আবু সাঈদ হত্যা মামলার আনুষ্ঠানিক অভিযোগ ট্রাইব্যুনালে জমা, আসামি ৩০

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রথম শহীদ রংপুরে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ হত্যার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আনুষ্ঠানিক অভিযোগ (ফরমাল চার্জ) দাখিল করা হয়েছে। এতে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক প্রক্টর শরিফুল ইসলামসহ ৩০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
সোমবার (৩০ জুন) সকালে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশনের রেজিস্ট্রার কার্যালয়ে এ অভিযোগ দাখিল করা হয়।
প্রসিকিউটর গাজী এম এইচ তামিম সততা নিশ্চিত করে সাংবাদিকদের জানান, আবু সাঈদ হত্যা মামলার ফরমাল চার্জ ট্রাইব্যুনাল-২ এ জমা দেওয়া হয়েছে।
আজই এ বিষয়ে শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে। ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি নজরুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারিক প্যানেলে শুনানি হওয়ার কথা। ট্রাইব্যুনালের সদস্যরা হলেন— অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. মঞ্জুরুল বাছিদ এবং জেলা ও দায়রা জজ নূর মোহাম্মদ শাহরিয়ার কবীর।
এর আগে এ সংক্রান্ত বিষয়ে রবিবার (২৯ জুন) প্রসিকিউটর গাজি এম এইচ তামিম সাংবাদিকদের বলেন, ‘চিফ প্রসিকিউটর স্যার সরকারি গুরুত্বপূর্ণ কাজে ব্যস্ত থাকায় আবু সাঈদ মামলার ফরমাল চার্জ জমা দেওয়ার কথা থাকলেও জমা দেওয়া হয়নি।’
আবু সাঈদ হত্যার ঘটনায় গত ২৪ জুন প্রসিকিউটরের কার্যালয়ে চিফ প্রসিকিউটর বরাবর তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয় তদন্ত সংস্থা। এতে ৩০ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে।
বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক প্রক্টর শরিফুল ইসলামসহ ৩০ জনকে এ মামলায় আসামি করা হয়েছে। পুলিশের সাবেক সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) আমির হোসেন, সাবেক কনস্টেবল সুজন চন্দ্র রায় ও নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগ নেতা ইমরান চৌধুরীও এ মামলার আসামি। তবে বাকি আসামিদের নাম প্রকাশ করবেন না বলে জানান মিজানুল ইসলাম।
গত বছরের ১৬ জুলাই দুপুর ২টা ১৭ মিনিটে আবু সাঈদকে হত্যা করা হয়। পুলিশের বন্দুকের সামনে দুই হাত দুই দিকে প্রসারিত করে আবু সাঈদের বুক চিতিয়ে দাঁড়ানো সেই ছবি বিশ্বজুড়ে আলোড়ন তোলে। আন্দোলনকে নিয়ে যায় তুঙ্গে। এই আন্দোলনের শেষ পরিণতি স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার পতন এবং নতুন বাংলাদেশের যাত্রা।
(ঢাকাটাইমস/৩০জুন/মোআ)

মন্তব্য করুন