তীব্র গরমে অতিষ্ঠ জনজীবন

মেহেদি জামান লিজন, ত্রিশাল (ময়মনসিংহ)
 | প্রকাশিত : ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১৯:১৯

গত কয়েকদিনের তীব্র গরমে অতিষ্ঠ ময়মনসিংহের ত্রিশালের খেটে খাওয়া মানুষ। উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে অতিরিক্ত গরমে একটু প্রশান্তির আশায় মানুষকে গাছের ছায়ায় কিংবা শীতল কোনো স্থানে বসে বা শুয়ে থাকতে দেখা গেছে। গরমের তীব্রতা সহ্য করতে না পেরে শিশুরাও পুকুর কিংবা শ্যালো মেশিনের পানিতেই দিনের বেশিরভাগ সময় পার করছে। শনিবার ময়মনসিংহে তাপমাত্রা ছিল ৩৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এরপর গত দুই দিনও ছিল একই রকম।

অন্যদিকে তীব্র গরমে স্বাভাবিকভাবে কাজ করতে পারছেন না পণ্য ডেলিভারি ম্যান, রিকশা-ভ্যানচালক থেকে শুরু করে দিনমজুররা। কয়েক দিনের ভ্যাপসা গরমে জ্বর, ঠান্ডা, ডায়রিয়াসহ গরমজনিত নানা রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যাও বেড়েছে।

এদিকে গরমে উপজেলায় বেড়েছে হাতপাখা বিক্রি। তীব্র গরমে চাহিদা বেড়েছে ফল ও সবজির। এ সুযোগে ডাব, তরমুজ, বাঙ্গি, শসা ও খিরাসহ এ জাতীয় ফল ও সবজির দাম বাড়ছে হু-হু করে।

গত দুই দিন এ তাপমাত্রা বিরাজ করছে। ভ্যাপসা গরম সহ্য না করতে পেরে ছোট ও বড়রা নামছেন পুকুরের পানিতে। পৌর শহরের রিকশা চালক হরুন অর রশীদ বলেন, এই রোদ ও গরমে রিকশা চালাতে অনেক কষ্ট হয়। তাই মাঝে মাঝে গাছের ছায়ার নিচে বসে থাকি। গরমের কারণে শরীরে শক্তি পাই না। সংসার চালাতে হবে তাই বসেও থাকতে পারি না!

ফুটপাতের খোলা দোকানদার কাজল মিয়া বলেন, মামা যে গরম পড়ছে দেহোইন্না গায়ের জামা কাপড় খুইলাহালছি। এই কয়েকদিনের গরমে অবস্থা খুব খারাপ। তার ওপর বেচাকেনা অনেক কম। মানুষ এই গরমে বাসা থেকে কেমনে বের অইবো।

আবহাওয়া বিশেষজ্ঞদের মতে, বাতাসে জলীয়বাষ্প বেশি থাকায় তাপমাত্রা কম থাকলেও ভাদ্র ও আশ্বিন মাসে গরম বেশি অনুভূত হয়। তাই অস্বস্তি বেড়ে যায়। এসময় তাপমাত্রা ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে ওঠানামা করে। অন্যদিকে বৈশাখ ও জ্যৈষ্ঠ মাসে তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা তার বেশি হলেও বাতাসে জলীয়বাষ্পের পরিমাণ কম থাকায় মানুষের শরীর থেকে ঘাম কম বের হয়।

(ঢাকটাইমস/২৭ সেপ্টেম্বর/পিএল)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :