পুলিশি নিরাপত্তায় ক্যাম্পাস ত্যাগ করলেন ভিক্টোরিয়া কলেজের অধ্যক্ষ

শিক্ষার্থীরা পদত্যাগ দাবি তুলে অবরুদ্ধ করার প্রায় ৯ ঘণ্টা পর পুলিশি নিরাপত্তায় ক্যাম্পাস ত্যাগ করলেন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজের অধ্যক্ষ আবুল বাশার ভূঁইয়া।
এর আগে অধ্যক্ষ পদত্যাগের একদফা দাবিতে উত্তাল হয়ে উঠে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজ।
সোমবার (১৪ জুলাই) বিকাল ৩টা থেকে রাত সোয়া ১১টা পর্যন্ত প্রায় ৯ ঘণ্টা অধ্যক্ষকে অবরুদ্ধ করে রাখেন শিক্ষার্থীরা।
এসময় কলেজের হলগুলো থেকেও শিক্ষার্থীদের পদত্যাগ আন্দোলনে যোগ দিতে দেখা গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজ ডিগ্রি শাখার ক্যাম্পাসে।এর আগে, রাত ১০টায় ভিক্টোরিয়া কলেজের ডিগ্রি শাখায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেন আদর্শ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফাতেমা তুজ জোহরা, সদর উপজেলা সহকারী ভূমি কমিশনার তানজিনা জাহান।
এসময় সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফাতেমা তুজ জোহরা শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্য করে বলেন, ভিক্টোরিয়া কলেজ একটি ঐতিহ্যবাহী প্রতিষ্ঠান। এখানে অধ্যক্ষকে এভাবে বের করে দেওয়া প্রতিষ্ঠানের ঐতিহ্য ক্ষুণ্ণ করে। তাই সকলে শান্তিপূর্ণভাবে যেভাবে সুন্দর হয় সেভাবে কাজ করার আহ্বান রইল।
এসময় শিক্ষার্থীরা এক দফা দাবিতেই অটল থাকেন, এবং অধ্যক্ষের পদত্যাগ দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান তোলেন। পরবর্তীতে রাত সোয়া ১১ টায় সদর সার্কেল মো. সাইফুল মালিক ও কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি মহিনুল ইসলাম এসে অধ্যক্ষকে পুলিশি নিরাপত্তায় ক্যাম্পাস থেকে নিয়ে যান।
শিক্ষার্থীদের বরাত দিয়ে জানা গেছে, শিক্ষার্থীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে অধ্যক্ষের সঙ্গে এক সংলাপে আশ্বাসমূলক বক্তব্য ও সুস্পষ্ট রোডম্যাপ না পেয়ে ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা সংলাপ ভেঙে বের হয়ে আসেন এবং ‘এক দফা এক দাবি, অধ্যক্ষের পদত্যাগ চাই’ স্লোগান তুলে বিক্ষোভে ফেটে পড়েন।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষার্থীরা ৯ দফা জানায় এবং দুই কার্যদিবস সময় দেয়।
সোমবার (১৪ জুলাই) কলেজ ক্যাম্পাসে অবস্থান নিয়ে তারা বিভিন্ন স্লোগানে অধ্যক্ষের পদত্যাগ দাবি করেন।শিক্ষার্থীরা জানায়, তাদের দেয়া ৯ দফা দাবিগুলো হলো, কলেজে গণতান্ত্রিক ধারা বজায় রাখতে অবিলম্বে ছাত্র সংসদ নির্বাচন আয়োজন, ডিগ্রি শাখার জন্য পৃথক ও আধুনিক ক্যাম্পাস স্থাপন, সিসিটিভি ক্যামেরা ও পর্যাপ্ত লাইটিংয়ের মাধ্যমে নিরাপত্তা জোরদার, বহিরাগত, মাদকসেবী ও ব্যবসায়ীদের দৌরাত্ম্য ঠেকাতে ক্যাম্পাসে পুলিশ ফাঁড়ি স্থাপন, শিক্ষার্থীদের যাতায়াতে বাস ও মাইক্রোবাস সার্ভিস চালু, আবাসিক হল ও আশপাশের হোটেল এলাকায় জলাবদ্ধতা নিরসন, সুপেয় পানি, আধুনিক ওয়াশরুম এবং যুগোপযোগী শিক্ষার পরিবেশ নিশ্চিত, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনায় আলাদা ফান্ড গঠন, কলেজের সব ধরনের আয়-ব্যয় ওয়েবসাইটে প্রকাশ করে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা।
(ঢাকা টাইমস/১৫জুলাই/এসএ)

মন্তব্য করুন