চাকরির নিয়োগে এনআইডির তথ্য বাধ্যতামূলক চায় ইসি

সরকারিসহ সব ধরনের চাকরিতে নিয়োগের ক্ষেত্রে জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) বাধ্যতামূলক করতে উদ্যোগ নিচ্ছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁও নির্বাচন ভবনে নিজ দপ্তরে এক ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন (এনআইডি) অনুবিভাগের মহাপরিচালক এ এস এম হুমায়ুন কবীর।
তিনি বলেন, চাকরির ক্ষেত্রে জাতীয় পরিচয়পত্রের (এনআইডি) তথ্য বাধ্যতামূলক করা দরকার। এনআইডি আইনে এর ব্যবহার বাধ্যতামূলক রয়েছে। আইবাসেরও আছে। তাই সকল সংস্থা যেন ভবিষ্যতে এনআইডি অনুসরণ করে সেটা আমরা চেয়েছি।
এনআইডি উইংয়ের ডিজি বলেন, আমরা যাদের এনআইডি সংশোধন করে থাকি এদের মধ্যে বিরাট একটি অংশ সরকারি চাকরিজীবী। আগে তারা ভাউচারের মাধ্যমের বেতন পেতেন। আইবাসের মাধ্যমে এনআইডি ভিত্তিতে বেতন পান। এটার সাথে তাদের রুটিরুজি, ভেতন-ভাতা. সন্তানদের ভরণ-পোষণ ইত্যাদি জড়িয়ে আছে। আইবাসে বেতন হওয়ার জন্য এনআইডি বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। কোনো কোনো অফিস এনআইডি ঠিক না হলে বেতন বন্ধ হয়ে যাবে বলেছে। তখন তারা আইবাসে যায়, আইবাস থেকে তাদের অফিসে যায়, তারা বলে তাদের কিছু করার নেই। তখন তারা আমাদের কাছে আসেন। আমাদের অফিসে এলেও অনেক সময় সরাসরি সংশোধন করা যায় না। অনেক সময় নিস্কৃতিও দেওয়া যায় না।
হুমায়ুন কবীর বলেন, সংশ্লিষ্ট দপ্তর ও সংস্থাকে গতকাল সোমবার ডেকেছিলাম। সেখানে যে আলোচনা হয়েছে, যেহেতু বাধ্যতামূলকভাবে জনপ্রশাসন থেকে আইনি কাঠামোর মধ্যে বিষয়টি আসেনি, তাই হয়তো ইগনোর করা হয়েছে।
তিনি বলেন, আইনি কাঠামোর মধ্যে এলে এটা আর থাকবে না। যদিও এনআইডি আইনে এর ব্যবহার বাধ্যতামূলক আছে, আইবাসেরও আছে। তাই সকল সংস্থা যেন ভবিষ্যতে এনআইডি অনুসরণ করে সেটা আমরা চেয়েছি। তারা বলেছেন, যাদের বেতন ভাতা আটকে গেছে যদি কর্তৃপক্ষের পক্ষে বেতন ভাতার ব্যবস্থা করা যায়, সে উদ্যোগ নেওয়ার কথা তারা বলেছেন।
এনআইডি মহাপরিচালক বলেন, যাদেরটা সহজে দেওয়া যায় সেগুলো আমরা সংশোধন করে দিই। যেগুলো করা যায় না, সেগুলোর ক্ষেত্রে ঊর্ব্ধতন কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে সমাধানের চেষ্টা করি। এটা আমাদের জন্য, দেশের জন্য এবং ভুক্তভোগী তাদের সকলেরই জন্য সমস্যা। সভায় আগতরা বলেছে, এটা আমাদের ফলো করা দরকার।
নিয়োগের ক্ষেত্রে এনআইডি বাধ্যতামূলক করার জন্য জনপ্রশাসনের আইনের কাঠামোর মধ্যে আনা হবে কি-না, এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, অলরেডি একটা আইনি কাঠামোর মধ্যে আছে। জনপ্রশাসনের ক্ষেত্রে এসএসসি’র সনদ গুরুত্ব বেশি দেওয়া হয়। এনআইডির বিষয়ে জনপ্রশাসরেন আইন যেটা সবাই ফলো করে, সেটার মধ্যে আনতে আমরা সেই উদ্যোগটা গ্রহণ করবো। আমরা তাদের অনুরোধ করেছি, যে সমস্ত অফিস বা প্রতিষ্ঠান-ধরেন স্কুল, বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ’ তাদের তো মিনিস্ট্রি থেকে এনআইডি আমলে নেওয়ার জন্য জানাতে হবে। তারা জানাবে বলে আমাদের জানিয়েছেন।
এরআগে সোমবার বিকালে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়সহ ২৭ মন্ত্রণালয়-সংস্থার সঙ্গে বৈঠকে করে নির্বাচন কমিশন। এতে সভাপতিত্ব করেন ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ। বৈঠকে এনআইডি বাধ্যতামূলক কেন করা দরকার তার পক্ষে যুক্তি তুলে ধরে ইসি।
(ঢাকাটাইমস/০৩জুন/এমআর)

মন্তব্য করুন