ছাত্রলীগকর্মীকে মাথা ন্যাড়া ও জুতাপেটা তদন্তে পুলিশ
আখাউড়ায় সালিসে দুই ছাত্রলীগকর্মীর মাথা ন্যাড়া, জুতাপেটা এবং তাদের ৫০ হাজার টাকা জরিমানার ঘটনায় সালিসকারী দুই ইউপি চেয়ারম্যান ও সদস্যদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তদন্তে নেমেছে পুলিশ।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার (এসপি) মো. মিজানুর রহমানের নির্দেশে বুধবার সকালে তদন্তে নামেন (আখাউড়া-কসবা) সার্কেল এএসপি আব্দুল করিম।
ঘটনার সত্যতা যাচাইয়ে আখাউড়া উপজেলার মনিয়ন্দ ও পার্শ্ববর্তী কসবার গোপীনাথপুর নতুন বাজারে সরেজমিন এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলেন তদন্ত কর্মকর্তা। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহিউদ্দিন আহম্মেদ।
তদন্ত কর্মকর্তা এএসপি আব্দুল করিম ঢাকাটাইমসকে বলেন, মনিয়ন্দ ইউনিয়ন ও গোপীনাথপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও মেম্বরদের বিরুদ্ধে সালিসে ছাত্রলীগের দুই কর্মীর মাথা ন্যাড়া ও তাদের জুতাপেটার ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে। ওই ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আখাউড়া উপজেলার মনিয়ন্দের পার্শ্ববর্তী গ্রামের এক কিশোরকে মারধর করাসহ বখাটেপনার অভিযোগে ২৯ এপ্রিল গোপিনাথপুর নতুন বাজারে এক সালিস বসে। ওই সালিশে মনিয়ন্দ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কামাল ভূঁইয়া এবং গোপিনাথপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মান্নান জাহাঙ্গীরের নির্দেশে স্থানীয় ছাত্রলীগকর্মী পারভেজ ও হারুনকে মাথা ন্যাড়া ও জুতাপেটা করা হয়। সালিসের রায়ে ওই দুই চেয়ারম্যান অভিযুক্ত ছাত্রলীগকর্মী পারভেজ মিয়া ও হারুন মিয়াকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানাও করেন। জরিমানার টাকা দিতে ব্যর্থ হলে তাদের গ্রাম থেকে বিতাড়নের হুমকি দেন সালিসকারীরা। এ ছাড়া জরিমানার টাকা না দেয়া পর্যন্ত তাদের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন মনিয়ন্দ ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের কাছে জমা থাকবে বলে সিদ্ধান্ত হয়।
সালিসের নামে মানবাধিকার লঙ্ঘন করে ছাত্রলীগ কর্মীদের সমাজের কাছে অপমানিত করায় মিছিল ও সমাবেশ করেছে গ্রামবাসী। সালিসকারীদের বিচারের দাবিতে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মনিয়ন্দ উত্তর-দক্ষিণ এলাকার ভিআইপি সড়ক মোড় থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে ইউনিয়নের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। সালিসকারীদের বিচারের দাবিতে আজ সন্ধ্যায় মনিয়ন্দ ভিআইপি সড়ক এলাকায় সমাবেশের হওয়ার কথা রয়েছে।
(ঢাকাটাইমস/৩মে/মোআ)
মন্তব্য করুন