা সম্ভব ছিল। কিন্তু গত ২৪ জুন দুপুর ১টার দিকে তাদের প্রতিপক্ষের নেছার উদ্দিন, সাহাব উদ্দিন, সালাউদ্দিন ও রাসেলসহ তাদের লোকজন দেশীয় ধারালো অস্ত্র নিয়ে আমার পরিবারের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। এসময় তারা আমার মা-বাবাসহ ৪ জনকে পিটিয়ে এবং কুপিয়ে জখম করে। পরে স্থানীয় লোকজনের সহযোগিতায় তাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। এ ঘটনায় আমার বাবা সিরাজ উদ্দিন বাদী হয়ে ৬ জনের নাম উল্লেখ করে হাতিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।

তিনি অভিযোগ করে বলেন, মামলা দায়েরের পর হাতিয়া থানা পুলিশ আমাদের কোনো ধরনের সহযোগিতা করছে না। বরং হামলাকারীরা আমার ১২ ও ১৬ বছর বয়সী দুই ছোট ভাইকে আসামি করে আমার পরিবারের বিরুদ্ধে একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করেন। ওই মামলাকে পুঁজি করে আমার পরিবারকে হয়রানি করছে পুলিশ। এছাড়া আসামিরা মামলা তুলে নিতে আমার পরিবারকে হুমকি ধমকি দিচ্ছে এবং অন্যথায় প্রাণনাশের হুমকি দেন। তিনি এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও হামলাকারীদের বিচারের দাবিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

হাতিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে এম আজমল হুদা বলেন, পুলিশ কাউকে হয়রানি করছে না। তাদের বাড়ির মাঝখানের উঠানের জায়গা নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে বিরোধ ছিল। এর জেরে উভয়পক্ষের মধ্যে মারামারি হয়, যাতে দুইপক্ষের লোকজন আহত হয়েছিল। থানায় উভয় পক্ষ পাল্টাপাল্টি মামলা দিয়েছে। আমরা বিষয়টি তদন্ত করছি। তদন্ত শেষে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

(ঢাকা টাইমস/৩০জুন/এসএ)

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
‘পিস্তল কেন, মিসাইল সঙ্গে রাখলেও আমি-আপনি নিরাপদ নই’
ডেঙ্গুতে মৃত্যুহীন ২৪ ঘণ্টা, নতুন আক্রান্ত ৪২৯
বিভ্রান্তিকর সংবাদ প্রকাশে ক্ষেপেছেন মিষ্টি জান্নাত
বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় চীন ইতিবাচক, নির্বাচিত সরকার নিয়ে আশাবাদ: মির্জা ফখরুল
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা