‘আগুনসন্ত্রাস মোকাবেলা করে প্রধানমন্ত্রী দেশকে এগিয়ে নিচ্ছেন’

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
  প্রকাশিত : ১৫ ডিসেম্বর ২০১৯, ২১:৫৩
অ- অ+

স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. হেলালুদ্দিন আহমদ বলেছেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জন ছিল সবচেয়ে বড় অর্জন। আর তার কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্বাধীনতা বিরোধীদের ষড়যন্ত্র, জঙ্গি, অগ্নিসন্ত্রাস মোকাবেলা করে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন।

রবিবার বিকালে নারায়ণগঞ্জের ভূঁইয়ার বাগ এলাকায় বিদ্যানিকেতন হাইস্কুলে বিজয় দিবস উপলক্ষে দুই দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথির বক্তব্যে সচিব এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে বাঙালিরা যদি পরাজিত হতো তবে বাঙালি জাতির অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যেতো না। যুদ্ধবিধ্বস্থ বাংলাদেশকে মাত্র সাড়ে তিন বছর নেতৃত্ব দিয়ে বঙ্গবন্ধু সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন। কিন্তু ৭৫ এর ১৫ আগস্ট তাকে সপরিবারের হত্যার মধ্যে দিয়ে দেশের অগ্রযাত্রাকে থামিয়ে দিয়েছিল স্বাধীনতাবিরোধী চক্র। ২০০৯ সালের নির্বাচনের মধ্যে দিয়ে তারই কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্বাচিত হয়ে বাংলাদেশকে সম্মৃদ্ধির দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন।

সচিব হেলালুদ্দিন আরও বলেন, স্বাধীনতা বিরোধীদের ষড়যন্ত্র, জঙ্গি, আগুনসন্ত্রাস মোকাবেল করে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ২০২১ সালে মধ্যে মধ্যম আয়ের দেশে উন্নত হওয়ার কথা থাকলেও আমার এরই মধ্যে মধ্যম আয়ের দেশে উন্নত হয়ে গেছি। দেশের মানুষের মাথা পিছু আয় বেড়েছে।

দেশের ১৬ কোটি মানুষ যদি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ হয়ে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিতে পারে তবে ২০৪১ সালে বাংলাদেশ উন্নত রাষ্ট্রে পরিণিত হবে বলে তিনি মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, তখন এই দেশে সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, ক্ষুধা দারিদ্র থাকবে না। বাংলাদেশ প্রতিটি মানুষের বাড়ি থাকবে, গাড়ি থাকবে, থাকবে ব্যাংক ব্যালেন্স।

বিদ্যানিকেতন স্কুলের পরিচালনা পরিষদের সভাপতি ও দৈনিক সংবাদ পত্রিকার ব্যবস্থাপনা সম্পাদক কাসেম হুমায়ুনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন-শহীদ বুদ্ধিজীবী শহীদুল্লাহ কায়সারের কন্যা এফবিসিসিআইয়ের পরিচালক ও বিশিষ্ট অভিনেত্রী শমী কায়সার, নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক মো: জসিম উদ্দিন, জেলা পুুলিশের ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার মনিরুল ইসলাম, মুক্তিযোদ্ধা ও অগ্রনী ব্যাংকের পরিচালনা পরিষদের সদস্য ডক্টর ফরজ আলী, মুক্তিযোদ্ধা আমিনুর রহমান, স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক জাহিদুল হক, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের প্রধান নিবার্হী এএফএম এহেতেশামুল হক, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা) রেহেনা আক্তার, নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাহিদা বারিক ও নারায়ণগঞ্জ জেলা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি আব্দুস সালাম প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে শমী কায়সার বলেন, আমি ছোট থেকে বাবার আদর স্নেহ ছাড়া বড় হয়েছি। আমার বাবাকে হত্যা করা হয়েছে। কিন্তু আমরা তার মৃতদেহটি পর্যন্ত পাইনি।

তিনি বলেন, আমার বাবা বুদ্ধিজীবী শহিদুল্লাহ কায়সার, আমার চাচা জহির রায়হানসহ অনেক বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করা হয়েছিল বাংলাদেশকে মেধা শূন্য করার জন্য। কিন্তু চক্রান্তকারীরা সেটা করতে পারেনি। আমরা আজকে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পেরেছি।

ঢাকাটাইমস/১৫ডিসেম্বর/ইএস

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
জরুরি অবস্থা ঘোষণায় লাগবে মন্ত্রিসভার অনুমোদন, সিদ্ধান্তে একমত রাজনৈতিক দলগুলো
শিল্প খাতের মহানায়ক, সাহসী উদ্যোক্তা নুরুল ইসলামের পঞ্চম মৃত্যুবার্ষিকী পালন
সংস্কার করে তারপরেই নির্বাচন দিতে হবে: নাহিদ ইসলাম
বনানীতে সড়ক অবরোধ সিএনজি অটোরিকশা চালকদের, তীব্র যানজটে দুর্ভোগ
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা