স্টার্কের দ্রুততম ৫ উইকেট, সাত ব্যাটসম্যানের শূন্যসহ ২৭ রানে অলআউট ওয়েস্ট ইন্ডিজ

অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে তৃতীয় টেস্টে ওয়েস্ট ইন্ডিজের চতুর্থ ইনিংসে মোট রান ২৭। এটি টেস্ট ক্রিকেট ইতিহাসের দ্বিতীয় সর্বনিম্ন দলীয় সংগ্রহ, ১৯৫৫ সালে অকল্যান্ডে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে নিউজিল্যান্ডের করা ২৬ রানের চেয়ে মাত্র ১ রান বেশি।
তবে ওয়েস্ট ইন্ডিজের টেস্ট ইতিহাসে এটি সর্বনিম্ন দলীয় সংগ্রহ। আগের রেকর্ড ছিল ২০০৪ সালে একই মাঠে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে করা ৪৭ রান।
দুই ইনিংস মিলিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের মোট রান ১৭০। টেস্টে দুবার অলআউট হওয়া ম্যাচে এটি তাদের সর্বনিম্ন দলীয় রান। আগের সর্বনিম্ন ছিল ১৭৫ রান, ১৯৫৭ সালে ওভালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে।
অলআউট হতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের লেগেছে মাত্র ১৪.৩ ওভার, যা টেস্ট ক্রিকেটের তৃতীয় ইতিহাসে সর্বনিম্ন। এর চেয়ে কম ওভারে অলআউট হয়েছে শুধু দক্ষিণ আফ্রিকা (১২.৩ ওভার, ১৯২৪) ও শ্রীলঙ্কা (১৩.৫ ওভার, দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে, ২০২৪ সালের নভেম্বরে)।
অস্ট্রেলিয়ান পেসারদের তোপে ফ্রাঙ্ক ওরেল ট্রফির শেষ টেস্টে ১৭৬ রানের বড় ব্যবধানে হেরেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এই জয়ে ক্যারিবীয়দের ৩-০ ব্যবধানে হোয়াইটওয়াশ করেছে অসিরা।
কিংস্টন টেস্টে ২০৪ রান তাড়া করতে নেমে মাত্র ১৪.৩ ওভারেই ২৭ রানে গুটিয়ে যায় রস্টন চেজের দল। দলের সাত ব্যাটার করেছেন শূন্য। এক অঙ্কে ছিলেন দশজন। দলীয় ইনিংসে সর্বোচ্চ ১১ রান জাস্টিন গ্রেভসের।
ওয়েস্ট ইন্ডিজকে এই ধ্বংসলীলায় নামানোর মূল কারিগর মিচেল স্টার্ক। মাত্র ৯ রানের বিনিময়ে একাই ৬ উইকেট শিকার করেন এই পেসার।
স্কট বোল্যান্ডও কম যাননি। ২ রানে নেন ৩ উইকেট। ১৪তম ওভারে এসে টানা তিন বলে তিন উইকেট নিয়ে হ্যাটট্রিকও করে ফেলেন ডানহাতি এই পেসার।
এর আগে ৬ উইকেটে ৯৯ রান নিয়ে তৃতীয় দিনে খেলতে নেমে শামার জোসেফ আর আলজেরি জোসেফের তোপের মুখে পড়েছিল অস্ট্রেলিয়াও। দ্বিতীয় ইনিংসে ১২১ রানেই অলআউট হয় তারা।
আলজেরি জোসেফ ২৭ রানে ৫টি আর শামার জোসেফ ৩৪ রানে শিকার করেন ৪ উইকেট।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
অস্ট্রেলিয়া: ২২৫ এবং ১২১
ওয়েস্ট ইন্ডিজ: ১৪৩ এবং ২৭
ফল: অস্ট্রেলিয়া ১৭৬ রানে জয়ী।
সিরিজ: তিন ম্যাচ সিরিজে ৩-০ ব্যবধানে জয়ী অস্ট্রেলিয়া।
(ঢাকাটাইমস/১৫জুলাই/এলকে)

মন্তব্য করুন