বিনা অনুমতিতে কর্মস্থলে অনুপস্থিত
গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের ৬ প্রকৌশলী-স্থপতি চাকরিচ্যুত

বিনা অনুমতিতে দীর্ঘদিন কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকার অভিযোগে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের অধীন গণপূর্ত ও স্থাপত্য অধিদপ্তরের ৬ কর্মকর্তাকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে।
‘অসদাচরণ’ ও ‘পলায়ন’ হিসেবে চিহ্নিত এসব অনিয়মের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় রাষ্ট্রপতির অনুমোদনক্রমে বরখাস্তের আদেশ জারি করে মন্ত্রণালয়।
বুধবার (৩০ জুলাই) মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা আলমগীর হোসেন স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বরখাস্ত হওয়া কর্মকর্তারা হলেন:
গণপূর্ত অধিদপ্তরের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী (সিভিল) মনিরুজ্জামান মনি, উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী (ই/এম) আবদুল্লাহ আল মামুন, উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী (সিভিল) মোছা. রাহানুমা তাজনীন, নির্বাহী প্রকৌশলী (ই/এম) ফারহানা আহমেদ, সহকারী প্রকৌশলী (সিভিল) মফিজুল ইসলাম এবং স্থাপত্য অধিদপ্তরের সহকারী স্থপতি শিরাজী তারিকুল ইসলাম।
যে কারণে চাকরিচ্যুত করা হলো তাদের:
উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী (সিভিল) মনিরুজ্জামান মনি টরন্টো বিশ্ববিদ্যালয়ে ডক্টরাল প্রোগ্রামে অংশ নিয়ে ছুটি শেষে ২০২৩ সালের ১ সেপ্টেম্বর কর্মস্থলে ফিরে না আসায় চলতিবছরের ২১ এপ্রিল তাকে বরখাস্ত করা হয়।
আবদুল্লাহ আল মামুন পিএইচডি শিক্ষার প্রেষণ শেষে ২০২৩ সাল থেকে কর্মস্থলে অনুপস্থিত রয়েছেন। একারণে চলতিবছরের ১৫ মে তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে।
আর রাহানুমা তাজনীন যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব ওয়াইয়োমিং থেকে পড়াশোনা শেষে ছুটি শেষে কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকায় তাকেও বরখাস্ত করা হয়েছে। তাকে বরখাস্ত করা হয় চলতি মাসের ২ জুলাই।
ফারহানা আহমেদ কানাডার রায়ারসন বিশ্ববিদ্যালয়ে কোর্স শেষে কর্মস্থলে না ফিরায় বরখাস্ত করা হয় চলতি মাসের ৮ জুলাই।
মফিজুল ইসলাম প্রেষণোত্তর অনুপস্থিতির কারণে চলতি মাসের ২৭ জুলাই চাকরিচ্যুত করা হয়েছে।
এছাড়া শিরাজী তারিকুল ইসলাম ২০২২ সালের ১২ মে থেকে অনুপস্থিত থাকায় তাকে বরখাস্ত করা হয় গত ২১ মে তারিখে।
জানা গেছে, সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮-এর বিধি ৪(৩)(ঘ) অনুযায়ী এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিভাগীয় তদন্তে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায়, সরকারি কর্ম কমিশনের মতামতের ভিত্তিতে এবং রাষ্ট্রপতির অনুমোদনক্রমে মন্ত্রণালয়ের সচিব নজরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সরকারি দায়িত্বে অবহেলা বা নিয়ম লঙ্ঘনের বিষয়ে সরকার ‘শূন্য সহনশীলতা’ নীতিতে অটল। জনস্বার্থে সুশাসন প্রতিষ্ঠায় এই ধরনের ব্যবস্থা ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে।

মন্তব্য করুন