ঈদে যেকোনো উদ্ভুত পরিস্থিতি মোকাবেলায় সর্বোচ্চ সতর্ক র্যাব

কোরবানির ঈদ নির্বিঘ্নে উদযাপন ও সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণসহ যে কোনো উদ্ভুত পরিস্থিতি মোকাবেলায় র্যাব সর্বোচ্চ সতর্ক রয়েছে বলে জানান র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক উইং কমান্ডার এম জেড এম ইন্তেখাব চৌধুরী।
শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর জাতীয় ঈদগাহ প্রাঙ্গণে ঈদের জামাতের নিরাপত্তা এবং দেশবাসী নির্বিঘ্নে ঈদ উৎসব উদযাপনে র্যাবের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে মিডিয়া ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা বলেন।
ইন্তেখাব চৌধুরী বলেন, ঈদুল আজহাকে কেন্দ্র করে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রতি বছরের ন্যায় এবছরও র্যাব ফোর্সেস বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে র্যাব দেশ ব্যাপী গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করেছে।
সারাদেশ ব্যাপী তালিকাভুক্ত ঈদ জামাতের স্থানগুলোতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে উল্লেখ করে ইন্তেখাব চৌধুরী বলেন, জাতীয় ঈদগাহ ময়দান, বায়তুল মোকারম মসজিদ, শোলাকিয়া ঈদগাহ, দিনাজপুর বড় ঈদগাহ ও দেশের অন্যান্য ঈদগাহে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। নিরাপত্তা সুইপিং করা হচ্ছে। এর পাশাপাশি ওয়াচ টাওয়ার স্থাপন, স্ট্রাইকিং ফোর্স, মোবাইল পেট্রোল, অবজারভেশন পোস্ট, চেক পোস্ট এবং সিসিটিভি মনিটরিং করা হচ্ছে। এছাড়াও যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবেলায় র্যাব বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট এবং ডগ স্কোয়াড টিমকে সার্বক্ষণিক প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
নিরাপদে বাড়ি ফেরা নিয়ে তিনি বলেন, ঈদ-উল-আজহা উপলক্ষে ঘরমুখী মানুষের নিরাপদে বাড়ি ফেরা নিশ্চিত করার জন্য সকল বাস টার্মিনাল, রেল স্টেশন, লঞ্চ টার্মিনাল, ফেরিঘাটে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়, টিকিট কালোবাজারি, অতিরিক্ত যাত্রী বহন ও হয়রানি, মলম পার্টি, চাঁদাবাজি এবং ছিনতাই রোধে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নজরদারি ও টহল কার্যক্রম জোরদার করা হয়েছে। ঢাকা অভিমুখী পশু বহণে চাঁদাবাজি রুখতে প্রতিটি হাইওয়েতে র্যাবের নিয়মিত টহল ও নজরদারী রয়েছে।
র্যাবের মুখপাত্র বলেন, গুরুত্বপূর্ণ শপিং মল, বিপণী বিতান এবং বিনোদন কেন্দ্র সমূহে স্ট্যাটিক টহল বৃদ্ধির মাধ্যমে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে; যাতে করে সাধারণ জনগণ উৎসব মুখর পরিবেশে এবং নিরাপদে কেনাকাটা শেষ করে বাড়ি ফিরতে পারে। রাজধানীসহ সারাদেশে ঈদের ছুটিতে যাওয়া মানুষের বাসস্থান, কর্মস্থল, শপিংমলসহ অন্যান্য স্থানে চুরি ও ডাকাতি প্রতিরোধে র্যাবের নজরদারী ও টহল বৃদ্ধি করা হয়েছে।
তিনি বলেন, দেশের সকলের ঈদ-উল-আজহা নির্বিঘ্নে উদযাপন ও সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণসহ যে কোন উদ্ভুত পরিস্থিতি মোকাবেলায় সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে র্যাব।
যে কোনো জরুরি প্রয়োজনে পশু ব্যবসায়ীসহ দেশের সকল জনগণকে র্যাবের কন্ট্রোল রুমের মাধ্যমে সহযোগিতার জন্য যোগাযোগ করার পরামর্শ দিয়েছে র্যাব।
মলম পার্টি-অজ্ঞান পার্টির দৌরাত্ম বেড়েছে কিনা সাংবাদিকের এমন এক প্রশ্নের জবাবে র্যাবের মুখপাত্র বলেন, আমার মনে হয় এটা কমেছে। কারণ যেখানেই আমরা এ ধরনের খবর বা গোয়েন্দা তথ্য আমরা আগে থেকে পাচ্ছি...। যেমন রংপুরে ইতোমধ্যে ১৩ জনকে আটক করা হয়েছে। সিলেটে এমন মলম পার্টিকে আটক করা হয়েছে। এই সমস্ত পদক্ষেপের কারণে সারাদেশে একটি মেসেজ যাচ্ছে, যারা এসব অপকর্মের সঙ্গে জড়িত, তাদের কোনোভাবে ছাড় দেয়া হবে না।
তিনি বলেন, সেই লক্ষ্যে বলতে পারি, এবার পত্রিকা, মিডিয়ায় মলম পার্টি সম্পর্কে নিউজ কমই এসেছে। আমি মনে করি, র্যাবের অ্যাকশন দেশব্যাপী ভালো আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। আমার ধারণা, যারা এই ধরনের অন্যায়ের সঙ্গে জড়িত, তারা অন্যান্যবারের মতো তাদের কার্যক্রম চালু রাখতে পারেনি।
ঢাকাটাইমস/০৬জুন/এসএস/এসএ)

মন্তব্য করুন