গুলশান থানার মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হলো অভিনেতা সিদ্দিককে

গুলশান থানায় হওয়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের হত্যাচেষ্টা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে ছোটপর্দার অভিনেতা সিদ্দিকুর রহমানকে। মঙ্গলবার রাতে তাকে গ্রেপ্তার দেখায় গুলশান থানা পুলিশ।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের গুলশান জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার আলী আহমেদ মাসুদ। তিনি বলেন, ‘সিদ্দিককে গুলশান থানার একটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।’
এর আগে মঙ্গলবার বিকালে রাজধানীর সেগুনবাগিচা এলাকায় দুদক কার্যালয়ের সামনে ছাত্রদল, যুবদল, স্থানীয় বিএনপি নেতাসহ সাধারণ মানুষ সিদ্দিককে স্বৈরাচারের দোসর আখ্যা দিয়ে মারধর করে। সেখান থেকে তাকে উদ্ধার করে হেফাজতে নেয় নিকটস্থ রমনা থানা পুলিশ।
এই বিষয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) রমনা বিভাগের উপ-কমিশনার মাসুদ আলম বলেন, ‘তাকে লোকজনের হাত থেকে উদ্ধার করে আমরা থানা হেফাজতে নিই। তার বিরুদ্ধে কোনো মামলা আছে কিনা তা খতিয়ে দেখি। দেখা যায়, তার বিরুদ্ধে গুলশান থানায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় শিক্ষার্থী-জনতা হত্যাচেষ্টার দুটি মামলা আছে। এরপর আমরা তাকে গুলশান থানায় সোপর্দ করি।’
ছাত্রদল, যুবদল ও বিএনপি নেতারা সিদ্দিককে মারধর করে থানায় দিয়েছে কিনা? এমন প্রশ্নের জবাবে এই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, ‘সেখানে ছাত্রদল, যুবদল, বিএনপি, স্থানীয় জনতা ও রিকশাওয়ালা সবাই ছিল। এককভাবে কেউ তাকে ধরে থানায় দেয়নি। সবাই ধরেই তাকে থানায় দিয়েছে। যারা মারধর করেছে, তাদের আমরা বকাঝকা করে সেখান থেকে সরিয়ে দিয়েছি।’
তবে মারধরের বিষয়টি অস্বীকার করেছেন ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক আমানুল্লাহ আমান। এ ঘটনার পর সন্ধ্যায় গণমাধ্যমে তিনি বলেন, ‘মব সৃষ্টি ছাড়াই তাকে থানায় দেওয়া হয়েছে। নির্বিশেষে যে দালাল, সে দালাল— তার পরিচয় যা-ই হোক না কেন।’
আমানের দাবি, ‘সিদ্দিক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে নিয়ে প্রকাশ্যে অশ্রাব্য ও অবমাননাকর মন্তব্য করেছে, তার প্রতিক্রিয়ায়ও আমরা আইন নিজের হাতে তুলে নিইনি। আমরা কোনো গণপিটুনি বা মব জাস্টিস সৃষ্টি করিনি। বরং তাকে আইন অনুযায়ী আটক করে যথাযথভাবে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছি।’
২০২৩ সালে ঢাকা-১৭ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা ও চিত্রনায়ক আকবর হোসেন পাঠান ফারুকের মৃত্যুতে শূন্য হয়ে পড়া আসনে উপনির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার জন্য মনোনয়নপত্র জমা দেন সিদ্দিকুর রহমান। ২০২৩ সালের ৫ জুন এ অভিনেতা আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয় থেকে দলীয় ফরম সংগ্রহ করেন। পরদিনই মনোনয়নপত্র জমা দেন।
এছাড়া টাঙ্গাইল-১ ও বরিশাল-৩ আসন থেকেও আওয়ামী লীগের মনোনয়ন কিনেছিলেন অভিনেতা সিদ্দিকুর রহমান।
(ঢাকাটাইমস/৩০এপ্রিল/এলএম/এজে)

মন্তব্য করুন