বাচ্চাদের জটিল অসুখ ফুড এলার্জি, নেই ওষুধ! যেসব লক্ষণে সতর্ক হবেন

ঢাকাটাইমস ডেস্ক
 | প্রকাশিত : ০১ মে ২০২৩, ০৯:২৩

বড়রা নিজের খেয়াল নিজেই রাখতে পারেন। কিন্তু বাচ্চারা সেটা পারে না। তাদের শরীরের দিকে তীক্ষ্ণ নজর রাখতে হয় বড়দের। অনেক ক্ষেত্রেই বাচ্চারা মুখ ফুটে তাদের সমস্যার কথা বলতে পারে না। তাই বড়দের নিজের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে সমস্যা গোড়াতেই চিনে নিতে হবে। তারপর যত দ্রুত সম্ভব চিকিৎসা।

বিশেষজ্ঞদের কথায়, বাচ্চাদের খাবার নিয়ে মা-বাবাকে কয়েকগুণ সতর্ক হতে হবে। কারণ কিছু খাবার থেকে ছোট্ট সোনার ফুড এলার্জি হতে পারে। আর ফুড এলার্জি কিন্তু অত্যন্ত জটিল এক অসুখ। প্রথমেই এই অসুখের উপসর্গ না ধরতে পারলে সন্তানকে খুবই ভুগতে হতে পারে।

তবে অনেকেই ফুড এলার্জিকে ফুড ইনটলারেন্সের সঙ্গে গুলিয়ে ফেলেন। যদিও এ দুটি অসুখ আলাদা। ফুড ইনটলারেন্সের সঙ্গে ইমিউনিটির দূরদূরান্তের কোনো যোগ নেই। অন্যদিকে ফুড এলার্জির পেছনে কিন্তু ইমিউনিটিই খেলাটা খেলে। রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাই এই সমস্যার পেছনে। তাই প্রথম থেকেই ফুড এলার্জি নিয়ে সতর্ক থাকা জরুরি।

ফুড এলার্জি কী?

​সোজা ভাষায় বললে, দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার অতিরিক্ত সক্রিয়তার জন্য ফুড এলার্জি হয়। এক্ষেত্রে কিছু খাবারকে শরীর নিজের শত্রু ভাবতে শুরু করে। তাই এর বিরুদ্ধে লড়াইতে নেমে পড়ে। এই কারণে শরীরে কয়েকটি লক্ষণ দেখা যায়।

তবে মনে রাখবেন, সুস্থ কারও শরীরে এই খাবার কোনো ক্ষতি করতে পারে না। তাই অন্যরা অনায়াসে সেই খাবার খেতে পারেন। তবে ফুড এলার্জি আক্রান্ত শিশু সেই খাবার খেলেই সমস্যা হয়। এটা শুধু তারই সমস্যা।

কী কী লক্ষণ থাকে?

​ছোটদের মধ্যে ফুড এলার্জির লক্ষণ সম্পর্কে হপকিনস মেডিসিন জানাচ্ছে- বমি, পায়খানা, পেটে ব্যথা, বড় বড় ব়্যাশ, শরীরে কিছু জায়গা ফুলে চাকা চাকা হয়ে যাওয়া, জিভ এবং গলা চুলকানো, শ্বাসকষ্ট, ব্লাড প্রেশার কমে যাওয়া এবং টান ইত্যাদি উপসর্গ দেখা দিতে পারে।

খাবার খাওয়ার পর শিশুর মধ্যে এই ধরনের কোনো লক্ষণ দেখা দিলে আর বাড়িতে বসে থাকা নয়। সন্তানকে নিয়ে সোজা হাসপাতালের ইমার্জেন্সিতে উপস্থিত হন। এতেই সে দ্রুত সুস্থ হবে।

যেসব খাবার থেকে সাবধান

বিভিন্ন খাবার থেকে ফুড এলার্জি হতে পারে, যেমন- দুধ, ডিম, গম, সোয়াবিন, বাদাম, মাছ এবং সেলফিস ইত্যাদি।

চিকিৎসকদের মতে, ছোটদের মধ্যে ডিম, দুধ ও বাদাম থেকেই বেশিরভাগ সময় ফুড এলার্জি হয়। তাই এই খাবারগুলো আপনার সন্তান খাওয়ার পর তার শরীরের দিকে নজর রাখুন। লক্ষণগুলোর যেকোনো একটি দেখলেই নিয়ে ছুটুন ডাক্তারের কাছে।

ফুড এলার্জির চিকিৎসা কী?

পৃথিবীতে এমন কোনো ওষুধ আবিষ্কৃত হয়নি, যা ফুড এলার্জি প্রতিরোধ করতে পারে। এক্ষেত্রে চিকিৎসার লক্ষ্য থাকে যত দ্রুত সম্ভব শিশুর সমস্যা দূর করার। তাকে অ্যান্টিএলার্জিক ওষুধ বা ইঞ্জেকশন দিতে হয়। এতেই সে দ্রুত সুস্থ হয়ে যায়। কমে আসে উপসর্গ।

এছাড়া ভবিষ্যতে এই ধরনের সমস্যায় ফেঁসে গেলে কী করবেন, তাও চিকিৎসক বলে দেন। এমনকি কিছু ইমার্জেন্সি মেডিসিনও লিখে দিতে পারেন। আগামীদিনে এমন সমস্যা হলে সন্তানকে সেই ওষুধ খাওয়ান।

একবার ফুড এলার্জি ধরা পড়লে সেই খাবার থেকে অবশ্যই দূরে থাকতে হবে। এক্ষেত্রে চিকিৎসকই সেই খাবার থেকে দূরে থাকতে বলবেন।

তবে মনে রাখবেন, ডিম, দুধের মতো খাবার শিশুর প্রয়োজন। শিশু এই খাবার না খেতে পারলে এর বিকল্প খোঁজা প্রয়োজন। নইলে পুষ্টির ঘাটতি তৈরি হবে। এক্ষেত্রে চিকিৎসক ও ডায়েটিশিয়ানের পরামর্শ নিন। তবেই সন্তান সুস্থ থাকবে, তার বিকাশ থেমে যাবে না।

(ঢাকাটাইমস/০১মে/এজে)

সংবাদটি শেয়ার করুন

স্বাস্থ্য বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

স্বাস্থ্য এর সর্বশেষ

মা ও শিশুর স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ: স্বাস্থ্যপ্রতিমন্ত্রী

বিএমডিসি ছাড়া ‘ভুল চিকিৎসা’ বলার অধিকার কারো নেই: স্বাস্থ্যমন্ত্রী 

নারী মাদকসেবীদের চিকিৎসায় দশ বছরে আহ্ছানিয়া মিশন

সুস্থ আছেন জোড়া মাথা আলাদা করা দুই শিশু: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

রোগীর প্রতি চিকিৎসকের অবহেলা বরদাস্ত করব না: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

দেশে নতুন করে বাড়ছে ম্যালেরিয়া আক্রান্তের সংখ্যা, ঢাকা কতটা ঝুঁকিতে?

বিশ্ব ম্যালেরিয়া দিবস: জানুন মশাবাহিত এ রোগ প্রতিরোধের উপায়

গরমে স্বাস্থ্যঝুঁকি সম্পর্কে সচেতনতা অত্যন্ত জরুরি

ঔষধি গাছ থেকে তিন শতাধিক ওষুধ তৈরি হচ্ছে ইরানে

কণ্ঠের সব চিকিৎসা দেশেই রয়েছে, বিদেশে যাওয়ার প্রয়োজন নেই: বিএসএমএমইউ উপাচার্য 

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :