হজের আগেই ২ লাখ ৭০ হাজার হজযাত্রীকে মক্কায় প্রবেশ করতে দেয়নি সৌদি

ইসলামের পঞ্চ স্তম্ভের অন্যতম হলো হজ। জিলহজ মাসের ৯ তারিখ থেকে ইহরাম বেঁধে আরাফার মাঠে অবস্থানসহ কয়েকটি নির্দিষ্ট স্থানে নির্ধারিত কিছু আমল করে কাবাঘর তাওয়াফ করতে হয় হজের মাধ্যমে। এবার হজের মৌসুম শুরু হতেই কঠোর অবস্থান নিয়েছে সৌদি সরকার। অনুমতি না নিয়ে হজ পালনের চেষ্টা করায় অননুমোদিত প্রায় ২ লাখ ৭০ হাজার হজযাত্রীকে মক্কায় প্রবেশের আগেই ফেরত পাঠানো হয়েছে। খবর বার্তা সংস্থা এপির।
সৌদি সরকারের হজ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, গত বছর হজ মৌসুমে তীব্র দাবদাহে অনেক হাজির অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যু হওয়ায় এ বছর ‘অবৈধ’ হজযাত্রীদের মক্কায় প্রবেশে বাধা দেওয়া হচ্ছে। হজের অনুমতি না থাকায় এ পর্যন্ত প্রায় ২ লাখ ৭০ হাজার হজযাত্রীকে মক্কা থেকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
এ ছাড়া হজের নিয়ম ভঙ্গের অভিযোগে ২৩ হাজার সৌদি নাগরিককে জরিমানা এবং ৪০০টি হজ পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স বাতিল করা হয়েছে।
মক্কায় আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সৌদি নিরাপত্তা কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মোহাম্মদ আল-ওমারি বলেন, "হজযাত্রীরা আমাদের দৃষ্টির আড়ালে নয়। কেউ নিয়ম ভাঙলে ধরা পড়বেই।"
তিনি আরও বলেন, “বিনা অনুমতিতে হজ করার চেষ্টা করলে ৫ হাজার মার্কিন ডলার পর্যন্ত জরিমানা এবং নির্বাসনসহ কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।” এই নিয়ম কেবল বিদেশিদের জন্য নয়, সৌদিতে বসবাসকারী বাসিন্দাদের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য।
সৌদি সরকার জানিয়েছে, গত বছরের প্রচণ্ড গরমে প্রায় ১ হাজার ৩০০ হজযাত্রীর মৃত্যু হয়েছিল। এতে অনুমতি ছাড়া আসা হজযাত্রীদের বিশৃঙ্খল অংশগ্রহণকেই আংশিকভাবে দায়ী করা হয়।
হজ করতে গিয়ে মৃত্যুর ঘটনা অস্বাভাবিক কিছু নয়। প্রতি বছর হজ মৌসুমে নানা কারণে প্রাণহানির ঘটনা ঘটে। সৌদি আরবের সিভিল ডিফেন্স জানিয়েছে, এ বছর হাজিদের নিপাত্তায় প্রথমবারের মতো ড্রোন ব্যবহার করা হচ্ছে। এসব ড্রোন নজরদারি ও পর্যবেক্ষণের পাশাপাশি আগুন নেভানোর কাজে ব্যবহৃত হবে।
বর্তমানে মক্কায় আনুষ্ঠানিকভাবে প্রায় ১৪ লাখ মুসলিম অবস্থান করছেন এবং হজ পালনে বিশ্বের নানা প্রান্ত থেকে আরও অনেকে আসার অপেক্ষায় আছেন।
প্রতি বছর জিলহজ মাসে পালিত হয় হজ। এ সময় বিশ্বের প্রায় সব দেশ থেকে লাখ লাখ মানুষ মক্কায় উপস্থিত হন। হজের বেশ কিছু নিয়মনীতি আছে যা হজযাত্রীরা ধাপে ধাপে পালন করেন।
(ঢাকাটাইমস/২ জুন/আরজেড)

মন্তব্য করুন