দিনে তিন কাপ কফি বাড়ায় আয়ু! ক্যানসার-হার্টের সমস্যাও হবে পগারপার

ক্লান্তি দূর করার পানীয় হিসেবে কফি অনেকেরই পছন্দের শীর্ষে। কিন্তু তাদের অনেকেই আবার জানেন না, দিনে আসলে কত কাপ কফি খাওয়া উচিত। কেউ কেউ তো এক দিনে ৮-১০ কাপ কফি নিমিষে খেয়ে ফেলেন। কেউ কেউ আবার দুই-তিন কাপেই সন্তুষ্ট। এ নিয়ে নানা মতবিরোধ রয়েছে।
সাম্প্রতিকতম গবেষণা বলছে, দিনে তিন কাপ কফি খাওয়াই শরীরের জন্য উপকারী। এতে মেটাবলিক স্বাস্থ্য উন্নত হয়। এর মধ্যে ডায়াবেটিস রয়েছে এবং হার্ট সংক্রান্ত রোগের ঝুঁকিও ৪০-৫০ শতাংশ কমে যায়। শুধু তা-ই নয়, দিনে তিন কাপ কফি খেলে আয়ু বাড়তে পারে বলেও গবেষণায় দাবি করা হয়েছে।
পর্তুগালের কোয়েমব্রা বিশ্ববিদ্যালয়ের করা ওই গবেষণা বলছে, রোগের ঝুঁকি কমাতে এবং জীবনের আয়ু বাড়াতে কফি ভীষণ উপযোগী। ইউরোপ, আমেরিকা, অস্টেলিয়া ও এশিয়া জুড়ে করা প্রায় ৮৫টি গবেষণাকে বিবেচনা করেন গবেষকরা।
কোয়েমব্রার করা গবেষণায় দেখা গেছে, দিনে তিন কাপ কফি খেলে জীবনের আয়ু ১.৮৪ বছর বেড়ে যেতে পারে। এর আগেও একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে, দিনে ৩ কাপ কফি স্বাস্থ্যের জন্য ভীষণ উপকারী।
নিয়মিত তিন কাপ কফি খাওয়ার উপকারিতা
১। নিয়মিত তিন কাপ কফি খেলে কার্ডিয়োভাস্কুলার রোগের ঝুঁকি কমে। পাশাপাশি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। এমনকি মানসিক স্বাস্থ্য উন্নত হয়। গবেষণায় দেখা গেছে, কফি খাওয়ার ফলে কিছু নির্দিষ্ট ধরনের ক্যানসার, ডায়াবেটিস, ফুসফুস সংক্রান্ত সমস্যা, স্ট্রোক, ডিমেনশিয়া, ডিপ্রেশনের ঝুঁকি কমে।
২। দিনে তিন কাপ কফি খাওয়ার ফলে দেহে ২০০-৩০০ মিলিগ্রাম ক্যাফেইন শরীরে প্রবেশ করে। এটি মেটাবলিক সিন্ড্রোমের ঝুঁকি এড়াতে সাহায্য করে। ওবেসিটির সমস্যা এড়াতেও কফি খেতে পারেন।
৩। মদ্যপান ও ধূমপান ছেড়ে দিয়ে যদি কফি খান, তবেই উপকার পাবেন। দিনে তিন কাপ কফি খেলে করোনারি আর্টারি হার্ট ডিজিজের ঝুঁকি কমে। পাশাপাশি, হার্ট ফেলিওরের আশঙ্কাও কমে যায়। এমনকি হৃদস্পন্দনের সমস্যা প্রায় ১০ থেকে ১৫ শতাংশ কমে।
৪। ক্যাফেইনের পাশাপাশি কফির মধ্যে একাধিক বায়োলজিক্যাল অ্যাকটিভ কম্পাউন্ড রয়েছে। এগুলো দেহে ইনসুলিন সংবেদনশীলতা বৃদ্ধি করে, যা ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমায় এবং বিপাকের হার বাড়ায়। পাশাপাশি মানসিক চাপ কমায়। শারীরিক প্রদাহ কমাতেও সিদ্ধহস্ত।
(ঢাকাটাইমস/১৫ডিসেম্বর/এজে)

মন্তব্য করুন