পূবাইলে নতুন বিদ্যুৎ সংযোগ না পাওয়ায় জনদুর্ভোগ

গাজীপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর আওতাধীন পূবাইল জোনাল অফিসে গত দুই মাস ধরে নতুন বিদ্যুৎ মিটারের সংযোগ বন্ধ রয়েছে। এতে আবেদন জমা দিয়ে দিনের পর দিন হয়রানির শিকার হচ্ছেন গ্রাহক। বিদ্যুতের মিটার ও তারের চরম সংকটে এ অবস্থা তৈরি হয়েছে।
এদিকে পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ বলছে, চাহিদা অনুযায়ী তার ও মিটারের সরবরাহ না থাকায় নতুন সংযোগ দিতে সমস্যা হচ্ছে।
পূবাইল পল্লী বিদ্যুৎ অফিস সূত্রে জানা গেছে, পাঁচ শতাধিক বেশি গ্রাহক নতুন বিদ্যুৎ সংযোগের জন্য আবেদন করেছে। কিন্তু প্রায় দুইমাস ধরে বন্ধ রয়েছে বৈদ্যুতিক মিটার ও ড্রপ তারের সরবরাহ। এ কারণে নতুন এসব আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিদ্যুৎ সংযোগ মিলছে না। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ যেন গাছাড়া দিয়ে বসে আছেন। তবে অভিযোগ রয়েছে, দীর্ঘ সময় ধরে মিটার এবং তারের সংকট দেখা দিলেও বিষয়টি কোনো আমলেই নিচ্ছে না সংশ্লিষ্টরা। মিটার সংযোগ বন্ধ থাকায় ভোগান্তি বেড়েছে গ্রাহকদের।
সরজমিনে পূবাইল জোনাল অফিসের পল্লী বিদ্যুৎ কার্যালয়ে গিয়ে দেখা দেখা যায়, বেশ কয়েকজন আবেদনকারীর জটলা। এ সময় কথা হয় কয়েকজনের সঙ্গে। তাদের সবার মুখেই শোনা যায় ভোগান্তি ও হতাশার কথা। প্রতিনিয়ত অফিসে আসছেন। আবেদন করে মাসের পর মাস সংযোগ না পাওয়ায় অনেকেই দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। তবে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্তৃপক্ষের নীরবতাকেই গ্রাহকসেবার নামে ভোগান্তি হিসেবে দায়ী করছেন অনেকে। তবে সেবার মান বৃদ্ধিতে সংযোগ তার এবং মিটার সরবরাহে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করবে এমনটাই প্রত্যাশা গ্রাহকদের।
পূবাইল নয়ানিপাড়া এলাকার বাসিন্দা আব্দুর রহিম বলেন, ‘নতুন সংযোগের জন্য দুই মাস আগে এই অফিসে আবেদন করেছি এবং মিটারের জন্য টাকাও জমা দিয়েছি। সেই থেকে প্রতি সপ্তাহে একবার করে অফিসে আসি। আমি এখানে ঘুরতে ঘুরতে বিরক্ত। নতুন সংযোগ পাচ্ছি না।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক গ্রাহক অভিযোগ করে বলেন, ‘দীর্ঘদিন থেকে নতুনভাবে বিদ্যুৎ সংযোগ পাচ্ছি না। বিদ্যুৎ অফিসে যোগাযোগ করলেও সেখান থেকে জবাব আসে না। এতে আমাদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।’
পূবাইল পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের এজিএম আমেনা হাসান বলেন, ‘চাহিদা অনুযায়ী মিটার ও সার্ভিস ড্রপ তার সরবরাহ পাওয়া যাচ্ছে না। স্যারদের সাথে এ ব্যাপার নিয়ে আলোচনা করেছি।
এ ব্যাপারে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর জেনারেল ম্যানেজার আবুল কালাম আজাদ বলেন, নতুন মিটার আসতে একটু সময় লাগবে। তবে আশা করছি আগামী ১০ দিনের মধ্যে সমস্যা সমাধান হবে।
(ঢাকা টাইমস/১৪জানুয়ারি/এসএ)
মন্তব্য করুন