ভারতের স্থলভাগে আছড়ে পড়েছে ঘূর্ণিঝড়, কেমন গতির তাণ্ডব চালালো ‘দানা’

ভারতের স্থলভাগে আছড়ে পড়েছে প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’। ‘ল্যান্ডফল’ হচ্ছে প্রবল আকারে। ভারতের আলিপুর আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার রাত ১১টা ১২ মিনিটে স্থলভাগে আছড়ে পড়তে শুরু করে ঘূর্ণিঝড়। ওই সময় ওড়িশার ভিতরকণিকা থেকে ধামারার মধ্যবর্তী স্থানে স্থলভাগ অতিক্রম করছে ঘূর্ণিঝড়ের সামনের অংশ। ঝড়ের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ১০০ থেকে ১১০ কিলোমিটার। সর্বোচ্চ গতি ১২০ কিলোমিটার। শুক্রবার সকাল পর্যন্ত এই 'ল্যান্ডফল' প্রক্রিয়া চলবে বলে আলিপুর আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে। প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হতে তিন থেকে চার ঘণ্টা লাগবে।‌

এদিকে ওড়িশায় ‘ল্যান্ডফল' প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার পর ঝড়ের শক্তি আরও বেড়েছে। এর প্রভাবে পশ্চিমবঙ্গের উপকূলেও ঝড়বৃষ্টি হচ্ছে। তবে রাত পর্যন্ত কলকাতায় তেমন কোনো প্রভাব দেখা যায়নি।

বৃহস্পতিবার আলিপুর আবহাওয়া অফিস জানিয়েছিল, ‘দানা’র প্রভাবে কলকাতায় বাতাসের সর্বোচ্চ গতি হতে পারে ঘণ্টায় ৮০ কিলোমিটার। কিন্তু ওড়িশায় ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়ার প্রক্রিয়া শুরু হলেও কলকাতায় রাত পর্যন্ত তেমন কোনো প্রভাব দেখা যায়নি। মাঝেমাঝে বিক্ষিপ্তভাবে ঝিরঝিরে বৃষ্টি হয় শহরে। পূর্ব মেদিনীপুর এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার উপকূলে রাতে ঝড়বৃষ্টি হয় বলে জানা গেছে।

আবহাওয়া অফিসের পূর্বাভাস ছিল, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে কলকাতা, হাওড়া, হুগলি এবং উত্তর ২৪ পরগনায় শুক্রবার পর্যন্ত ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হতে পারে। একই সম্ভাবনা রয়েছে ঝাড়গ্রামেও। তবে পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, পূর্ব বর্ধমান, পশ্চিম বর্ধমান, মুর্শিদাবাদ এবং নদিয়াতেও শুক্রবার পর্যন্ত ভারী বর্ষণের সম্ভাবনা রয়েছে। বৃহস্পতিবার এবং শুক্রবার পূর্ব মেদিনীপুর, দক্ষিণ ২৪ পরগনা এবং পশ্চিম মেদিনীপুরে অতি ভারী বর্ষণের লাল সতর্কতা জারি করা হয়েছে। ওই সতর্কতা রয়েছে শুক্রবার ঝাড়গ্রামে। দুই মেদিনীপুর এবং ঝাড়গ্রামে ভারী বৃষ্টি চলবে শনিবারও। সূত্র আনন্দবাজার পত্রিকা।

(ঢাকাটাইমস/২৫অক্টোবর/এফএ)