গাজায় ত্রাণ নিতে আসা ৮৩৮ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করল ইসরায়েল

অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় দখলদার ইসরায়েলি বাহিনীর অব্যাহত হামলায় প্রতিদিনই বাড়ছে মৃত্যুর মিছিল। সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আরও অন্তত ৭৮ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে অনেকেই ত্রাণপ্রত্যাশী ছিলেন।
ফিলিস্তিনের সরকারি সংবাদ সংস্থা ‘ওয়াফা’ জানায়, বিতর্কিত ইসরায়েলি ও মার্কিন সমর্থিত গাজা হিউম্যানিটেরিয়ান ফাউন্ডেশন (জিএইচএফ) পরিচালিত একটি ত্রাণকেন্দ্রের আশপাশে ইসরায়েলি হামলায় নিহত ফিলিস্তিনির সংখ্যা বেড়ে ৮৩৮ জনে দাঁড়িয়েছে। এই ত্রাণপ্রত্যাশীদের অধিকাংশই নারী ও শিশু।
গত সোমবার (১৪ জুলাই) দক্ষিণ গাজার রাফা এলাকায় একটি ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্রের কাছে ইসরায়েলি বাহিনীর গোলাবর্ষণে অন্তত পাঁচজন নিহত হন। এছাড়া খান ইউনিসের একটি বাস্তুচ্যুতদের শিবিরে ইসরায়েলি বিমান হামলায় আরও নয়জন নিহত ও বহু মানুষ আহত হয়েছেন।
মধ্য গাজার বুরেইজ শরণার্থী শিবিরে একটি বাণিজ্যিক কেন্দ্র লক্ষ্য করে চালানো বিমান হামলায় নিহত হন আরও চারজন। পাশাপাশি গাজা শহর ও উত্তর গাজাতেও ইসরায়েলি বাহিনী পুনরায় হামলা জোরদার করেছে। ইসরায়েলি গণমাধ্যম জানায়, গাজা সিটিতে এক অতর্কিত হামলায় একটি ট্যাঙ্ক লক্ষ্য করে রকেট নিক্ষেপ করা হয়, যার পরপরই সেখানে ছোট অস্ত্রের গোলাগুলি শুরু হয়। হতাহত সৈন্যদের সরিয়ে নিতে একটি হেলিকপ্টার নামানো হয়। ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, এই ঘটনায় তাদের তিন সেনা নিহত হয়েছে।
আল-জাজিরার গাজা প্রতিনিধি তারেক আবু আযম জানান, ইসরায়েলি বাহিনী গাজার ‘আল-তুফাহ’ ও ‘শুজাইয়া’ এলাকায় ব্যাপক বিমান হামলা চালিয়েছে, যাতে বহু আবাসিক ভবন ধ্বংস হয়ে গেছে।
ওয়াফা আরও জানায়, শুধুমাত্র গাজা সিটিতেই সোমবারের হামলায় কমপক্ষে ২৪ জন নিহত ও আরও বহু মানুষ আহত হয়েছেন।
এদিকে ইসরায়েলি অবরোধ ও টানা বোমাবর্ষণের ফলে গাজায় জ্বালানি, খাদ্য ও ওষুধের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলো ইসরায়েলের এসব হামলাকে যুদ্ধাপরাধ হিসেবে আখ্যা দিয়ে দ্রুত যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছে।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, যুদ্ধ শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত গাজায় নিহতের সংখ্যা ছাড়িয়ে গেছে ৫৮ হাজার। আহত হয়েছেন আরও কয়েক লাখ মানুষ।
(ঢাকাটাইমস/১৫ জুলাই/আরজেড)

মন্তব্য করুন