নোয়াখালীতে স্কুলছাত্র হত্যার রহস্য উদঘাটন, গ্রেপ্তার ১

নোয়াখালীর সদর উপজেলার দাদপুর ইউনিয়নে স্কুলছাত্র আবদুল হামিদ রায়হান (১৬) হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় অভিযুক্ত আসামি মারুফ হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
শুক্রবার বিকালে সুধারাম মডেল থানায় এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন জেলা পুলিশ সুপার আবদুল্লাহ্ আল ফারুক।
পুলিশ সুপার জানান, গত ২৫ মার্চ রাত ৮টার দিকে তারাবির নামাজ পড়ার জন্য দাদপুর ইউনিয়নের হুগলি গ্রামের নিজের বাড়ি থেকে বের হয় রায়হান। পরবর্তীতে রাতে আর সে বাড়ি ফিরেনি। পরদিন বিষয়টি নিয়ে রায়হানের ভাই হারুন অর রশিদ শান্ত তার ভাইয়ের সন্ধান চেয়ে ফেসবুকে পোস্ট করে যেখানে একটা মোবাইল নাম্বার দেন। ওইদিন সকাল সাড়ে ১০টার দিকে মারুফ নিজের পরিচয় গোপন রেখে শান্তের নাম্বারে কল দিয়ে ১৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে এবং টাকা নিয়ে চৌমুহনী রেল লাইনে যেতে বলেন। পরবর্তীতে ওই নাম্বারের সূত্র ধরে আসামি মারুফকে আটকের পর তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার বিকালে বাড়ির পার্শ্ববর্তী সেপটিক ট্যাংক থেকে রায়হানের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ সুপার আরও জানান, ঘটনার দিন রাতে তারা দুজন পার্শ্ববর্তী একটি জায়গায় গিয়ে নারিকেল খান। পরবর্তীতে ওইস্থান থেকে ফিরে আসার সময় তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে প্রথমে তাদের দুজনের মধ্যে বাকবির্তক হয়। এর একপর্যায়ে মারুফ তার হাতে থাকা ক্রিকেট স্ট্যাম্প দিয়ে রায়হানের মাথায় আঘাত করলে ঘটনাস্থলে তার মৃত্যু হয়। পরে গভীররাতে মারুফ একা রায়হানের মৃতদেহ নিয়ে পার্শ্ববর্তী একটি সেপটিক ট্যাংকের মধ্যে রেখে দেন। এ ঘটনায় নিহত রায়হানের বাবা আলমগীর হোসেন বাদী হয়ে মারুফের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত আসামি করে একটি মামলা করেন। শুক্রবার বিকালে আসামিকে আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।
(ঢাকা টাইমস/২৮মার্চ/এসএ)

মন্তব্য করুন