ঢাকা বোট ক্লাবের ঘটনা আদালতে বর্ণনা করলেন পরীমনি

আদালত প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
  প্রকাশিত : ১৯ এপ্রিল ২০২২, ১৬:০৮| আপডেট : ১৯ এপ্রিল ২০২২, ১৬:২৩
অ- অ+
ফাইল ছবি

ঢাকা বোট ক্লাবে মারধর ও শ্লীলতাহানির অভিযোগে চিত্রনায়িকা পরীমনির মামলায় তিন আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের বিষয়ে শুনানি শেষ হয়েছে। শুনানির একপর্যায়ে পরীমনি আদালতের অনুমতি নিয়ে সেদিন বোট ক্লাবে কী হয়েছিল তা আদালতের কাছে বর্ণনা করেন।

শুনানি শেষে মঙ্গলবার ঢাকার ৯ নম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোহাম্মদ হেমায়েত উদ্দিন অভিযোগ গঠনের বিষয়ে আদেশের জন্য আগামী ১৮ মে আদেশের জন্য দিন রাখেন।

শুনানিকালে আদালতে পরীমনির সঙ্গে ছিলেন স্বামী অভিনেতা শরিফুল রাজ। এছাড়া আদালতে মামলার আসামি নাসির উদ্দিন মাহমুদ, তুহিন সিদ্দিকী অমি ও শাহ শহিদুল আলম উপস্থিত ছিলেন। তিন আসামিই এখন জামিনে। শুনানিকালে জামিনে থাকা নাসির ও অমিও ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত ছিলেন।

পরীমনি আদালতে বোট ক্লাবের ঘটনার বর্ণনা দেন। এপর্যায়ে আদালত পরীমনিকে থামতে বলেন। তখন পরীমনি বলেন, ‘আমাকে সবাই থামতে বলে। কিন্তু আমাকে বলতে হবে। কারণ তাদের অনেক পাওয়ার।’

আদালতকক্ষ থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে পরীমনি বলেন, ‘যদি আদালতে দাঁড়িয়ে আমি কথা বলতে না পারি, তাহলে কথাটা বলবো কোথায়? আদালতে আমি কথা বলার চেষ্টা করেছি।’

গর্ভাবস্থায় আদালতে আসার বিষয়ে জানতে চাইলে পরীমনি বলেন, ‘আমি অন্যায়ের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছি। আমার সঠিক বিচার লাগবে। সঠিক বিচার চাই। যে কোনো পরিস্থিতিতে আমি লড়ে যাবো।’

এদিকে আসামিরা কেন অভিযোগ গঠন থেকে অব্যাহতি পাবেন সেই যুক্তি শুনানিতে তুলে ধরেন আসামিপক্ষের আইনজীবীরা। আর আসামিদের বিরুদ্ধে কেন অভিযোগ গঠন করা উচিত সেই যুক্তি তুলে ধরেন পরীমনির ও রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা।

প্রসঙ্গত, ২০২১ বছরের ১৪ জুন সাভার থানায় পরীমনি বাদী হয়ে মামলাটি করেন। মামলায় তিনি অভিযোগ করেন, ৮ জুন রাতে তাকে কৌশলে সাভারের বিরুলিয়ায় ঢাকা বোট ক্লাবে ডেকে নিয়ে যান তার পূর্বপরিচিত তুহিন। সেখানে তাকে জোর করে মদ পান করানোর চেষ্টা করেন নাসির। একপর্যায়ে তাকে ধর্ষণ ও হত্যার চেষ্টা চালানো হয়। মামলাটি তদন্ত করে গত বছরের ৬ সেপ্টেম্বর নাসির, শহিদুল ও তুহিনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় পুলিশ।

ওই ঘটনার পর ব্যবসায়ী নাসিরসহ অন্যদের বিরুদ্ধে মামলার আড়াই মাস পর গত ৪ আগস্ট বনানীর বাসায় অভিযান চালিয়ে পরীমণিকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব। সেখান থেকে তার কথিত মামা আশরাফুল ইসলাম ওরফে দীপুকেও গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারের ২৭ দিন পর গত বছরের ১ সেপ্টেম্বর পরীমণি জামিনে কারাগার থেকে মুক্তি পান।

পরিমণির বাসা থেকে বিদেশি মদের খালি বোতল, বোতলভর্তি মদ, ইয়াবা, আইস ও এলএসডি জব্দ করা হয়। পরে তাদের বিরুদ্ধে বনানী থানায় মাদক মামলা করে র‌্যাব। এরপর পরীমণিকে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

মাদকের মামলায় পরিমণিকে তিন দফায় মোট সাত দিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। মামলায় পরীমনিসহ তিনজনের বিরুদ্ধে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১০-এ বিচারকাজ চলছে। মামলাটি এখন সাক্ষ্য গ্রহণ পর্যায়ে রয়েছে।

(ঢাকাটাইমস/১৯এপ্রিল/আরজেড/ডিএম)

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
মির্জাপুরে সুপার সপে আগুন, ৩ কোটি টাকার ক্ষতি
জামালপুরে মোটরসাইকেলের ধাক্কায় বৃদ্ধার মৃত্যু
ঝিনাইদহে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২
করোনা সংক্রমণ বাড়ছে, জনপরিসরে মাস্ক পরার পরামর্শ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা