ভর্তুকির অর্থ ছাড়

বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যাহত হওয়ার শঙ্কা

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটইমস
 | প্রকাশিত : ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০৮:৩৩

সময়মতো ভর্তুকির অর্থ ছাড় না করার পাশাপাশি ডলার সংকটের কারণে প্রয়োজনীয় জ্বালানি কেনা সম্ভব হয়নি। এ অবস্থায় গ্রীষ্মে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যহত হওয়ার আশঙ্কা করছেন সরকারি-বেসরকারি খাতের বিদ্যুৎ উৎপাদকরা। সম্প্রতি বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি) থেকে অর্থ বিভাগে পাঠানো এক চিঠিতে এ অবস্থার কথা জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

চিঠিতে বলা হয়েছে, গত চার মাসে পিডিবির লোকসান দাঁড়িয়েছে ২৫ হাজার কোটি টাকা। এ অর্থ ভর্তুকি হিসেবে চেয়ে পিডিবির পক্ষ থেকে অনুরোধ জানানো হয়েছে।গত বছর জুন থেকে সময়মতো ভর্তুকির অর্থ পায়নি বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো। সময়মতো এই ভর্তুকির অর্থ পাওয়া না গেলে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ উৎপাদন সম্ভব হবে না বলে জানিয়েছে সরকারি-বেসরকারি বিদ্যুৎ উৎপাদক সংস্থাগুলো। এছাড়া নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য প্রতিটি বিদ্যুৎকেন্দ্রে পর্যাপ্ত তরল জ্বালানি মজুদ রাখা প্রয়োজন। সময়মতো আর্থিক সহায়তা না পেলে তা সম্ভব হয় না। ফলে ভর্তুকির অর্থ না পেলে বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যাহত হতে পারে বলে মনে করছেন তারা।

চিঠিতে বলা হয়েছে, গত বছরের জুন থেকে সেপ্টেম্বর বেসরকারি খাতে ইনডিপেনডেন্ট পাওয়ার প্ল্যান্ট (আইপিপি), রেন্টাল ও কুইক রেন্টাল কেন্দ্র, সরকারি বিভিন্ন কোম্পানি এবং ভারত থেকে বিদ্যুৎ আমদানি করে বিতরণের পর ভর্তুকি বাবদ ২৫ হাজার ২২১ কোটি টাকা প্রয়োজন।

চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, বিদ্যুৎখাতে গ্যাস সরবরাহ কমে যাওয়ায় এবং আন্তর্জাতিক বাজারে তেল, কয়লা ও ডলারের মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় পিডিবি’র বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যয় বেড়েছে। এছাড়া ২০২০ সালের জুন থেকে ফার্নেস অয়েলের আমদানি শুল্ক ও কর অব্যাহতি সুবিধা প্রত্যাহার করায় শুল্ক বাবদ প্রায় ২৮ দশমিক ৫৬ শতাংশ ব্যয় বেড়েছে।

চলতি অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসেই বিদ্যুতে ভর্তুকির তহবিল তলানিতে এসে ঠেকেছে। এখন এ তহবিলে আছে মাত্র ২০০০ কোটি টাকা। গত বছর নভেম্বর থেকে ভর্তুকির ১৫ হাজার কোটি টাকা ছাড় করা হয়েছে, যা এ খাতে মোট বরাদ্দের ৮৮ শতাংশ।গত ২০২১-২০২২ অর্থবছরে বিদ্যুৎ খাতে ১১ হাজার ৯৬৩ কোটি টাকা ভর্তুকির জন্য বরাদ্দ ছিলো। এ দিয়ে ২০২১ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত ভর্তুকি দেওয়া হয়।

অর্থ বিভাগের ঊর্ধ্বতন একজন কর্মকর্তা বলেন, বাজেটে বিদ্যুতের জন্য ভর্তুকি রাখবে কি না সে বিষয়ে সরকার এখনও সিদ্ধান্ত নেয়নি। ভর্তুকি দিতে না চাইলে বিদ্যুতের দাম তৃতীয়বারের মতো বাড়াতে হবে।

তিনি বলেন, পিডিবি থেকে প্রতি মাসে ভর্তুকির দাবি আসে। বাজেটে যে বরাদ্দ রাখা হয় তা দিয়ে তাদের চাহিদা মেটে না। তাই পরবর্তী বাজেটের অর্থ দিয়ে আগের বাজেটের চাহিদা মেটাতে হয়। সারা বছরের আয়-ব্যয় প্রাক্কলন করেই বাজেট প্রণীত হয়। কোনো খাতে অতিরিক্ত অর্থ দিলে তখন বাজেট ব্যবস্থাপনায় চাপ বাড়ে।

গত বছর নভেম্বর মাসে বিদ্যুতের দাম ২০ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে। গত জানুয়ারিতে দুই বছর পর খুচরা পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম গড়ে ৫ শতাংশ বেড়েছে। বিদ্যুৎ, এলএনজি, নগদ সহায়তা, খাদ্য, রপ্তানি প্রণোদনা এসব মিলিয়ে চলতি ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে ভর্তুকি বাবদ সরকারের বরাদ্দ রয়েছে ৮২ হাজার ৭৪৫ কোটি টাকা।

গত কয়েক মাসে পেট্রোল, অকটেন, ডিজেল, কেরোসিন, গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম বাড়ালেও চলতি অর্থবছরে সরকারকে ৪০ হাজার কোটি টাকার বাড়তি ভর্তুকি গুনতে হতে পারে বলে সূত্র জানিয়েছে।

(ঢাকাটাইমস/২৬ফেব্রুয়ারি/আরকেএইচ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

জাতীয় বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

জাতীয় এর সর্বশেষ

পাসের হার ও জিপিএ-ফাইভে মেয়েরা এগিয়ে

যারা ফেল করেছে তাদের গালমন্দ করবেন না: প্রধানমন্ত্রী

রাজধানীর যানজট নিরসনে আন্তঃজেলা বাসের ‘গেটলক’ সিস্টেম চালু, অমান্য করলেই ব্যবস্থা

চাকরির বয়স ৩৫ করার দাবিতে আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে মামলা 

বিশ্বে প্রতিযোগিতা করার মতো শিক্ষা ব্যবস্থা গড়তে চায় সরকার: প্রধানমন্ত্রী

ঈদুল আজহার সরকারি ছুটি কতদিন মিলবে

ঢাকার বাতাসে উচ্চমাত্রায় ক্যানসারের উপাদান

দলের ওপর নির্ভর করে বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক নয়: পরিবেশমন্ত্রী

আওয়ামী লীগ নয়, দেশ চালাচ্ছে অদৃশ্য শক্তি: মির্জা ফখরুল 

যুগোপযোগী ও কর্মদক্ষ যুবসমাজ স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনের অন্যতম পূর্বশর্ত: স্থানীয় সরকার মন্ত্রী

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :