গাজীপুরের বরখাস্ত মেয়র জাহাঙ্গীরের দুর্নীতি সংশ্লিষ্ট ব্যাংক কর্মকর্তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে দুদক
গাজীপুর সিটি করপোরেশনের বরখাস্ত মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে কোটি কোটি টাকা অর্থ আত্মসাৎসহ ভুয়া ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খুলে বিভিন্ন দুর্নীতির অভিযোগের অনুসন্ধানে প্রিমিয়ার ব্যাংক লিমিটেডের গাজীপুর কোনাবাড়ী শাখার সাবেক শাখা ব্যবস্থাপক মোতালিব হোসেন (ভাইস প্রেসিডেন্ট ও সাবেক শাখা ম্যানেজার)সহ ব্যাংকের অন্য কর্মকর্তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে দুদক।
বুধবার সকালে দুদক প্রধান কার্যালয়ে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু হয়।
বিষয়টি ঢাকাটাইমসকে নিশ্চিত করেছেন দুদকের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা।
দুদকের অনুসন্ধান সূত্রে জানা যায়, বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প থেকে অনিয়মের মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎসহ ভুয়া ব্যাংক অ্যাকাউন্টে কোটি কোটি টাকা লেনদেনের অভিযোগ রয়েছে সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে।
এছাড়া গত ২০২১ সালের ২৫ নভেম্বর সরকারি কাজে বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ এনে মেয়র জাহাঙ্গীরকে বরখাস্ত করা হয়। স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকে দেয়া প্রজ্ঞাপনে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়, তিনি ভুয়া দরপত্র, নির্দিষ্ট কোম্পানিকে দর দেওয়া, দরপত্রে অনিয়ম, ভুয়া বিল-ভাউচারের মাধ্যমে অর্থ আত্মসাৎ করেন।
গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসে গোপনে ধারণ করা মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের কথোপকথনের একটি অডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়। ওই অডিওতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও জেলার কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ নেতা সম্পর্কে বিতর্কিত মন্তব্যের অভিযোগ ওঠে তার বিরুদ্ধে।
এ ঘটনায় ক্ষোভে ফেটে পড়েন স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা। তারা মেয়র জাহাঙ্গীরকে গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে বহিষ্কারের দাবি জানান। সেসময় গাজীপুরের রাজনীতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। মেয়র-সমর্থকদের সঙ্গে বিরোধীদের কয়েক দফা সংঘর্ষও ঘটে।
ওই বছরের ৩ অক্টোবর দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে জাহাঙ্গীর আলমকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়। ১৮ অক্টোবরের মধ্যে এর জবাব দিতে বলা হয়। তিনি জবাবও দেন। ভাইরাল হওয়া অডিওটি ‘সুপার এডিট’ করা বলে বারবার দাবি করেন জাহাঙ্গীর। পরে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে ১৯ নভেম্বর আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকে জাহাঙ্গীরকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়।
(ঢাকাটাইমস/১৪সেপ্টেম্বর/এসআর/এফএ)