অনাবৃষ্টি-ভ্যাপসা গরম: আউশ ধানে খরা, আমন বীজতলা ফেটে চৌচির

ছৈয়দ আলম, কক্সবাজার
 | প্রকাশিত : ২০ জুলাই ২০২২, ১২:৪৩

ভ্যাপসা গরম ও অনাবৃষ্টির কারণে আউশ ধানে খরা, আমন বীজতলা ফেটে চৌচির হয়ে গেছে। আগাম শাক সবজি ক্ষেত বিনষ্ট হয়েছে। বোরো মৌসুম শেষে সেচ পাম্পে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন থাকায় পানি সরবরাহ করতে পারেনি কৃষকরা।

তবে আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে আগামী সপ্তাহের শুরুতে বৃষ্টি হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে।

কক্সবাজার আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা যায়, আষাঢ় মাসে বৃষ্টি হয়নি এমন মৌসুম তেমন হয়নি। বর্তমানে শ্রাবণ মাস চলমান রয়েছে।

কক্সবাজার কৃষি অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, কক্সবাজার জেলায় তিন হাজার ৫৫০ হেক্টর আউশ ও ৭৮ হাজার ৯৩০ হেক্টর আমন চাষ হয়। বর্তমানে আউশ ধান বের

হওয়ার সময়। অনাবৃষ্টির কারণে এখন থমকে গেছে। যার ফলে সবই খোসা হয়ে পড়বে।

এছাড়া আমন সম্প্রতি শুরু হবে। সর্বত্র আমনের বীজতলা তৈরি করার সময়।

কিন্তু এখনও পর্যন্ত অধিকাংশ কৃষক বীজ তলা তৈরি করতে পারেননি। বীজ তলা ফেটে এখন চৌচির। অপরদিকে প্রতি বছর এই সময়ে আগাম সবজি চাষের প্রায় শেষ প্রান্তে চলে আসনে কৃষকরা। কিন্তু পানি অভাবে পর্যাপ্ত সবজির ফলন হয়নি।

মূলত সেচ পাম্প এর বিদ্যুৎ সংযোগ সাময়িক বিচ্ছিন্ন থাকায় সমস্যা প্রকট হয়েছে। বর্ষা ঋতুতে বৃষ্টির উপর অনেকাংশে নির্ভরশীল থাকেন কৃষকরা।

চকরিয়া শাহারবলি ইউনিয়নের বাসিন্দা কৃষক আজগর আলী জানান, বৃষ্টির অপেক্ষায় থাকতে থাকতে সময় এখন শেষ। প্রতিবছর আগাম সবজি যা ফলন হয় এই

মৌসুমে তার অর্ধেকও ফলন হয়নি। সেচ পাম্প বন্ধ থাকায় যথা সময়ে সবজি ক্ষেতে পানি সরবরাহ করা যায়নি। এতে অর্ধেক চাষ নষ্ট হয়ে গেছে। প্রত্যেক কৃষকের বেলায় এই অবস্থা হয়েছে।

রামু গর্জনিয়ার কৃষক সাইফুল ইসলাম জানান, আউশ ধান নিয়ে বিপাকে পড়েছি।

এছাড়া পানির সমস্যার কারণে কোনভাবেই আমনের বীজতলা তৈরি করা যাচ্ছে না।

বীজতলা ফেটে এখন চৌচির। বিদ্যুৎ সংযোগ পেলে সেচ পাম্প চালু করে সমস্যার সমাধান করা যেত। বোরো মৌসুমের পরে সে পাম্পে বিদ্যুৎ সংযোগ বিছিন্ন থাকায়

কাজ করা যাচ্ছে না। আমরা চাই তিন মৌসুমের বিদ্যুৎ সংযোগ চালু রাখা হোক।

মহেশখালীর কালারমারছড়ার মিজ্জির পাড়ার কৃষক শফিউল আলম বাঁশি জানান, আউশ ধান বৃষ্টির কারণে থমকে থাকায় পানের বরজ তৈরি করার কাজও পিছাতে

হচ্ছে। যথা সময়ে পানের বরজের কাজ করতে না পারলে পান চাষে লোকসান যাবে।

কক্সবাজার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক ভারপ্রাপ্ত আশিষ রঞ্জন নাথ জানান, আউশ ধান কিছুটা খরার মধ্যে পড়েছে। বৃষ্টি না হওয়ায় আউশ মৌসুম শেষ হতে কিছুদিন বেশি লাগবে। এছাড়া বৃষ্টির কারণে আমন মৌসুম শুরু করতে একটু সময় নিতে হবে কৃষকদের।

(ঢাকাটাইমস/২০জুলাই/এসএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :