গরমে এসি ঠান্ডা হচ্ছে না, সচল রাখতে যেভাবে সতর্ক হবেন

দেশ জুড়েই গরমের তীব্রতা বেড়েই চলেছে। গরমে আরামের জন্য এখন এসি আর বিলাসতা নয় এটি এখন জনজীবনের অপরিহার্য অংশ হয়ে উঠেছে। তবে মাঝে মধ্যে এসি বন্ধ হয়ে যাওয়া বা ঠান্ডা না হওয়া বা বিস্ফোরণের মতো ঘটনাও ঘটছে। এসি সচল রাখতে রক্ষণাবেক্ষণ জরুরি। অনেক সময় এসি ঠান্ডা হয় না গ্যাস না থাকার কারণে। বিশেষ করে এসির সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ অংশ হল গ্যাস। গ্যাসের মাধ্যমেই ঘর ঠান্ডা রাখার কাজটি করে এসি। কিন্তু কোনো কারণে গ্যাসের পরিমাণ কম হলে ঘর ঠান্ডা হতে সমস্যা তৈরি হয়। উপযুক্ত টনের এসি থাকলেও সঠিকভাবে ঘর ঠান্ডা হয় না।
অনেক সময় দেখা যায় এসি চালানো শুরু করার পরে পরেই ঠান্ডা হাওয়া বেরোয় না। এই সমস্যা মেটাতে মেকানিককে ডাকেন অনেকেই। মেকানিক এসি চেক করে প্রথমেই বলে দেয় গ্যাস ফুরিয়ে গিয়েছে এসির, সেটা বদলে নতুন গ্যাস ভরাতে হবে। ফলে তার জন্য খরচও অনেক হয়।
অনেকক্ষেত্রে অসৎ মেকানিকরা ভুল বুঝিয়ে এসির গ্যাস ভরানোর নামে আপনার থেকে অযথা অনেক টাকা নিয়ে থাকেন। তবে টাকা খরচ করে এখন মেকানিক আনতে হবে না, নিজেই বুঝতে পারবেন।
এসির গ্যাস ফুরিয়েছে কি না তা আপনি নিজেও ভালোভাবে তা দেখে নিতে পারেন। যদি দেখেন এসি চালানোর পরেও ঠান্ডা হাওয়া আসছে না, তাহলে সতর্ক হওয়া দরকার।
এছাড়া এসির কম্প্রেসারে যদি শব্দ হতে থাকে, তাহলেও এসির গ্যাস ফুরিয়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটতে পারে। এসি চালু করার সময় নজর দিতে হবে কম্প্রেসার বারবার চালু বা বন্ধ হচ্ছে কি না। এই ঘটনা থেকেও বোঝা যায় এসির গ্যাস শেষ হয়ে গেছে কি না।
এসির আউটলেট পাইপে যদি বরফ জমে গিয়ে থাকে তাহলে বুঝতে হবে এসির গ্যাস ফুরিয়ে গিয়েছে। আবার অনেক সময় এই আউটডোর ইউনিটে তেল জমে থাকে।
তেল জমে থাকলে দেখতে পেলে বুঝতে হবে এসির গ্যাস আদপেই শেষ হয়ে গেছে। এই লক্ষণগুলো না দেখতে পেলেও যদি মেকানিক বলে এসির গ্যাস শেষ, তাহলে বুঝতে হবে সে আপনাকে বোকা বানাচ্ছে।
মাঝে মধ্যে কন্ডেন্সার কয়েল পরিষ্কার করা জরুরি। কারণ এসির বাইরের ইউনিটে থাকা এই সরঞ্চামটি তাপ স্থানান্তরে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এসির দীর্ঘ সময়ের নিষ্ক্রিয়তায় এই কয়েলেও ধুলো, ময়লা বা আবর্জনা জমা হতে পারে। এর ফলে গোটা কন্ডেন্সারসহ কম্প্রেসরের উপরও অতিরিক্ত চাপ পড়ে। ক্রমান্বয়ে এটি সিস্টেমের আয়ু কমিয়ে দেয় এবং পরবর্তীতে ব্যয়বহুল মেরামতের প্রয়োজন পড়ে। কন্ডেন্সার কয়েল পরিষ্কার করার জন্য নরম ব্রাশ বা কম প্রেশারের পানি ব্যবহার করা যেতে পারে। দুর্ঘটনা এড়াতে এসি রক্ষণাবেক্ষণ করুন। যান্ত্রিক বিষয়াদি নিয়ে সন্দেহের অবকাশ থাকলে পেশাদার টেকনিশিয়ানের সাহায্য জরুরি।
(ঢাকাটাইমস/৯ এপ্রিল/আরজেড)

মন্তব্য করুন